কাজী রোজী

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য ও কবি

কাজী রোজী (১ জানুয়ারি ১৯৪৯ - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২) একজন বাংলাদেশী কবি ও রাজনীতিবিদ যিনি দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী (আসন-৪৩) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১] তিনি জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রথমাবস্থায় নির্বাচিত অপর ৪৭ জন সদস্যের সাথে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ “সংসদ সদস্য” পদে নির্বাচিত হন।[২] তিনি কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার [৩] ও ২০২১ সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন।[৪]

মাননীয় সংসদ সদস্য
কাজী রোজী
পূর্বসূরীসৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া
১০ম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন-৪১ আসন আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২০ মার্চ ২০১৪ – ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮
সংখ্যাগরিষ্ঠবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৪৯-০১-০১)১ জানুয়ারি ১৯৪৯
সাতক্ষীরা
মৃত্যু২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২(2022-02-20) (বয়স ৭৩)
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশালেখক, রাজনীতিবিদ
ধর্মইসলাম
পুরস্কার

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

কাজী রোজী ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তার পিতার নাম কাজী শহীদুল ইসলাম। শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৫] কর্মজীবনে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন এবং ২০০৭ সালে তথ্য অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

লেখক সম্পাদনা

রোজী ১৯৬০-এর দশকে কবিতা লেখা শুরু করেন। রোজীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:

  • পথঘাট মানুষের নাম (কাব্যগ্রন্থ)
  • নষ্ট জোয়ার (কাব্যগ্রন্থ)
  • আমার পিরানের কোনো মাপ নেই (কাব্যগ্রন্থ)
  • লড়াই (কাব্যগ্রন্থ)
  • শহীদ কবি মেহেরুন নেসা (জীবনী গ্রন্থ)
  • রবীন্দ্রনাথ : রসিকতার কবিতা (গবেষণা গ্রন্থ)

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

কাজী রোজী ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের[৬][৭] ধারাবাহিকতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাতক্ষীরা জেলার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত নারী আসন (৪৩ নং) থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][৫] জাতীয় সংসদের গ্রন্থাগার সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের সাক্ষী সম্পাদনা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনি যুদ্ধাপরাধী ও তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদ আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের চতুর্থ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেন।[৮]

রোজী ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।[৯]

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা)"www.parliament.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  2. "৪৮ নারী এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম অনলাইন। ১৯ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  3. "কাজী রোজীসহ বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন ৪ জন"চ্যানেল আই। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ 
  4. "কাজী রোজি, গোলাম মুরশিদ, আসাদসহ ২১ জন পাচ্ছেন একুশে পদক"বিডি নিউজ ২৪। ২০২১-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৪ 
  5. "Constituency 341_10th_Bn"www.parliament.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  6. "বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাস"ডয়েচ ভেল অনলাইন। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  7. "বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৩-২০১৪"সিএসবি নিউজ অনলাইন। ১৪ আগস্ট ২০১৬। ১৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  8. "নীরব ঘাতকের সঙ্গে কবি কাজী রোজীর দুই দশক"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ 
  9. রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "কবি কাজী রোজী মারা গেছেন"ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা