কাজী কেরামত আলী

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

কাজী কেরামত আলী (জন্ম: ২২ এপ্রিল ১৯৫৪) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ যিনি রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য।[১] তিনি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

কাজী কেরামত আলী
রাজবাড়ী-১ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৯২ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬
পূর্বসূরীআবদুল ওয়াজেদ চৌধুরী
উত্তরসূরীজাহানারা বেগম
কাজের মেয়াদ
১২ জুন ১৯৯৬ – ১ অক্টোবর ২০০১
পূর্বসূরীজাহানারা বেগম
উত্তরসূরীআলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৯ ডিসেম্বর ২০০৮
পূর্বসূরীআলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২ জানুয়ারি ২০১৮ – ৬ জানুয়ারি ২০১৯
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1954-04-22) ২২ এপ্রিল ১৯৫৪ (বয়স ৭০)
রাজবাড়ী, পাকিস্তান
(বর্তমান বাংলাদেশ)
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীরেবেকা সুলতানা সাজু
সন্তানএক মেয়ে
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

কাজী কেরামত আলী ১৯৫৪ সালে ২২ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলার হাসপাতাল রোডের সজ্জনকান্দার বাসায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার কাজী হেদায়েত হোসেন ছিলেন গণপরিষদ সদস্য। মাতার নাম মনাক্কা বেগম। তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম (অনার্স) ও এম.কম ডিগ্রি লাভ করেন। তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা সাজু। তাদের একমাত্র কন্যা কানিজ ফাতেমা চৈতি।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

তিনি ১৯৯০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি ১৯৯২ সালে ৫ম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে উপ-নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ৭ম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে দ্বিতীয় বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালে তিনি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৃতীয় বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই সংসদে তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং জাতীয় সংসদের গ্রন্থাগার কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় চতুর্থ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে সরকারি প্রতিশ্রম্নতি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. রাজবাড়ী-১, কাজী কেরামত আলী। "Constituency 209_10th_Bn"www.parliament.gov.bd। ২০১৯-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৮ 
  2. "শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হলেন কেরামত আলী"www.banglanews24.com। ২ জানুয়ারি ২০১৮। ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮