ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়
ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি: University of Yangon; এবং Yangon University; বর্মী: ရန်ကုန် တက္ကသိုလ်, উচ্চারিত: [jàɴɡòʊɴ tɛʔkəθò]), যার সাবেক নাম রেঙ্গুন কলেজ, রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং রেঙ্গুন কলা ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, হলো ইয়াঙ্গুনের কামায়ুৎ শহরে অবস্থিত মায়ানমারে আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় এবং মায়ানমারের সবচেয়ে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত শিল্প, বিজ্ঞান এবং আইনের বিভিন্ন শাখায় মূলতঃ স্নাতক-পূর্ব এবং স্নাতক-পরবর্তী ডিগ্রী (স্নাতক, স্নাতকোত্তর, স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা এবং ডক্টরেট) প্রদান করে থাকে। ১৯৯৬ সালের ছাত্র বিক্ষোভের পর হতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস হতে কোনো পূর্ণ-কালীন স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সাল হতে দেশের সেরা ছাত্রদের জন্য স্নাতক ডিগ্রি দেয়ার চল পুনরায় শুরু করা হয়। বর্তমানে রাস্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেয়ার সুযোগ দেয়া হয় স্নাতক-পূর্ব শিক্ষার্থীদের আর স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমার সুযোগ রয়েছে সামাজ কার্ম এবং ভূতত্ত্ব বিষয়ের ক্ষেত্রে।
সমাবেশ কক্ষ | |
লাতিন: Vniversitatem Yangon | |
প্রাক্তন নামসমূহ |
|
---|---|
নীতিবাক্য | နတ္ထိ သမံ ဝိဇ္ဇာ မိတ္ထံ (Pali: nitthi samaṃ vijjā mitthaṃ) |
বাংলায় নীতিবাক্য | জ্ঞানের মতো বন্ধু নেই |
ধরন | সরকারি |
স্থাপিত | ১৮৭৮ |
রেক্টর | ড. ফু কাং |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১,২২৩ |
স্নাতক | ২,০০০ |
স্নাতকোত্তর | ৩,০০০ |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
অধিভুক্তি | আশিয়ান ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক (AUN), ASAIHL |
ওয়েবসাইট | uy |
![]() | |
![]() |
ইয়াংন বিশ্ববিদ্যালয় তার ইতিহাস জুড়ে গণ-আন্দোলন গড়ে ওঠার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গড়া তিনটি জাতীয় আন্দোলনই (১৯২০, ১৯৩৬ এবং ১৯৩৮) রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় হতে শুরু হয়েছিল। ঔপনিবেশিকতা বিরোধী আন্দোলনের নেতারা, যেমন জেনারেল অাং সান, ইউ নু, নে উইন এবং উ থান্ট প্রমুখ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিক্ষোভের এই ঐতিহ্য ঔপনিবেশিকতা পরবর্তী যুগ - ১৯৬২, ১৯৭৪, ১৯৮৮ এবং ১৯৯৬-এও অব্যাহত ছিল।[১]
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৭৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুমোদিত কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া রেঙ্গুন কলেজের পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলো ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা সিন্ডিকেট কর্তৃৃৃপক্ষ।[২] কলেজটিকে ১৯০৪ সালে সরকারি কলেজ নামে এবং ১৯২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ নামে পুনরায় নামকরণ করা হয়। ১৯২০ সালে রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় আইন'এর অধীনে যখন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (রেঙ্গুন কলেজ-ধর্মনিরপেক্ষ) এবং জুডসন কলেজ (ব্যাপটিস্ট-অনুমোদিত) সংযুক্ত হয় তখন প্রতিষ্ঠা হয় রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের।[৩] আমেরিকান ব্যাপটিস্ট মিশন রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি পৃথক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জুডসন কলেজ (সাবেকঃ ব্যাপটিস্ট কলেজ)-কে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।[২] কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়।[৪] ব্রিটিশদের দ্বারা উচ্চশিক্ষা প্রদানের জন্য স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলি - ১৯২৫ সালে মান্দালয়ে স্থাপিত মান্দালয় কলেজ, ১৯৩০ সালে রেঙ্গুনে স্থাপিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ এবং মেডিকেল কলেজ এবং ১৯৩৮ সালে মান্দালয়ে স্থাপিত কৃষি কলেজ রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হতো।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Zin Linn (২০ নভেম্বর ২০১২)। "President Obama rejuvenates Rangoon University of Burma"। Asian Correspondent। Bristol, England: Hybrid News Limited। ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল (News & blogging) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১২।
People of Burma ... satisfied with the choice of a venue made by the US President ... the convocation hall of the University of Rangoon....
- ↑ ক খ James, Helen (২০০৫)। Governance And Civil Society In Myanmar: Education, Health, and Environment। Routledge। আইএসবিএন 0-415-35558-3।
- ↑ Shoon Naing and Lun Min Mang (৯ আগস্ট ২০১৬)। "'8888 Uprising' remembered in Yangon"। Myanmar Times। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Khin Maung Kyi (২০০০)। Economic Development of Burma: a Vision and a Strategy। SUP। পৃষ্ঠা 150। আইএসবিএন 91-88836-16-9।
- ↑ Ko Yin Aung (২৩ ডিসেম্বর ১৯৯৯)। "Prospects of education in Myanmar"। The New Light of Myanmar।