লাভ রান্স ব্লাইন্ড (এলআরবি)
লাভ রানস ব্লাইন্ড, প্রায়শই এলআরবি নামে পরিচিত, একটি বাংলাদেশী রক ব্যান্ড, যা ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল[১] চট্টগ্রামে, আইয়ুব বাচ্চু দ্বারা গঠিত হয়েছিল। তারা বাংলাদেশের অন্যতম সফল রক ব্যান্ড। তাদের গঠন থেকে, তারা তেরোটি স্টুডিও অ্যালবাম, একটি লাইভ অ্যালবাম এবং দুটি সংকলিত অ্যালবাম প্রকাশ করেছে। তারা কিছু মিশ্র অ্যালবামেও হয়েছে। তারা বাংলাদেশি হার্ড রক সঙ্গীতের অগ্রগামী হিসেবে বিবেচিত। তারা মূলত একটি হার্ড রক ব্যান্ড হিসাবে গঠিত হয়েছিল, কিন্তু রক এ্যান্ড রোল এর অনেকগুলি উপকরণের সাথে পরীক্ষা করেছে।
লাভ রান্স ব্লাইন্ড | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উপনাম | লিটল রিভার ব্যান্ড (১৯৯১-১৯৯৭) |
উদ্ভব | চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ |
ধরন | |
কার্যকাল | ৫ এপ্রিল ১৯৯১ — ১৮ অক্টোবর ২০১৮ |
লেবেল |
|
প্রাক্তন সদস্য |
|
ওয়েবসাইট | ablrb.net |
সারগাম রেকর্ডসে স্বাক্ষর করার পর, এলআরবি ১৯৯২ সালে এলআরবি ১ এবং এলআরবি ২, বাংলাদেশের প্রথম ডবল অ্যালবাম প্রকাশ করেছিল। তাদের তৃতীয় অ্যালবাম সুখ (১৯৯৩) তাদের দেশে আরও সাফল্য পেতে সাহায্য করেছিল এবং "চলো বদলে যাই" গানটি তুলে ধরেছে, যা বাংলাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় রক গান। তাদের জনপ্রিয়তা হিট অ্যালবাম তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহর (১৯৯৫) ইত্যাদির সাথে চলতে থাকে। ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে তারা বাংলাদেশে প্রথম লাইভ এ্যালবাম ফেরারী মন প্রকাশ করে৷ তারা একমাত্র বাংলাদেশী শিল্পী যারা নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন এ কন্সার্ট সঞ্চালন করেন।[২] তাদের বেশ কয়েকবার সেরা শিল্পী নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে তারা মূলধারার খ্যাতি লাভ করেছিল এবং আর্ক এবং নগর বাউল এর সাথে "বিগ থ্রি অফ রক" এর অংশ ছিল, যা দায়ী ছিল ১৯৯০ দশকে বাংলাদেশে রক সংগীত জনপ্রিয়তার জন্যে। ২০১৮ এর অক্টোবরে, ব্যান্ড এর প্রধান গায়ক এবং গিটারবাদী আইয়ুব বাচ্চু, কার্ডিয়াক ব্যর্থতার মারা যান তার নিজ বাসভবনে। বাচ্চু তার মৃত্যুর চার দিন আগে রংপুর, বাংলাদেশে তার শেষ কর্মক্ষমতা দিয়েছেন। তার মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের এপ্রিলে গায়ক বালাম ভোকাল ও গিটারিস্ট হিসেবে যোগদান করেন।[৩] এলাআরবি নামটি আইউব বাচ্চুর পরিবারের বাধার মুখে পরিবর্তিত হয়ে ১৫ এপ্রিল ২০১৯ থেকে "বালাম এন্ড দ্যা লিগাসি" নাম গ্রহণ করেছে। এখন থেকে এলআরবি ব্যান্ডের সদস্যদের ‘বালাম অ্যান্ড দ্য লিগ্যাসি’ ব্যান্ডের নামে নতুন করে মঞ্চ মাতাতে দেখা যাবে।
এল আর বি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এবং প্রভাবশালী রক ব্যান্ড। জনপ্রিয় ওয়েবসাইট দ্যা টপ টেনস তাদেরকে বাংলাদেশের ৪র্থ সেরা বাংলাদেশি রক ব্যান্ড হিসেবে জায়গা দিয়েছেন তাদের "১০টি সেরা বাংলাদেশি রক ব্যান্ড" এর তালিকায়। তারা ৬টি মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন এবং একটি সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস জিতেছে।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯০ সালের ৫ই এপ্রিল এই কিংবদন্তি ব্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে।[১] ব্যান্ডটির প্রতিষ্ঠাতা আইয়ুব বাচ্চু। টুটুল, জয় এবং স্বপন ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সহ-সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পুরো নাম লাভ রান্স ব্লাইন্ড। শুরুতে ব্যান্ডটির নাম রাখা হয়েছিল লিটল রিভার ব্যান্ড। আরো পরে এই নামটিও পরিবর্তন হয়ে এখন হয়েছে লাভ রান্স ব্লাইন্ড।[৪] ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে এর যাত্রা শুরু, একটি ডব্ল্ অ্যালবাম দিয়ে। এলআরবি-র প্রথম এই ডবলস্-টি বের হয়েছিল মাধবী এবং হকার নামে। এটি বাংলাদেশ এর ইতিহাসের প্রথম ডব্ল্ অ্যালবাম। চলো বদলে যাই এলআরবি-র সবচেয়ে জনপ্রিয় গান। ২০০৯ সালে তারা নকিয়া মিউজিক ফেস্টিভ্যালে গান করে।[৫] ২০১১ সালের ২রা জানুয়ারি এলআরবি নগরবাউল ও মাইলস ব্যান্ডের সাথে নকিয়া কনসার্টে গান করে।[৬] এলআরবি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা সফর করেছে।
সদস্য
সম্পাদনাঅতীত সদস্য
- গোলাম উর রহমান রোমেল — ড্রামস (২০০৬—২০১৮)
- সাঈদুল হাসান স্বপন — বেজ গীটার (১৯৯১—২০১৮)
- আব্দুল্লাবাহ আল মাসুদ — লীড গীটার (২০০৩—২০১৮)
- আইয়ুব বাচ্চু — লীড ভোকাল ও লীড গীটার (১৯৯১—২০১৮)
- এস আই টুটুল — কীবোর্ডস, রিদম গীটার (১৯৯১—২০০৩)
- হাবিব আনোয়ার জয় — ড্রামস (১৯৯১—১৯৯৩)
- মিল্টন আকবর — ড্রামস (১৯৯৩—১৯৯৪)
- রিয়াদ — ড্রামস (১৯৯৫—২০০৩)
- আরিফ শিশির — ড্রামস (২০১৫—২০১৬)
ডিস্কোগ্রাফি
সম্পাদনাস্টুডিও অ্যালবাম
লাইভ অ্যালবাম
- ফেরারী মন (১৯৯৬) - বাংলাদেশের প্রথম আনপ্লাগড লাইভ অ্যালবাম[৯]
সংকলিত অ্যালবাম
- গ্রেটেস্ট হিটস
- কালেকশন অব এল আর বি
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "এলআরবি নিয়ে যাচ্ছেতাই!"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২৮।
- ↑ "আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর দু'বছর পর এলআরবি এখন কোন পথে?"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১২।
- ↑ "এলআরবিতে বালাম"। ২০১৯-০৪-০৫। Archived from the original on ২০১৯-০৪-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১০।
- ↑ ".:: LRB ::."। www.ablrb.net। ২০১৮-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৯।
- ↑ "Nokia Music Carnival with LRB, Artcell and KK"। thedailystar.net।
- ↑ forum.y2zmusic.com/viewtopic.php?f=34&t=1542
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১১।
- ↑ http://www.daily-sun.com/details_yes_10-10-2012_LRB%E2%80%99s-latest-album-%E2%80%98Juddho%E2%80%99-releasing-today_287_1_7_1_2.html[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Live Album"।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- এলআরবি-এর অফিসিয়াল ওয়েব সাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে