ইলিয়াস বে মসজিদ পশ্চিম তুরস্কের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি ইলিয়াস বে (১৪০২-১৪২১) কর্তৃক ১৪০৩ সালে তুর্কি মেন্তেশে আমিরাতের শাসনকালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১]

ইলিয়াস বে মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানমিলেত, দিদিম, আইদিন প্রদেশ, তুরস্ক
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীসেলজুক স্থাপত্য
সম্পূর্ণ হয়১৪০৩
বিনির্দেশ
গম্বুজের ব্যাস (ভেতরে)১৪ মি (৪৬ ফু)
উপাদানসমূহপাথর, মার্বেলইট
ওয়েবসাইট
www.miletilyasbey.com
ইলিয়াস বে মসজিদ

স্থাপত্য সম্পাদনা

মসজিদটি একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি গোসলখানার সমন্বয়ে গঠিত একটি কমপ্লেক্সে।নামাজঘরটিতে ১৪ মি (৪৬ ফু) ব্যাসের একটি গম্বুজ আছে।যেটি ইটের তৈরি এবং টাইলস দিয়ে আচ্ছাদিত একটি অষ্টভুজাকার ভিত্তির উপর বসানো।১৯৫৫ সালের ভূমিকম্পে ইটের মিনার ভেঙে পড়ে।কমপ্লেক্সটি মিলেটাস প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের মধ্যে অবস্থিত।কমপ্লেক্সের পাশে একটি গোসলখানা সহ বাইজেন্টাইন যুগের একটি ভিলার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয় ।

ইলিয়াস বে মসজিদটি ২০২১ সালে সংরক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রাইজ ফর কালচারাল হেরিটেজ / ইউরোপা নস্ট্রা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়।

 
মসজিদটির সম্মুখ দৃশ্য

ইলিয়াস বে মসজিদে সেলজুক স্থাপত্যের অনেক বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করা হয়েছে।স্থাপত্যের এই শৈলীটি তুর্কি স্থপতিদের। যা পারস্য-অনুপ্রাণিত শিল্প ও স্থাপত্যকে তুরস্ক ও অটোমান সাম্রাজ্যে আনতে সাহায্য করেছিল এবং তুরস্কের স্থাপত্য শৈলীর পরিবর্তন করে।[২]

ইলিয়াস বে মসজিদ তুরস্কের সোকে শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক স্থান হিসেবে পরিচিত। মসজিদটির বর্গাকার ব্লকটি মূল স্থাপত্য পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে তৈরী যা তারা মসজিদের মূল নকশার জন্য পরিকল্পনা করেছিল।মিনারটি বারোক স্থাপত্যশৈলীর উপর ভিত্তি করে তৈরি। পার্সিয়ান সংস্কৃতি ইলিয়াস বে মসজিদ এর সেলজুক অনুপ্রাণিত মিনার সহ এর নকশা ও নির্মাণকে প্রভাবিত করেছে।[৩][৪][৫]

এই মসজিদটিতে গ্রীক, রোমান, বাইজেন্টাইন, সেলজুক এবং উসমানীয় সহ অনেক স্থাপত্য শৈলী ব্যবহার করা হয়েছে যা এই মসজিদটিকে বেশিরভাগ মসজিদ থেকে অনন্য করে তুলেছে।মসজিদের আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হল গম্বুজটি, যা নির্মাণের সময় তামা দিয়ে আবৃত ছিল,অন্য অনেক মসজিদের মতো সোনা দিয়ে নয়।এছাড়াও এর দেয়ালগুলিকে আরও মার্জিত এবং টেকসই করার জন্য পুনরায় মার্বেল ব্লক দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়।[৬]

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. archnet.org
  2. Çağaptay, Suna. “FRONTIERSCAPE: RECONSIDERING BITHYNIAN STRUCTURES AND THEIR BUILDERS ON THE BYZANTINE-OTTOMAN CUSP.” Muqarnas Online, vol. 28, no. 1, BRILL, 2011, pp. 157–93, doi:10.1163/22118993-90000177.
  3. Kadioglu, Selma, et al. “Ground Penetrating Radar and Microwave Tomography for the Safety Management of a Cultural Heritage Site: Miletos Ilyas Bey Mosque (turkey).” Journal of Geophysics and Engineering, vol. 10, no. 6, Dec. 2013, p. 11, doi:10.1088/1742-2132/10/6/064007.
  4. OKane, Bernard. Studies in Persian Art and Architecture. American University in Cairo Press, 1996.
  5. Goodwin, Godfrey. A History of the Ottoman Architecture. Thames and Hudson, 1971.
  6. “ILYAS BEY KLLIYESI.” ILYAS BEY KLLIYESI, http://www.miletilyasbey.com/#.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা