এলিশিয়া মোরিও দে জুস্তো
এলিশিয়া মোরিও দ্য জাস্তো (স্পেনীয়: Alicia Moreau de Justo; জন্ম: ১১ অক্টোবর, ১৮৮৫ - মৃত্যু: ১২ মে, ১৯৮৬) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট আর্জেন্টেনীয় প্রমিলা চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী ছিলেন।[১]
এলিশিয়া মোরিও দ্য জাস্তো | |
---|---|
![]() ১৯৭২ সালে এলিশিয়া মোরিও | |
জন্ম | এলিশিয়া মোরিও দ্য জাস্তো ১১ অক্টোবর ১৮৮৫ |
মৃত্যু | ১২ মে ১৯৮৬ | (বয়স ১০০)
নাগরিকত্ব | আর্জেন্টেনীয় ![]() |
পরিচিতির কারণ | চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী |
দাম্পত্য সঙ্গী | জুয়ান বি. জাস্তো (১৯২২-১৯২৮) |
আত্মীয় | আরমান্দ মোরিও মারিয়া দেনানপন্ট |
পুরস্কার | ১৯৮৪: বর্ষসেরা মহিলা ১৯৮৫: ইউবিএ কর্তৃক শতাব্দীর চিকিৎসা ডিগ্রীধারী ১৯৮৫: বুয়েন্স আয়ার্সের বিশিষ্ট নাগরিক ১৯৮৮: কনেক্স সম্মানসূচক পুরস্কার |
কর্মজীবনসম্পাদনা
১৯০৬ সালে আন্তর্জাতিক মুক্তচিন্তার সম্মেলনে অংশগ্রহণকালে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিনি সমাজতান্ত্রিক দলের সাথে নীবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন ও আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সাময়িকীতে সহকর্মী হিসেবে কাজ করেন।
১৯১০ সালে এটেনিও পপুলার সংগঠনের উচ্চ বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলেন ও এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। প্রত্যেক কর্মদিবসে ৮ ঘণ্টা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান। একই বছর প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা কংগ্রেসে অংশ নেন। ১৯১১ সালে অভিবাসনকারীদের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রচারণা চালান। ১৯১৮ সালে ন্যাশনাল ফেমিনিন ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৬ সালে মহিলাদের নাগরিক অধিকারের বিষয়ে কাজ করেন।
সমাজতান্ত্রিক কেন্দ্রগুলোয় মহিলাদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের দিকে মনোনিবেশ ঘটান। ১৯৪৫ সালে গণতন্ত্রে মহিলা শীর্ষক পুস্তক প্রকাশ করেন। এতে তিনি আর্জেন্টেনীয় মহিলাদের ভোটের অধিকার লাভে প্রতিকূলতার দিক তুলে ধরেন।
অভ্যন্তরীণ পুণর্গঠনের অংশ হিসেবে ১৯৫৬ সালে লা ভাগুয়ারদিয়া সাময়িকীর পরিচালক মনোনীত হন। দুই বছর পর সমাজতান্ত্রিক দল পার্টিদো সোশ্যালিস্তা ডেমোক্রাটিকো ও সোশ্যালিস্তা আর্জেন্টিনো - এ দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে যায়। তন্মধ্যে সোশ্যালিস্তা আর্জেন্টিনোর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
মানবাধিকার বিষয়ের সাথে জড়িত বিভিন্ন ঘটনায় ওতপ্রোতভাবে নিজেকে জড়ান। মাদ্রেস দ্য প্লাজা দে মেয়োকে সহায়তা করেন। ১৯৮০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত আন্ত-আমেরিকান মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের অভ্যর্থনার দায়িত্ব পান ও সামরিক সরকারের নোংরা যুদ্ধের বিভিন্ন অপরাধের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
ব্যক্তিগত জীবনসম্পাদনা
ফরাসী পিতা-মাতার সন্তান তিনি। লন্ডনে জন্মগ্রহণ করলেও শৈশবকালেই পরিবারের সাথে আর্জেন্টিনায় চলে আসেন। সেখানে তিনি প্রথমে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার জন্য অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে দেশের চতুর্থ স্নাতকধারী মহিলা চিকিৎসক হবার গৌরব লাভ করেন।
১৯২২ সালে জুয়ান বি. জাস্তো'র সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তাদের সংসারে ৩ সন্তান জন্মগ্রহণ করে। নিজের গোত্র নাম দ্য জাস্তো সন্তানদের নামের সাথে জুড়ে দেন।
বুয়েন্স আয়ার্সের পুয়ের্তো মাদেরো বারিও'র প্রধান রাস্তাটি তার নামে নামাঙ্কিত হয়।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Diario La Nación, সম্পাদক (১০ মে ২০০১)। "Alicia Moreau de Justo"। Argentina। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
গ্রন্থপঞ্জীসম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- Alicia Moreau de Justo Foundation( 2009-10-25) (Spanish)
- Profile (Spanish)
- Short Biography at the Konex Foundation (Spanish)
- Obituary at the New York Times
- Alicia Moreau de Justo ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে Me.gov.ar.
- "Una mujer rica hubiera sido rodeada por médicos..." Siicsalud.com.
- Juan B. Justo ante la condición humana Ensayistas.org.
- THE NEW YORK TIMES: Alicia Moreau de Justo Dies; Leading Argentine Socialist (14 de mayo de 1986)
- Biografía en webmujeractual.com
- ALICIA MOREAU DE JUSTO-UNA VIDA DE COMPROMISO PÚBLICO EN DEFENSA DE LOS DERECHOS DE LA MUJER (portalplanetasedna.com) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে
- Biografie (agenciaelvigia.com)
- Biografía en uncajonrevuelto.com