ইপ্লিক পাজারি মসজিদ

মসজিদ

ইপ্লিক পাজারি মসজিদ ( তুর্কি: İplik Pazarı Camii) হলো প্রাচীর ঘেরা নিকোসিয়ার শহরের ইপলিক বাজার-কোরকুট এফেন্দি কোয়ার্টারে অবস্থিত একটি মসজিদ। এই মসজিদটি বর্তমানে উত্তর নিকোশিয়ায় ইপ্লিক পাজারি রাস্তায় অবস্থিত।[১] এই মসজিদের মিনারটি সাইপ্রাসের মধ্যে থাকা পাথরের ক্যাপের মিনারগুলোর মধ্যে একটি।

ইপ্লিক পাজারি মসজিদ
ইপ্লিক পাজারি ক্যামি
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিসুন্নি ইসলাম
মালিকানাইভকাফ প্রশাসন
অবস্থাচালু
অবস্থান
অবস্থানইপলিক বাজার-কোরকুট এফেন্দি, নিকোসিয়া, সাইপ্রাস
পৌরসভানিকোসিয়া তুর্কি পৌরসভা
স্থাপত্য
অর্থায়নেহাকি আহমেদ আগা
মুহাম্মদ সাদিক বে
সম্পূর্ণ হয়১৮২৬ (প্রাথমিক মসজিদ, বর্তমান মিনার)
১৮৯৯ (বর্তমান মসজিদ)
বিনির্দেশ
সম্মুখভাগের দিকউত্তর-পশ্চিম
মিনারএক

অবস্থান সম্পাদনা

মসজিদটির চারপাশ ঘিরে রয়েছে সুতো প্রস্তুতকারকদের (ইপ্লিক পাজারি) একটি বাজার, যেখান থেকে বর্তমান এই নামটি এসেছে।[২]

ইতিহাস সম্পাদনা

মসজিদের ভবনটি ১৯ শতকে তৈরি। এর প্রাথমিক নির্মাণ ১৯ শতকের গোড়ার দিকে সাইপ্রাসের গভর্নর হাকি আহমেদ আগা (উনি সাইপ্রাসের শেষ গভর্নর যিনি মুহাসিলের প্রাক-তানজিমাত উপাধি ধারণ করেছিলেন) দ্বারা পৃষ্ঠপোষককৃত ছিল। ১৮২৬ এর দিকে মসজিদের একটি শিলালিপিতে সাইপ্রাসের এই গভর্নরের পৃষ্ঠপোষকতার বিবরণ উল্লেখ করা আছে। এর পূর্বের দিনগুলোতে, মসজিদটি "মুহাসিল হাকি আহমেদ আগা মসজিদ" নামেও পরিচিত ছিল। ব্রিটিশ আমলের ১৮৯৮ সালে দাতব্য ফাউন্ডেশন বোর্ডের সদস্য (vakıf murahhas üyesi) মুহাম্মদ সাদিক বে-এর পৃষ্ঠপোষকতায় এই ভবনটি বর্তমান মসজিদে প্রতিস্থাপিত করা হয়। মূলত মসজিদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল।[৩]

স্থাপত্য সম্পাদনা

মসজিদটির উপযোগবাদী বৈশিষ্ট্যের জন্য একে একটি অপেক্ষাকৃত সরল স্থাপত্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়।[৪] এর একটি আয়তকার নকশা রয়েছে যা উত্তর-পশ্চিম-দক্ষিণ-পূর্ব অক্ষের উপর প্রসারিত। উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত নর্থেক্স (সন সিমাত ইয়েরি) এর সামনের দিকে তিনটি খিলান এবং প্রতিটি পাশে একটি খিলান রয়েছে। এটি সাধারণ কাটা পাথর দিয়ে নির্মিত হয়েছিল। তবে, মসজিদের বাকি অংশ একই উপাদান ব্যবহার করে নির্মিত হয়নি, বরং অনিয়মিতভাবে কাটা পাথর এবং ধ্বংসস্তূপের ভরাট ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল।[৩]

নারথেক্স থেকে প্রার্থনা এলাকায় (হারিম) প্রবেশপথে খিলানযুক্ত দুইটি শিলালিপি রয়েছে। এর মধ্যে একটি ১৮২৬ সালে মসজিদ নির্মাণের সময়ের। [৩] অন্যটি, ১৮৯৯ সালের, যেটি সাইপ্রিয়ট ক্যালিগ্রাফার কুতুবুল এল হাক মেহমেত আরিফ তালিক লিপিতে খোদাই করেছিলেন। এটি মসজিদের পুনর্নির্মাণ এবং মুহাম্মাদ সাদিক বে কর্তৃক অন্যান্য বিভিন্ন উপকারের বর্ণনা দেয়।[৫]

পুরুষদের প্রার্থনা এলাকার দক্ষিণ-পূর্ব দেয়ালে একটি সাধারণ মিহরাব এবং চমৎকার ফুলের কাঠের কাজসহ একটি কাঠের মিম্বর রয়েছে। উত্তর-পূর্বে একটি কাঠের সিঁড়ি নারীদের প্রার্থনার জায়গার দিকে নিয়ে যায়।[৩]

মিনারটি, যার দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা যায়, সেটি সাইপ্রিয়ট ধর্মীয় স্থাপত্যের দিক থেকে বিশেষ মর্যাদার কারণ এর একটি পাথরের ক্যাপ রয়েছে আর এমনটি খুব কম মিনারের মধ্যে দেখা যায়। এটি ১৯ শতকের গোড়ার দিকে হাকি আহমেদ আগা দ্বারা নির্মিত প্রাথমিক মসজিদের অন্তর্গত এবং বাকি ভবনগুলোর থেকে প্রাচীন।[৩]

মসজিদের আঙিনায় ব্রিটিশ আমলে নির্মিত একটি ষড়ভুজাকৃতির পানির ফোয়ারা রয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে আঙিনায় মাটির স্তর বেড়ে যাওয়ায়, ঝর্ণার ট্যাপগুলো ভূ-পৃষ্ঠের নীচে রেখে দেওয়া হয়েছে।[৩]

মসজিদের পাশের একটি দোকানে দুইটি সমাধির আবিষ্কার ইঙ্গিত করে যে এর পাশে একটি ছোট কবরস্থানও ছিল।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "İplik Pazarı Camii" (Turkish ভাষায়)। Nicosia Turkish Municipality। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. Gürkan, Haşmet Muzaffer (২০০৬)। Dünkü ve Bugünkü Lefkoşa (Turkish ভাষায়) (3rd সংস্করণ)। Galeri Kültür Yayınları। পৃষ্ঠা 155। 
  3. Bağışkan, Tuncer (২০০৫)। Kıbrıs'ta Osmanlı Türk Eserleri। Turkish Cypriot Association of Museum Lovers। পৃষ্ঠা 85–87। 
  4. "A Description of the Historic Monuments of Cyprus" by George Jeffery,Architect .Publ. Government Printing Office, Nicosia, 1918.
  5. Türkkol, Fatma (২০১৫)। "Kıbrıs'ta Hat Sanatı ve Kıbrıslı Hattatlar": 186–196। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২৩ 

টেমপ্লেট:উত্তর নিকোসিয়া নির্দেশক