কাপুরথালা জেলা
কপূরথলা জেলা (গুরুমুখী: ਕਪੂਰਥਲਾ ਜ਼ਿਲ੍ਹਾ, প্রতিবর্ণী. কপূরথলা জ়িল্হা), ভারতের উত্তরে পাঞ্জাব প্রদেশের একটি জেলা। কপূরথলা শহরটি এই জেলার সদর দপ্তর।
কাপুরথালা জেলা ਕਪੂਰਥਲਾ ਜ਼ਿਲ੍ਹਾ | |
---|---|
পাঞ্জাবের জেলা | |
Location in Punjab, India | |
স্থানাঙ্ক: ৩১°২২′৪৬″ উত্তর ৭৫°২৩′০৫″ পূর্ব / ৩১.৩৭৯৪৪° উত্তর ৭৫.৩৮৪৭২° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পাঞ্জাব |
নামকরণের কারণ | নবাব কাপুর সিং |
Headquarters | কপূরথলা |
সরকার | |
• উপ- কমিশনার | Jaskiran Singh |
আয়তন | |
• মোট | ১,৬৩৩ বর্গকিমি (৬৩১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)‡[›] | |
• মোট | ৮,১৭,৬৬৮ |
• জনঘনত্ব | ৫০০/বর্গকিমি (১,৩০০/বর্গমাইল) |
Languages | |
• Official | পাঞ্জাবি |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+৫:৩০) |
Literacy | ৮০.২০% |
ওয়েবসাইট | www |
কপূরথলা জেলা এলাকা এবং জনসংখ্যা উভয়ের তুলনা্য় পাঞ্জাবের অন্যতম ক্ষুদ্রতম জেলা।২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এখানকার জনসংখ্যা ৭৫৪৫২১ জন। ঐ জেলাটিকে দুইটি অসংলগ্ন ভাগে ভাগ করা হয়, এটির প্রধান অংশ কপূরথলা-সুলতানপুর লোধি এবং ফাগুওয়ারা তহসিল বা ব্লক.
কপূরথলা-সুলতানপুর লোধি উত্তরে ৩১° ০৭' এবং ৩১° ২২' অক্ষাংশ ও পূর্বে ৭৫° ৩৬'দ্রাঘিমাংশএ অবস্থিত। এটি উত্তরে হোসিয়ারপুর,গুরুদাসপুর এবং অমৃতসর এবং পশ্চিমে অমৃতসর জেলা ও বিপাশা নদী এবং দক্ষিণে, শতদ্রু নদী, জলন্ধর জেলা এবং হোসিয়ারপুর জেলার.দ্বারা সীমাবদ্ধ।
ফাগুওয়ারা তহসিল শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ৩১°.২২' উত্তর ও দ্রাঘিমাংশ ৭৫°.৪০' ও ৭৫°৫৫' পূর্বের মধ্যে। ফাগুওয়ারা জাতীয় সড়ক সংখ্যা ১ এ থাকার কারণে,অন্য শহরের তুলনায় কপূরথলা জেলার শিল্প অনেক বেশি বিকশিত। ফাগুওয়ারা জলন্ধরের দক্ষিণপশ্চিমে ১৯ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরত্বে অবস্থিত। এটির সব দিক জলন্ধর জেলা দ্বারা ঘেরা শুধু উত্তর-পূর্ব হোশিয়ারপুর জেলা দ্বারা ঘেরা।
জেলার তিনটি উপজেলা/তহসিল: কপূরথলা, ফাগুওয়ারা এবং সুলতানপুর লোধি। জেলার মোট এলাকা ১৬৩৩ বর্গ কি.মি (৬৩০ বর্গমাইল) যার মধ্যে কপূরথলা তহসিল ৯০৯.০৯ বর্গ কি.মি (৩৫০.৯১ বর্গমাইল), ফাগুওয়ারা তহসিল ৩০৪.০৫ বর্গ কি.মি (১১৭.৩৬ বর্গমাইল) এবং সুলতানপুর লোধি তহসিল ৪৫১ বর্গ কি.মি (১৭৪.১ বর্গমাইল)। জেলার অর্থনীতি এখনও প্রধানত কৃষি।প্রধান ফসল গম, ধান, আখ, আলু ও ভুট্টা। কপূরথলা জেলার প্রধান অংশ বিপাশা নদী ও কালী-বেন নদীর মধ্যবর্তী এলাকা এটিকে 'বেত' ও বলা হয়।এই এলাকাটি বন্যাপ্রবন। জলাবদ্ধতা ও মাটির ক্ষারত্ব এখানকার প্রধান সমস্যা। বন্যা থেকে সুরক্ষার জন্য বিপাশা নদীর বাম তীরে একটি বাঁধের নির্মাণ করা হয়েছে যেটিকে 'ধুসসি বাঁধ' বলা হয় এবং এটা এলাকাটিকে বন্যার ভয়াবহতা থেকে সংরক্ষিত করে। সমগ্র জেলাটি একটি পাললিক সমভূমি।কালী-বেন নদীর দক্ষিণের দিকের জমিটিকে 'ডোনা' বলা হয়। ডোনার অর্থ দুই রকম মাটি অর্থাৎ বালি ও কাদার সংমিশ্রন।
সাধারণত পাঞ্জাব সমভূমির জলবায়ু গ্রীষ্মকালে গরম এবং শীতকালে ঠান্ডা হয়।এটি একটি উপ-ক্রান্তীয় মহাদেশীয় মৌসুমী জলবায়ু। জেলায় অতিরিক্ত চাষবাসের কারণে বনভূমির জন্য কোন জায়গা বাকি নেই এবং বন্য জীবন কার্যত অস্তিত্বহীন।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কপূরথলা জেলার জনসংখ্যা ৮,১্৭,৬৬৮, প্রায় কমোরোস দেশের অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটার সমান। ভারতে এটির ৪৮১তম স্থান (৬৪০ টির মধ্যে )। জেলাটির জনসংখ্যার ঘনত্ব ৫০১ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৩০০ জন/বর্গমাইল )। ২০০১-২০১১ দশকে এখানকার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৮.৩৭% ছিল। কপূরথলা লিঙ্গ অনুপাত ৯১২ জন নারী প্রতি ১০০০ জন পুরুষে এবং এর সাক্ষরতার হার ৮০.২ %। [১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।