এলিজাবেথ টেইলর
ডেম এলিজাবেথ রোজমন্ড টেইলর ডিবিই (ইংরেজি: Dame Elizabeth Rosemond Taylor) বা লিজ টেইলর (জন্মঃ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ - মৃত্যুঃ ২৩ মার্চ, ২০১১) একজন ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়া ব্রিটিশ-মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি তার অভিনয় প্রতিভা ও সৌন্দর্যের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সেই সাথে তার হলিউড জীবনপদ্ধতির জন্যও; যেমন: অনেকগুলো বিয়ে করা। টেইলরকে হলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম অভিনত্রী হিসেবে ধরা হয়। তাকে তাই বলা হয় জীবনের থেকেও বড় তারকা।
এলিজাবেথ টেইলর | |
---|---|
জন্ম | এলিজাবেথ রোজমন্ড টেইলর |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৪২ - ২০১১ |
দাম্পত্য সঙ্গী | কনরাড হিল জুনিয়র (১৯৫০–১৯৫১) মাইকেল ওয়াইল্ডিং (১৯৫২–১৯৫৭) মাইক টড (১৯৫৭–১৯৫৮) এডি ফিশার (১৯৫৯–১৯৬৪) রিচার্ড বার্টন (১৯৬৪–১৯৭৪; ১৯৭৫–১৯৭৬) জন ওয়ার্নার (১৯৭৬–১৯৮২) ল্যারি ফোর্টেনস্কি (১৯৯১–১৯৯৬) |
অ্যামেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট টেইলরকে তাদের নারী কিংবদন্তি তালিকায় ৭ম স্থানে রেখেছে।
প্রাথমিক জীবন (১৯৩২-১৯৪২)
সম্পাদনাটেইলরের জন্ম উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের একটি অভিজাত এলাকায় - হ্যাম্পস্টেডে। তিনি ছিলেন তার বাবা ফ্রান্সিস লেন টেইলর (১৮৯৭-১৯৬৮) ও মা সারা ভায়োলা ওয়ার্মব্রডের (১৮৯৫-১৯৯৪) ছোট মেয়ে। টেইলরের বড় ভাই হাওয়ার্ড টেইলর জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৯ সালে। তাদের আমেরিকান মা-বাবা এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আরাকানস সিটি থেকে। তারা জন্মসূত্রে মার্কিনী হলেও বাস করতেন ইংল্যান্ডে। টেইলরের বাবা পেশায় ছিলেন একজন ছবির ডিলার এবং মা ছিলেন মঞ্চ অভিনেত্রী, মঞ্চে যাঁর নাম ছিলো সারা সদার্ন। যখন ফ্রান্সিস টেইলরের সাথে ১৯২৬ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে সারার বিয়ে হয়, তারপর সারা মঞ্চকে বিদায় জানান।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাবিয়ে
সম্পাদনাটেইলর তার জীবনে সাতজন পুরুষকে মোট ৮ বার বিয়ে করেছিলেন:
- কনরাড "নিকি" হিলটন (৬ মে, ১৯৫০ - ২৯ জানুয়ারি, ১৯৫১) (বিচ্ছেদকৃত)
- মাইকেল ওয়াইল্ডিং (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ - ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫৭) (বিচ্ছেদকৃত)
- মাইকেল টড (২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭ - ২২ মার্চ, ১৯৫৮) (বৈধব্যপ্রাপ্ত)
- এডি ফিশার (১২ মে, ১৯৫৯ - ৬ মার্চ, ১৯৬৪) (বিচ্ছেদকৃত)
- রিচার্ড বার্টন (১৫ মার্চ ১৯৬৪ - ২৬ জুন ১৯৭৪) (বিচ্ছেদকৃত)
- রিচার্ড বার্টন (পুনরায়) (১০ অক্টোবর, ১৯৭৫ - ২৯ জুলাই, ১৯৭৬) (বিচ্ছেদকৃত)
- জন ওয়ার্নার (৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৬ - ৭ নভেম্বর, ১৯৮২) (বিচ্ছেদকৃত)
- ল্যারি ফোর্টনেস্কি (৬ অক্টোবর, ১৯৯১ - ৩১ অক্টোবর, ১৯৯৬) (বিচ্ছেদকৃত)
মৃত্যুবরণ
সম্পাদনাটেলর কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।[১] ২০০৪ সালে ঘোষণা করা হয় যে, তিনি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন এবং ২০০৯ সালে তাকে কার্ডিয়াক সার্জারীর মাধ্যমে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়।[২] ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে হৃদযন্ত্রের সমস্যার দরুন উন্নত চিকিৎসার জন্য সিডারস-সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।[৩] মার্চ ২৩, ২০১১ সালে টেলর চার সন্তানকে রেখে ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলসের সিডারস-সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারে ৭৯ বছর বয়সে প্রয়াত হন।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "হাসপাতাল থেকে ফিরে মৃত্যু চিন্তায় টেলর"। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|আর্কাইভের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ এলিজাবেথ টেলর ৭৯ বছর বয়সে চলে গেলেন
- ↑ "হৃদযন্ত্র সমস্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন টেলর"। ১৪ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ হলিউড সম্রাজ্ঞী এলিজাবেথ টেলরের পরলোকগমন
আরো পড়ুন
সম্পাদনা- স্পোটো, ডোনাল্ড (১৯৯৫). আ প্যাশন ফর লাইফ: দ্য বায়োগ্রাফি অফ এলিজাবেথ টেইলর। নিউ ইয়র্ক: হার্পার কলিন্স, আইএসবিএন ০-০৬-০১৭৬৫৭-১
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে এলিজাবেথ টেইলর (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে এলিজাবেথ টেইলর (ইংরেজি)
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে এলিজাবেথ টেইলর (ইংরেজি)
- এলিজাবেথ টেইলর এইডস ফাউন্ডেশন (ETAF)
- অ্যামেরিকান ফাউন্ডেশন ফর এইডস রিসার্চ (amfAR)
- কেনেডি সেন্টার বায়ো-তে এলিজাবেথ টেইলর
- টার্নার ক্লাসিক মুভিতে এলিজাবেথ টেইলরের প্রোফাইল
- এলিজাবেথ টেইলর তথ্যভাণ্ডার বিস্তারিত জীবনী, প্রত্যেকটি চলচ্চিত্রের আলাদা বর্ণনা, টিভি, মঞ্চ, সংবাদ সংগ্রশালা, আলোকচিত্র প্রভৃতি।