ঈদ মোবারক
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (মে ২০২২) |
ঈদ মোবারক বা ঈদ মুবারক (আরবি: عيد مبارك) হলো মুসলিমদের একটি ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছাবাক্য, যার অর্থ "আনন্দ উদযাপন কল্যাণময় হোক"। এটি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহায় পরস্পরকে বলে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়ে থাকে।
ঈদ মোবারক | |
![]() ঈদ মোবারক ক্যালিগ্রাফি | |
আরবি | عيد مبارك |
---|---|
আক্ষরিক অর্থ | আনন্দ উদযাপন কল্যাণময় হোক |
কিছু রাষ্ট্রে এই শুভেচ্ছা বিনিময় একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং কোনো ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার অংশ নয়। এই শুভেচ্ছাবাক্যটি শুধু এই দুই মুসলিম উৎসবের সময় ব্যবহৃত হয়।
আঞ্চলিক বৈচিত্র্যসম্পাদনা
মুসলিম বিশ্বে ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অন্যান্য অনেক শুভেচ্ছাবাক্য রয়েছে। ঈদুল ফিতরের সময় নবি মুহাম্মদ সাহাবিদের সাথে সাক্ষাতের সময় একে অপরকে বলতেন “তাকাব্বাললাল্লাহু মিন্না ওয়া মিন্কুম্”, অর্থ: "আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন"।[১] মুসলিম বিশ্ব জুড়ে, ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে অনেক বৈচিত্র্য বিদ্যমান।
আরব বিশ্বসম্পাদনা
আরব মুসলমানরা “ঈদ মোবারক” শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন এবং দিনটির শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তাদের আরো বিভিন্ন উপায় রয়েছে। কিছু আরব “কুল্'আম্ ওয়ান্তুম্ বিখাইর্” (كل عام و تمنتم بخير) বলেন, যার অর্থ “আপনার প্রতিটি অতিবাহিত বছর ভালো যাক”। উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোতে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আরেকটি সাধারণ শব্দ রয়েছে যা হলো “মিনাল আইদিন্ ওয়াল্ ফাইজিন্” (من العايدين والفايزين), যার অর্থ “আমরা যেন [আরও একবার] পবিত্র হতে পারি এবং আমরা যেন [আমাদের রোজাতে] সফল হতে পারি”, এবং এটির উত্তর হিসেবে “মিনাল্ মাক্বুলিনা ওয়াল্ ঘানিমিন্” (من المقبولين والغانمين), যার অর্থ “[আমাদের সৎকর্ম আল্লহ দ্বারা] গৃহীত হোক এবং আমরা যেন [জান্নাত] লাভ করতে পারি”।
দক্ষিণ এশিয়াসম্পাদনা
ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে শুভেচ্ছা হিসেবে "ঈদ মোবারক" বলা হয়। এছাড়া ঈদের নামাজ শেষে একে অপরকে জড়িয়ে কোলাকুলি করে থাকেন।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২৫ জুন ২০১৭। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।