উইলি ওয়াগটেইল

পাখি প্রজাতি

উইলি ওয়াগটেইল, দ্বিপদ নাম Rhipidura leucophrys, প্যাসারিন জাতের পাখি, অস্ট্রেলিয়া, নিউ গায়ানা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, বিসমার্ক আর্কিপেলাগো এবং ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাংশের নেটিভ পাখি। এসব এলাকায় এদের সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়। উইলি ওয়াগটেইলের তিনটি উপপ্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে।

উইলি ওয়াগটেইল
মেলবোর্ন বোটানিক্যাল গার্ডেন, অস্ট্রেলিয়া
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: কর্ডাটা
গোষ্ঠী: ডাইনোসরিয়া (Dinosauria)
গোষ্ঠী: সরিস্কিয়া (Saurischia)
গোষ্ঠী: থেরোপোডা (Theropoda)
গোষ্ঠী: Maniraptora
গোষ্ঠী: আভিয়ালে (Avialae)
শ্রেণি: এভিস (Aves)
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস (Passeriformes)
পরিবার: Rhipiduridae
গণ: Rhipidura
Latham, 1801
প্রজাতি: R. leucophrys
দ্বিপদী নাম
Rhipidura leucophrys
Latham, 1801
Subspecies

R. l. leucophrys
R. l. melaleuca
R. l. picata

উইলি ওয়াগটেইলের বিস্তৃতি

শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা

ইংরেজ পক্ষীবিদ জন ল্যাথাম ১৮০১ সালে সর্বপ্রথম উইলি ওয়াগটেইল কে বর্ণনা করে টারডাস লিউকোফ্রাইস নামে। লিউকোফ্রাইস এসেছে প্রাচীন গ্রীক লিউকস (সাদা) এবং ওফ্রাইস (ভ্রু) থেকে। এদের বর্তমান গণ নাম এসেছে গ্রীক আরহিপিস (পাখা) এবং অওরা (লেজ) থেকে।

বর্ণনা সম্পাদনা

প্রাপ্তবয়স্ক ওয়াগটেইল লম্বায় ১৯–২১.৫ সেমি (৭.৫–৮.৫ ইঞ্চি), ডানার বিস্তৃতি ১৭–২৪ সেমি (৬.৭–৯.৪ ইঞ্চি), ওজন ০.৬-০.৮৬ আউন্স এবং লেজের দৈর্ঘ্য ১০–১১ সেমি (৩.৯–৪.৩ ইঞ্চি)। এদের চঞ্চুর দৈর্ঘ্য ১.৬৪–১.৯৩ সেমি (০.৬৫–০.৭৬ ইঞ্চি), মাথার দিকে হুকের মত বাঁকানো। অন্যান্য ফ্যানটেইল পাখির তুলনায় এদের পা লম্বা। চঞ্চু, পা উভয়ই কালো এবং চোখের আইরিশ গাঢ় বাদামী। পুরুষ এবং স্ত্রী পাখি দেখতে একই রকম।

বাসস্থান সম্পাদনা

উইলি ওয়াগটেইল পাখিদের দেখতে পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়া, নিউ গায়ানা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, বিসমার্ক আর্কিপেলাগো এবং ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাংশে। বাসার জন্য এরা ঘন জঙ্গল এড়িয়ে চলে যেমন রেইন ফরেস্ট। অর্ধ উন্মুক্ত জঙ্গল অথবা ঘাসের রাজ্যের পাশের গাছে এরা বাসা তৈরী করে যেখানে আদ্রভূমি অথবা জলের উপস্থিতি আছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Rhipidura leucophrys"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা