উত্তর ফাল্গুনী

অসিত সেন পরিচালিত ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় বাংলা ড্রামা চলচ্চিত্র

উত্তর ফাল্গুনী হল ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় বাংলা ড্রামা চলচ্চিত্র। এই ছবিটি পরিচালনা করেন অসিত সেন এবং প্রযোজনা করেন উত্তম কুমার। ছবিটিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন সুচিত্রা সেন (দ্বৈত চরিত্রে), বিকাশ রায় ও দিলীপ মুখোপাধ্যায়।

উত্তর ফাল্গুনী
পরিচালকঅসিত সেন
প্রযোজকউত্তম কুমার
চিত্রনাট্যকারনৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়
কাহিনিকারনীহাররঞ্জন গুপ্ত
শ্রেষ্ঠাংশেসুচিত্রা সেন
বিকাশ রায়
সুরকাররবীন চট্টোপাধ্যায়
চিত্রগ্রাহকঅনিল গুপ্ত
জ্যোতি লাহা
সম্পাদকতরুণ দত্ত
মুক্তি
  • ১১ অক্টোবর ১৯৬৩ (1963-10-11) (ভারত)
দেশভারত
ভাষাবাংলা

১১ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে এই ছবিটি শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে।[] অসিত সেন নিজেই মমতা (১৯৬৬) নামে এই ছবিটি হিন্দিতে পুনর্নির্মাণ করেন। সেই ছবিতেও সুচিত্রা সেন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন।[] ছবিটি কাবিয়া তালাইবি নামে তামিলে[] এবং পুষ্পাঞ্জলি নামে মালয়ালমে পুনর্নির্মিত হয়।[]

পটভূমি

সম্পাদনা

দেবযানীকে ( সুচিত্রা সেন ) জোর করে লম্পট রাখালের (কালীপদ চক্রবর্তী) সাথে বিয়ে দেওয়া হয়, যে তখন তাকে মদপান করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জনের জন্য বেশ্যাবৃত্তিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। রাখালের সন্তানে গর্ভবতী হয়ে, সে তার জীবন শেষ করতে বন্দীদশা থেকে পালিয়ে যায়। ট্রেনে যাবার সময় সে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে, তবে একটি গাইনেওয়ালি বাড়ির মালকিন ( ছায়া দেবী ) তাকে উদ্ধার করে, সে লখনউতে তার কোঠা নিয়ে আসে, যেখানে দেবযানী সুপর্ণা নামে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় এবং বাইজি হয়ে নতুন নাম নেয় পান্নাবাঈ। ইতিমধ্যে রাখাল তাকে খুঁজে বের করে এবং তাকে হেনস্থা ও ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে, তাই সে কলকাতায় পালিয়ে আসে এবং সুপর্ণাকে একটি মিশনারী হোস্টেল স্কুলে ভর্তি করে যাতে তার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারেন ও তার মেয়েটি একটি ভাল এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে।

ঘটনাচক্রে, তিনি তার প্রাক্তন প্রেমিক, মনীশ রায় ( বিকাশ রায় ) সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, সে এখন একজন বিখ্যাত আইনজীবী, এবং তার করুণ কাহিনী শুনে তাকে বিবাহ করবার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু দেবজানি ভয় পায় যে সে তার নাম খারাপ করবে, বরং তার মেয়ে, সুপর্ণার যত্ন নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। মনীশ রাজি হন, আর সুপর্ণার অভিভাবক হন।

কয়েক বছর পেরোনোর পরে, প্রাপ্তবয়স্কা সুপর্ণা ( সুচিত্রা সেন ) দেশে ফেরেন আইনজীবী হয়ে যাকে মণীশ তার অনাথ বঞ্ঝি হিসাবে মানুষ করেছেন। সুপর্ণা মনিশের সহকারী ইন্দ্রনীল (দিলীপ মুখার্জি)-এর প্রেমে পড়েন। বৃদ্ধা পান্নাবাই হৃদ্‌রোগে ভুগছেন। রাখাল যখন বুঝতে পারল যে সুপর্ণা তার মেয়ে, সে সুপর্ণাকে তার আসল পরিচয় ফাঁস করে দেবার হুমকি দিয়ে আবারও পান্নাভাই ওরফে দেবজানীকে ব্ল্যাকমেল করতে ফিরে আসে। দেবযানী তাকে তর্কের উত্তাপে গুলি করে এবং আদালতে মণীশ তার হয়ে মামলা লড়ে। সুপর্ণা মণীশকে একজন চরিত্রহীন, পতিত মহিলার প্রতিরক্ষার দোষারোপ করে। তবে মণীশ যখন তাকে দেবজানীর আসল গল্পটি বলে এবং তার কাছে তার আসল পরিচয়টি প্রকাশ করে। সে আদালতে দেবজানীকে রক্ষার জন্য নিজেই দায়িত্ব নেয়, আর এই প্রক্রিয়ায় বিরোধী আইনজীবীর সাথে যুক্তিতে, সে শিকার করে এই মহিলাটি তার মা। শেষের দৃশ্যে, দেবজানি শান্তির আনন্দে তার মেয়ের কোলে মারা যায়।

কলাকুশলী

সম্পাদনা

সাউন্ডট্র্যাক

সম্পাদনা

সকল গানের সুরকার রবিন চট্টোপাধ্যায়।

নং.শিরোনামPlaybackদৈর্ঘ্য
১."কৌন তরহ্‌ সে তুম"সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়৩:১৩
২."তোরে নইনা লাগে"সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, ছায়া দেবী২:৫৭
৩."তুম চতুর (মেডলি)"সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়২:৪২
৪."জিন্দেগি কি এক ভুল"সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়৩:২৩

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "11th National Film Awards"International Film Festival of India। ২ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "Forgotten heroes of Bengali screen"The Times of India। ২৪ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  3. Vamanan (২৩ এপ্রিল ২০১৮)। "Tamil cinema's Bong connection"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  4. Ganguly, Ruman (২৭ নভেম্বর ২০১৯)। "Remakes of Bengali films: What's new in this trend?"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

টেমপ্লেট:শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার