ইন্টারনেট ব্যাংকিং
ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রমকেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং বলে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট-এ যুক্ত হয়ে ব্যাংকের নির্দিষ্ট সুরক্ষিত ওয়েবসাইট-এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশ করে। একাউন্টে প্রবেশের জন্য ব্যাংক গ্রাহককে প্রয়োজনীয় তথ্য (সাধারণত: একটি আইডি ও পাসওয়ার্ড) সরবরাহ করে। কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা দিন দিন কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।[১][২]
সুবিধা
সম্পাদনাইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারের ফলে একজন গ্রাহক নিম্নোক্ত সুবিধাগুলো পেতে পারেন:
- ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন একাউন্টে প্রবেশের সুবিধা
- হিসাবের ব্যালেন্স অনুসন্ধান
- এক স্থান (অ্যাকাউন্ট) থেকে অন্য স্থানে (অ্যাকাউন্ট) অর্থ স্থানান্তর
- নিজের একাধিক হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর
- ইউটিলিটি বিল পরিশোধ (যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি)
- সুদের হার অনুসন্ধান, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অনুসন্ধান
- হিসাবের রিপোর্ট অনুসন্ধান
- চেক বই এর জন্য অনুরোধ
- চেক এর পেমেন্ট বাতিল করা
- বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিম খোলা ইত্যাদি।
বি:দ্র: ব্যাংক ভেদে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধার কিছুটা তারতম্য হতে পারে।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং
সম্পাদনাবাংলাদেশে যে সমস্ত ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা দেয় এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
- ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড
- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
প্রথম তিনটি ব্যাংকই একই সফটওয়্যার ব্যবহার করে। সফটওয়্যারটির নাম ফ্লেক্সকিউব যা আই-ফ্লেক্স সল্যুশনসএর তৈরি। ট্রাষ্ট ব্যাংক ব্যবহার করছে ফ্লোরা ব্যাংক সফটওয়্যার।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ কর্নিন, মেরি যে. (১৯৯৮)। ইন্টারনেটে ব্যাংকিং ও অর্থায়ন (ইংরেজি ভাষায়)। জন উইলি এন্ড সন্স। আইএসবিএন 978-0-471-29219-7।
- ↑ "Information Technology And The Banking Industry - 1419 Words | Bartleby"। www.bartleby.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |