ইলা ভাট

ভারতের স্বনির্ভর নারী সমিতি (এস ই ডাব্লুউ এ) -এর প্রতিষ্ঠাতা

ইলা রমেশ ভাট (জন্ম: ৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৩৩) হলেন একজন ভারতীয় সমবায় সংগঠক, কর্মী এবং একজন গান্ধীবাদী[১] তিনি ১৯৭২ সালে ভারতের স্ব-কর্মসংস্থান মহিলা সমিতি (এসইডব্লিউএ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এর সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি গুজরাত বিদ্যাপীঠের বর্তমান আচার্য। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ভাট একজন আইনজীবী হয়েছিলেন। শ্রমিক আন্দোলন, সমবায় আন্দোলন এবং ক্ষুদ্র অর্থায়ন আন্দোলনের একটি অংশ ছিলেন ভাট। এছাড়াও তিনি সাধারণ জনগনের সহায়তা করার জন্য ১৯৭৭ সালে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে রাইট লাইভলিহুড পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। অতঃপর ১৯৮৬ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মভূষণ খেতাব প্রদান করেছেন।[২]

ইলা ভাট
২০১৩ সালে ইলা ভাট
জন্ম (1933-09-07) ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ (বয়স ৯০)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাআইনজীবী, সমাজসেবী
দাম্পত্য সঙ্গীরমেশ ভাট
ওয়েবসাইটsewa.org

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

ইলা ভাট ১৯৩৩ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির (বর্তমানে মহারাষ্ট্র) আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা সুমন্ত্রাই ভাট ছিলেন একজন সফল আইনজীবী, তাঁর মা বনলীলা ব্যাস মহিলা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী এবং সর্বভারতীয় মহিলা সম্মেলনের (যেটি কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন) সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি তাঁর বাবা মায়ের তিন কন্যার মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন। তিনি সুরাট শহরে তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছিলেন, যেখানে তিনি ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত সর্বজনিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ১৯৫২ সালে সুরাটের এমটিবি কলেজ (দক্ষিণ গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতক শেষ হওয়ার পরে ইলা আহমেদাবাদের স্যার এল এ শাহ ল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি আইন বিষয়ে ডিগ্রি এবং হিন্দু আইন বিষয়ে কাজের জন্য একটি স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন।[৩]

পেশা সম্পাদনা

ইলা ভাট মুম্বইয়ের এসএনডিটি নারী বিশ্ববিদ্যালয়-এ (যা এসএনডিটি নামে সুপরিচিত) অল্প সময়ের জন্য ইংরেজি বিভাগে শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে তিনি আহমেদাবাদে টেক্সটাইল লেবার অ্যাসোসিয়েশনের (টিএলএ) আইন বিভাগে যোগদান করেছিলেন।

১৯৫৬ সালে, ইলা ভাট রমেশ ভাটকে (বর্তমানে মৃত) বিয়ে করেছিলেন। গুজরাত সরকারের সাথে কিছু সময়ের জন্য কাজ করার পরে, ইলাকে ১৯৬৮ সালে টিএলএর মহিলা শাখার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এই ঘটনাক্রমে তিনি ইসরায়েল গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি তিন মাস তেল আবিবের আফ্রো-এশীয় শ্রম ও সমবায় ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেছিলেন, ১৯৭১ সালে শ্রম ও সমবায় আন্তর্জাতিক ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

ইলা ভাট ১৯৫৬ সালে রমেশ ভাটের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, পরবর্তীকালে এই দম্পতির দুটি সন্তান হয়; অমিময়ী (জন্ম: ১৯৫৮) এবং মিহির (জন্ম: ১৯৫৯)।[৩] তিনি বর্তমানে পরিবারের সাথে গুজরাতের আহমেদাবাদে বসবাস করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Duncan, Natricia (২৭ জুন ২০১৪)। "Empowering Indian women through employment"The Guardian 
  2. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৫ 
  3. "Awardees Biography"। Ramon Magsaysay Award Foundation। ১০ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩