উভকামী আত্মাভিমান পতাকা
১৯৯৮ সালে মাইকেল পেজ বৃহত্তর এলজিবিটি সমাজের পুরুষ-সমকামী আত্মাভিমান পতাকার অনুরূপ উভকামী সমাজের নিজস্ব প্রতীক হিসেবে উভকামী আত্মাভিমান পতাকার নকশা প্রস্তুত করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল সামগ্রিক ক্ষেত্রে সমাজের মধ্যে এবং এলজিবিটি সমাজের মধ্যে উভকামীদের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করা।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d4/The_bisexual_pride_flag_%283673713584%29.jpg/220px-The_bisexual_pride_flag_%283673713584%29.jpg)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/2a/Bisexual_Pride_Flag.svg/220px-Bisexual_Pride_Flag.svg.png)
১৯৯৮ সালের ৫ ডিসেম্বর[১] বাইক্যাফের প্রথম বার্ষিকীর পার্টিতে প্রথম উভকামী আত্মাভিমান পতাকাটি প্রকাশ করা হয়। [২] এই পতাকার নকশা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে পেজ বাইনেট ইউএসএ-তে তার কাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।[৩]
নকশা ও রং
সম্পাদনাউভকামী আত্মাভিমান পতাকার রংগুলি পেজ গ্রহণ করেছিলেন পূর্বপ্রচলিত উভকামী প্রতীক থেকে। তিনি সেটিকে তার নিজস্ব নকশায় একটি বিশেষ রূপ দেন। তিনি বলেছেন,
“ | উভকামী আত্মাভিমান পতাকার নকশা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে আমি ‘বাই অ্যাঙ্গেলস্’ প্রতীকের রং ও প্রাবরিত ভঙ্গিটি নির্বাচন করেছি।[৪] | ” |
‘বাইঅ্যাঙ্গেলস্’ বা ঊভকামী ত্রিভূজ হল উভকামী সমাজের অপরাপর প্রতীকসমূহ। এই প্রতীকের উৎস অজ্ঞাত। তবে বিভিন্ন তত্ত্ব অনুসারে এই ত্রিভূজগুলির রংগুলি সম্ভবত বিষমকামিতা, সমকামিতা ও উভকামিতার প্রতীক। এগুলি পুরুষ, নারী অথবা পুরুষ ও নারী উভয়ের প্রতি আকর্ষণের প্রতীকও হতে পারে। উভকামিতার আরেকটি চিহ্ন হল অর্ধচন্দ্রের প্রতীক। এটির উৎস নাৎসি আন্দোলনের সময় সমকামীদের চিহ্নিতকরণের জন্য নির্দিষ্ট গোলাপি ত্রিভূজ।[৩][৫]
পেজ উভকামী আত্মাভিমান পতাকার গোলাপি, বেগনি-নীল ও নীল রঙের (অনুপাত ২:১:২)[২] অর্থ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন:
“ | গোলাপি রংটি শুধুমাত্র সমকামী যৌন আকর্ষণবোধের (পুরুষ ও নারী-সমকামী) প্রতীক, নীল রংটি অপর লিঙ্গের প্রতি যৌন আকর্ষণবোধের (বিষমকামী) প্রতীক এবং অবশিষ্ট প্রাবৃত রং বেগনি-নীল উভয় লিঙ্গের প্রতি যৌন আকর্ষণবোধের (উভকামী) প্রতীক।[৪][৬] | ” |
পেজ গভীরতর অর্থে পতাকাটির অর্থ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন:
“ | উভকামী আত্মাভিমান পতাকার প্রতীকতত্ত্বটি অনুধাবনের সূত্রটি হল এই কথা জানা যে, বেগনি-নীল রঙের পিক্সেলগুলি গোলাপি ও নীল রঙের মধ্যে অলক্ষ্যে নিহিত রয়েছে। ঠিক তেমনই ‘বাস্তব জগতে’ উভকামীরা অলক্ষ্যে পুরুষ/নারী-সমকামী ও বিষমকামী সমাজের মধ্যে নিহিত রয়েছে।[৩] | ” |
পতাকাটির প্রত্যেকটি রঙের অনুপাত নির্দিষ্ট নয়। তবে ২:৩ ও ৩:৫ অনুপাতটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অন্যান্য অনেক পতাকাতেই এই অনুপাতটি লক্ষিত হয়।
উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ডোরা-কাটা রং ও তার প্রস্থগুলি হল গোলাপি (৪০%), বেগনি-নীল (২০%) ও নীল (৪০%)।[৪] নকশা-প্রস্তুতকারক সঠিক যে রংগুলি ব্যবহার করেছিলেন সেগুলি হল: পিএমএস যথাক্রমে ২২৬, ২৫৮ ও ২৮৬।[২] ওগুলির এইচটিএমএল মান যথাক্রমে প্রায় #ডি৬০২৭০, #৯বি৪এফ৯৬ ও #০০৩৮এ৮।[৭] এগুলিএ আরজিবি মান যথাক্রমে প্রায় (২১৪,২,১১২), (১৫৫,৭৯,১৫০) ও (০,৫৬,১৬৮)।[৮]
এই পতাকাটি পেটেন্টেড, ট্রেডমার্কেটেড বা সার্ভিস মার্কেটেড নয়।[৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ http://www.wright.edu/counseling/SafezoneSymbols.html
- ↑ ক খ গ Young, Randy (৬ জুন ২০১৫)। "BiPride Flag"। Flagspot। Flags of the World। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Petronzio, Matt (১৩ জুন ২০১৪)। "A Storied Glossary of Iconic LGBT Flags and Symbols"। Mashable। Mashable, Inc.। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ "History, Bi Activism, Free Graphics"। BiFlag.com। ১৯৯৮-১২-০৫। ২০১২-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৩।
- ↑ "Pride Symbols and Icons"। Association for Lesbian, Gay, Bisexual, and Transgender Issues in Counseling of Alabama। ALGBTICAL। জুলাই ৪, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০১৫।
- ↑ Rosiek, Jerry (২০০৫)। "Rainbow Flag and Other Pride Symbols"। Sears, James Thomas। Youth, Education, and Sexualities: An International Encyclopedia। 2। Westport, Conn.: Greenwood। পৃষ্ঠা 701। আইএসবিএন 0-313-32755-6।
- ↑ "Pantone color conversion chart at goffgrafix.com"। ১২ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ HEX to RBG Conversion Tool at Colorrrs.com