ইবরাহিম খাঁ সরকারি কলেজ
ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[১] বর্তমানে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (পাশ), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাঠ প্রদান করা হয়।[২] বর্তমানে ৭৪৩৬ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে।
![]() | |
ধরন | সরকারি |
---|---|
স্থাপিত | ১ জুলাই ১৯৪৮ |
প্রতিষ্ঠাতা | ইব্রাহিম খাঁ |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড |
ইআইআইএন | ১১৪০৬৪ |
অধ্যক্ষ | কামরুজ্জামান সরকার |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৪৯ |
স্নাতক | ৩,২১১ |
স্নাতকোত্তর | ৪৮৫ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ৭,৪৩৬ |
অন্যান্য শিক্ষার্থী | ২৭৪০ |
ঠিকানা | , , ১৯৬০ , বাংলাদেশ |
শিক্ষাঙ্গন | গ্রামীণ, ৭.৩৪৪৫ একর (২.৯৭২২ হেক্টর) |
ভাষা | বাংলা |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৪৮ সালে ৪ঠা এপ্রিল ইবরাহীম খাঁর উদ্যোগে আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি করে ‘ভূঞাপুর কলেজ’-এর অর্গানাইজিং কমিটি গঠন করে কলেজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১লা জুলাই মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১০২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ভূঞাপুর হাই স্কুলে অস্থায়ীভাবে কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। কলেজের প্রথম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে হালিমুজ্জামান খান দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৬৫ সালে স্নাতক (কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা) এবং ১৯৭২ সালে স্নাতক (বিজ্ঞান) পাস কোর্স খোলার মাধ্যমে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি কলেজের মর্যাদা লাভ করে।
১৯৭৮ সালে ইবরাহীম খাঁ’র মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য কলেজটি ‘ইবরাহীম খাঁ কলেজ’ নামকরণ করা হয়। কলেজটি ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স খোলার অনুমতি লাভ করে। ১৯৯৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা, দর্শন, সমাজকর্ম ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স, ১৯৯৭ সালে সমাজকর্ম, ব্যবস্থাপনা ও প্রাণিবিদ্যা এবং ২০১৬ সালে বাংলা, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান ও হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু করার অনুমতি লাভ করে। ১৯৯৮ সালে কলেজটিতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে কলেজে ০৫টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ১ম ও শেষ পর্ব, ০৭টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান), ১৮ টি বিষয়ে স্নাতক (পাস) কোর্স এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাঠদান করা হয়।
১৯৮০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাশ) স্তর, ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর স্তর, ১৯৯৮ সালে এইচএসসি বিএমটি স্তর এবং ১৯৯৯ সালে স্নাতক (সম্মান) স্তর এমপিওভুক্ত করণ হয়। পরিশেষে ২০১৩ সালের ১১ই অক্টোবর কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়।
অবকাঠামো
সম্পাদনাকলেজটি প্রায় ৭ একর জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষক-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ১৮টি অস্থায়ী বাসা, ০৩টি মার্কেট, কলেজ গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাব। এর রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও সুবিশাল ক্যাম্পাস। তৃণাচ্ছাদিত খেলার মাঠে সারা বছর ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টনসহ নানা ধরনের খেলাধুলার চর্চা হয়ে থাকে।
উপলব্ধ কোর্স
সম্পাদনা- উচ্চ মাধ্যমিক
- বিজ্ঞান
- মানবিক
- ব্যবসায় শিক্ষা
- এইচএসসি বিএমটি (নিষ্ক্রিয়)
- স্নাতক (পাস)
- বিএ (পাস)
- বিএসএস (পাস)
- বি.এসসি. (পাস)
- বিবিএস (পাস)
- স্নাতক (সম্মান)
- বাংলা
- সামাজকর্ম
- অর্থনীতি
- হিসাববিজ্ঞান
- ব্যবস্থাপনা
- প্রাণিবিদ্যা
- মনোবিজ্ঞান
- মাস্টার্স ফাইনাল
- বাংলা
- ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- দর্শন
- সামাজকর্ম
- ব্যবস্থাপনা
- মাস্টার্স প্রিলিমিনারি
- ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- দর্শন
- সামাজকর্ম
- ব্যবস্থাপনা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত"। Daily Inqilab। ৩০ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)"। www.banbeis.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৪।