কনকলতা বড়ুয়া

ভারতীয় বিপ্লবী

কনকলতা বড়ুয়া (অসমীয়া: কনকলতা বরুৱা) (২২ ডিসেম্বর, ১৯২৪ - ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৪২) অন্য নামে বীরবালাশহীদ কনকলতা বড়ুয়া ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে আসামের প্রথম নারী শহীদ, যিনি ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ভারতীয় জাতীয় পতাকা বহনকারী মিছিলের নেতৃত্ব দান করে নিহত হন।[১]

কনকলতা বড়ুয়া
বরঙ্গাবাড়ি, গোহপুরে কনকলতা বড়ুয়ার প্রস্তর মূর্তি
জন্ম(১৯২৪-১২-২২)২২ ডিসেম্বর ১৯২৪
বরঙাবাড়ী, গহপুর, দরং জেলা (বর্তমানে শোণিতপুর জেলা)
মৃত্যু২০ সেপ্টেম্বর ১৯৪২(১৯৪২-০৯-২০)
বরঙাবাড়ী, গহপুর
আন্দোলনভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন

জন্ম সম্পাদনা

গহপুর অঞ্চলের বরঙাবাড়ী গাঁয়ে জন্ম। পিতা বগারাম বড়ুয়া ছিলেন একজন কৃষক। শৈশবে কনকলতার পিতৃবিয়োগ হয়েছিল। [২]

স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান সম্পাদনা

 
তেজপুরে অবস্থিত কনকলতা উদ্যানে থাকা বর্ণনাত্মক ভাস্কর্য

কনকলতা বড়ুয়া ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে একজন অগ্রগামি সংগ্রামী মহিলা ছিলেন। জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার নেতৃত্বে তিনি মৃত্যু বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। ১৯৪২ সনের ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে অসম শাখার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতেকটি থানায় বৃটিশের উত্তোলিত পতাকা নামিয়ে তার স্থলে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। গহপুরের পশ্চিম দিকে অবস্থিত থানা অভিমুখে অগ্রসর হওয়া মৃত্যুবাহিনী সদস্যের সন্মুখে ছিলেন কনকলতা বড়ুয়া ৷ থানার সন্মুখে এসে থানায় সমাবেশ করার চেষ্টা করার সময়ে অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর সাথে পুলিশের সাথে টানা যুদ্ধ বাধে। এমন সময়ে কনকলতা নিজের দাবী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করলে পুলিস সিপাহী বগাই কছাড়ী কনকলতার বুক লক্ষ্য করে গুলি চালান যার ফলে কনকলতা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান ও তৎক্ষণাৎ তার মৃত্যু হয়। [৩]

মৃত্যু সম্পাদনা

১৯৪২ সনের ২০ সেপ্টেম্বর।

কনকলতা স্মৃতি চিহ্ন সম্পাদনা

কনকলতার বীর কাহিনী অসমের ইতিহাসে বর্নিত হয়েছে। কনকলতার বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অসম সরকার নানা স্থানে কনকলতার স্মৃতি চিহ্ন নির্মাণ করেছেন । তেজপুরের কনকলতা উদ্যান এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Pathak, Guptajit (২০০৮)। Assamese Women in Indian Independence Movement: With a Special Emphasis on Kanaklata Barua। New Delhi: Mittal Publications। পৃষ্ঠা 52। 
  2. শিৱনাথ বর্মন, অসমীয়া জীৱনী অভিধান, ছ'ফিয়া প্রেছ এণ্ড পাব্লিচার্ছ প্রা:লি:, ১৯৯২, পৃষ্ঠা-৪০
  3. শ্রী সর্বানন্দ বরা, ইতিহাসে গরকা ছয়দুৱার, পৃষ্ঠা-১২৮