এই সময়
"এই সময়" বাংলাদেশি লেখক শহীদুল জহির রচিত ছোটগল্প। ১৯৯৩ সালে রচিত গল্পটি ১৯৯৯ সালে শিল্পতরু প্রকাশনী থেকে ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প শিরোনামে জহিরের দ্বিতীয় গল্প সংকলন প্রকাশিত হয়। পুরান ঢাকার একটি মহল্লায় তরুণ মোহাম্মদ সেলিমের স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, সকলের প্রতীক্ষিত শিরীন আক্তার, আর রাজনীতির গল্প "এই সময়"। এই গল্প অবলম্বনে ২০০০ সালে আশিক মোস্তফা পরিচালিত ফুলকুমার চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।
"এই সময়" | |
---|---|
লেখক | শহীদুল জহির |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বর্গ | ছোটগল্প |
প্রকাশিত হয় | ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প (১৯৯৯) |
প্রকাশনার ধরন | ছোটগল্প সংগ্রহ |
প্রকাশক | শিল্পতরু প্রকাশনী |
মাধ্যম | ছাপা (শক্তমলাট) |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৯৩ |
পূর্ববর্তী রচনা | "ডুমুরখেকো মানুষ (১৯৯৯)" |
পরবর্তী রচনা | "কাঁটা (১৯৯৯)" |
জহির এই গল্পের একটি অসমাপ্ত চিত্রনাট্য লিখেছিলেন, তবে তার জীব্দদশায় তা অপ্রকাশিত ছিল। চিত্রনাট্য পরে অপ্রকাশিত অগ্রন্থিত শহীদুল জহির (২০১৯) সংকলনে প্রকাশিত হয়।[১]
কাহিনীসংক্ষেপ
সম্পাদনাজন্মের পর মোহাম্মদ সেলিম বাবা-মা হারায়। পুরান ঢাকার একটি মহল্লায় সেলিম তার দাদীর কাছে বেড়ে উঠে। সে তার মাকে একটি লালপরী হিসাবে কল্পনা করে। যে কারণে সে ফুলের বাগান করে। তৈরি করে নিজের স্বপ্নের এক দুনিয়া, যেখানে তার মা ফুলপরী হয়ে হাজির হয়। ফুলবাগান সেলিমকে আনন্দ দেয়, আর মহল্লার মানুষকে দেয় এলার্জির মহামারি। বাগানের দিকে নজর যায় মহল্লার আবু, হাবু আর শফি তিন ভাইয়ের। এলার্জি দূর করতে বাগানের ওপর হামলা করে তারা। পরে ঘটনাক্রমে তারা আবার সেই বাগানেই ফিরে আসে ফুলের সন্ধান করতে। সেলিমের হাত দিয়ে ফুল পাঠায় শিরীন আক্তারের কাছে, যার দিকে নজর রাখে মহল্লার আরো সব পান্ডা, মেজর সাব আর মওলানা সাব। সবার সব উপহার ফিরিয়ে দেয় শিরীন। শুধু সেলিমের দেয়া ফুলগুলো রাখে সে।[২]
চরিত্রসমূহ
সম্পাদনা- মোহাম্মদ সেলিম
- শিরিন আক্তার
- দাদী
- আবু
- হাবু
- শফি
- মেজর ইলিয়াস
- মেজরের স্ত্রী
- শিরিনের বাবা
- মালেকা বানু - বাড়িওয়ালী
- বাড়িওয়ালীর ছেলে
- বিবাহের কাজি
- চোর
- মওলানা জব্বার
- এরশাদ সাহেব
অভিযোজন
সম্পাদনা২০০২ সালে "এই সময়" গল্প অবলম্বনে আশিক মোস্তফা পরিচালিত ফুলকুমার চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। মূল গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন নুরুল আলম আতিক।[২] পরিচালক আশিক মোস্তফা নিউ ইয়র্কের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টসে অধ্যয়নকালীন তার স্নাতক পর্বের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে, স্থানীয় কলাকুশলী নিয়ে ১৬ মিমি প্রযুক্তিতে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। ‘কাল্ট ক্ল্যাসিক’ হিসাবে বিবেচিত এই চলচ্চিত্রটি তখন অসংখ্য নবীন নির্মাতাদের অণুপ্রেরণা জুগিয়েছিল! [৩][২][৪] একই গল্প থেকে নাটক নির্মাণ করেছেন ইকবাল খোরশেদ।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ রশীদ, মোহাম্মদ আবদুর, সম্পাদক (২০১৯)। অপ্রকাশিত অগ্রন্থিত শহীদুল জহির (উপন্যাস, গল্প ও অন্যান্য) (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: পাঠক সমাবেশ। পৃষ্ঠা ১৭৯। আইএসবিএন 9789849408154। এলসিসিএন 2018330586। ওসিএলসি 1109945162।
- ↑ ক খ গ রেজা, অমিতাভ (৩ আগস্ট ২০০২)। "ফুলকুমারঃ চলচ্চিত্রে অন্য ধারার সম্ভাবনা"। ঢাকা: প্রথম আলো।
- ↑ হালদার, মিঠু (১০ মার্চ ২০১৮)। "ট্যাম্পেয়ার উৎসবে 'ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স'"। প্রিয়। ৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ ডিপার্ট ডেস্ক। "অব্যান্ট-গার্ডেন ফুলের শিশু"। departmag.com (ইংরেজি ভাষায়)। departmag। ১৮ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ মজিদ, পিয়াস (২৮ জুলাই ২০১৪)। "একজন অন্যবিধরোদে পোড়াশহীদুল জহির"। ঢাকা: ইত্তেফাক। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।