ইরুলা হল একটি দ্রাবিড় জাতিগোষ্ঠী যারা ভারতের তামিলনাড়ু, কেরালা এবং কর্ণাটক রাজ্যে বসবাস করে।[২] তারা ইরুলিগা নামেও পরিচিত। এটি একটি তফসিলি উপজাতি এবং এই অঞ্চলে তাদের জনসংখ্যা প্রায় ২০০,০০০ জন। [৩] [৪] ইরুলা জাতিগোষ্ঠীর লোকজন নিজেদের ইরুলার বলে থাকে এবং তারা ইরুলা ভাষায় কথা বলে, যা দ্রাবিড় ভাষা-পরিবারের অন্তর্গত। [৫]

ইরুলা
তামিলনাড়ুর নীলগিরি পাহাড়ের একজন ইরুলা পুরুষ, ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দ
মোট জনসংখ্যা
২১৩,৬৪১[১] (২০১১ জনশুমারি)
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
 ভারত
Tamil Nadu১৮৯,৬২১
কেরালা২৩,৭২১
কর্ণাটক১০,২৫৯
ভাষা
ইরুলা
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী
সোলিগা, তামিল, যেরুকালা

ব্যুৎপত্তি সম্পাদনা

তামিল এবং মালায়লাম ভাষায় ইরুলার অর্থ "অন্ধকার মানুষ", মূল শব্দ ইরুল থেকে এটির উৎপত্তি, যার অর্থ "অন্ধকার।" থার্স্টন অনুমান করেছিলেন যে নামটি সম্ভবত জঙ্গলের অন্ধকারকে নির্দেশ করে যেখানে তারা বসবাস করত বা তাদের গাঢ় ত্বকের বর্ণকে ইঙ্গিত করে। [৬] [৭]

বসতি সম্পাদনা

এই উপজাতির সদস্য সংখ্যা প্রায় ২০০,০০০ যা তিনটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে: তামিলনাড়ুতে ১৮৯,৬২১, কেরালায় ২৭,৭২১ এবং কর্ণাটকে ১০,২৫৯ জন। কর্ণাটকে তারা ইরুলিগাস নামে পরিচিত। ইরুলারা প্রধানত উত্তর তামিলনাড়ুতে বসবাস করে: পশ্চিমে কৃষ্ণগিরি এবং ধর্মপুরী জেলা থেকে দক্ষিণে আরিয়ালুর এবং কুড্ডালোর জেলা এবং উত্তরে তিরুভাল্লুর জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি কীলকের মধ্যে তাদের বসতি রয়েছে। কোয়েম্বাটোর এবং নীলগিরি জেলায় তারা জনসংখ্যয় কম এবং থার্স্টন একটি ভিন্ন জনসংখ্যা হিসাবে তাদেরকে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। কেরালাতে ইরুলারা পালাক্কাদ জেলায় এবং কর্ণাটকে তারা রামানগর এবং ব্যাঙ্গালোর জেলাকেন্দ্রিক বসবাস করছে।

জিনতত্ত্ব সম্পাদনা

 
তামিলনাড়ুর ইরুলা চাষি

ইয়েলমেন এট আল (২০১৯) এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ইরুলা আদিবাসীদের প্রাচীন পূর্বপুরুষ দক্ষিণ ভারতীয়।[৮] রাখিগড়িতে পাওয়া সিন্ধু সভ্যতার একটি কঙ্কালের ডিএনএ বিশ্লেষণ (২০১৮) ভারতের অন্য যেকোনো আধুনিক জাতিগোষ্ঠীর তুলনায় ইরুলা জনগণের সাথে অধিকতর সাদৃশ্যপূর্ণ মনে হয়। [৯]

ভাষা সম্পাদনা

ইরুলারা ইরুলা ভাষায় কথা বলে, এটি একটি দ্রাবিড় ভাষা যা তামিলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। [১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "A-11 Individual Scheduled Tribe Primary Census Abstract Data and its Appendix"censusindia.gov.in। Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৭ 
  2. Perialwar, R. (1979), Phonology of Irula with Vocabulary, Annamalai University
  3. "World Bank grant to improve standard of living for rat-catchers"। ২৩ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  4. Irula Project Proposal and site report
  5. President gives nod to add Puducherry's Irular community in the Scheduled Tribes list
  6. Thurston, Edgar (১৯০৯)। Castes and Tribes of Southern India 
  7. H.V. Nanjundayya; L.K. Anathakrishna (১৯৩০)। The Mysore tribes and castes। Mysore, Mysore University। 
  8. Yelmen, Burack; Mondal, Mayukh (২০১৯-০৪-০৫)। "Demographic Histories and Opposite Selective Pressures in Modern South Asian Populations": 1628–1642। ডিওআই:10.1093/molbev/msz037পিএমআইডি 30952160পিএমসি 6657728  
  9. 4500-year-old DNA from Rakhigarhi reveals evidence that will unsettle Hindutva nationalists
  10. "People of the Nilgiri Biosphere Reserve"। Keystone Foundation। ২০০৬। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০০৭