আদার ওয়ার্ল্ডস কল্পবিজ্ঞান পত্রিকার প্রচ্ছদে একটি রকেটের ছবি, সেপ্টেম্বর ১৯৫১

মহাকাশ ভ্রমণ বা মহাকাশযাত্রা কল্পবিজ্ঞানের একটি প্রধান ধ্রুপদী বিষয়। অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে নক্ষত্রযাত্রা নামেও অভিহিত করা হয়। সাধারণভাবে কল্পবিজ্ঞান আখ্যানবস্তুর বৈশিষ্ট্যসূচক ছবির সঙ্গে যুক্ত মহাকাশযাত্রার বিষয়টিই সচরাচর ক্ষেত্রে পাঠকের মনোযোগ সর্বাধিক আকর্ষণ করে থাকে। কল্পবিজ্ঞান গল্প, উপন্যাস, চলচ্চিত্র প্রভৃতিতে আন্তঃগ্রহ ও আন্তঃনাক্ষত্রিক উভয় প্রকার মহাকাশযাত্রাই সাধারণভাবে মহাকাশযানের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে দেখা যায়। তবে এক-একটি রচনায় মহাকাশযান প্রচালনের পদ্ধতিটি এক এক রকমের; তার মধ্যে বৈজ্ঞানিকভাবে আপাতগ্রাহ্য পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ কাল্পনিক নানা রকম পদ্ধতির উল্লেখ পাওয়া যায়। কোনও কোনও লেখক মহাকাশযাত্রার বাস্তব, বিজ্ঞানসম্মত ও শিক্ষাগত দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ আরোপ করেন; কেউ আবার এই ধারণাটিকে স্বাধীনতার রূপক হিসেবে দেখেন, যার অন্যতম একটি দিক হল “সৌরজগতের কারাগার থেকে মানবজাতির মুক্তি”। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রতীক হিসেবে বর্ণিত রকেটের ধারণাটিও জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল কল্পবিজ্ঞানের মাধ্যমেই। তবে দি এনসাইক্লোপিডিয়া অব সায়েন্স ফিকশনের মতে, “কল্পবিজ্ঞানে যে সব উপায়ে মহাকাশযাত্রা সম্ভব হয়েছে – [অর্থাৎ] এটির অসংখ্য ও বিভিন্ন রকমের মহাকাশযান – বিষয়বস্তুর কল্পিত প্রভাবের উপর এগুলোর গুরুত্ব সর্বদাই গৌণ”। (বাকি অংশ পড়ুন...)