ইটানগর বিমানবন্দর
ইটানগর বিমানবন্দর হল একটি "গ্রীনফিল্ড এয়ারপোর্ট প্রকল্প" যা ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের পাপুম পারে জেলার হোলোংইতে নির্মিত হবে। এটি ভারত সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) দ্বারা ৩২০ হেক্টর এলাকায় নির্মিত হচ্ছে। সম্পন্ন হলে, বিমানবন্দরটি প্রথম পর্যায়ে এয়ারবাস এ৩২১-এর মত সংকীর্ণ শরীরের উড়জাহাজগুলি ধারণ করতে সক্ষম হবে। [১] এই প্রকল্পের মধ্যে একটি পাঁচ তারকা হোটেল এবং কনভেনশন কেন্দ্র অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আগস্ট ২০১৪ সালের মধ্যে, এএআই বিমানবন্দরের চূরান্ত নকশা (এয়ারপোর্টের মাস্টার প্ল্যানটি) সম্পন্ন করেছে এবং বর্তমানে বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদনটিতে কাজ করছে।[২]
ইটানগর বিমানবন্দর | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | জনসাধারণ | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | ইটানগর | ||||||||||
অবস্থান | হলঙ্গি | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ৩২৮ ফুট / ১০০ মিটার | ||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ | |||||||||||
ইতিহাস
সম্পাদনা২০০৭ সালে, রাজ্য সরকার ইটানগর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বাঙ্গেরদেবকে এই প্রকল্পের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিবরাজ পাতিল প্রকল্পটির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।[৩] এছাড়াও, এএআইয়ের কারিগরি কমিটি ২০১১ সালে কারসিংহকে প্রকল্পটির বিকল্প স্থান হিসেবে সুপারিশ করে। এএআই নির্মাণের কম খরচ এবং ভবিষ্যতে সম্প্রসারণের সহজলভ্যতা এবং কর্মসংস্থানের নিরাপত্তার ভিত্তিতে কারসিংহয়ের সুপারিশ করেছে। কারসিংহ প্রকল্প এলাকাটি সমতল মাটিতে রাখা ছিল, খারাপ আবহাওয়ায় ভাল ব্যবহারযোগ্যতা এবং সহজে নির্মাণ ও সম্প্রসারণের সুযোগ ছিল। অপরপক্ষে, হোলোঙী প্রকল্প এলাকাটি পর্বতশ্রেণী দ্বারা বেষ্টিত ছিল এবং শুধুমাত্র একটি দিক থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামার অনুমতি প্রদান করা হয়েছিল। নির্মাণ খরচ ছিল হোলোনগির জন্য ৯৮০ কোটি টাকা, অপরপক্ষে কারসিংহ প্রকল্প এলাকাটির জন্য নির্মাণ খরচ ছিল ৬৫০কোটি টাকা। এএআই এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে প্রকল্প এলাকাটি নিয়ে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়, ফলে প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়ে যায়। জুলাই ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) শেষপর্যন্ত বিতর্কের অবসান ঘটায় এবং করসিং সাইটকে চূড়ান্ত করা হয়।[৪] কিন্তু জুলাই ২০১৪ সালে সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয় অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরের কাছাকাছি অবস্থিত হোলোনগিতে একটি গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর নির্মাণ অনুমোদন করেছে। এর পর প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চূড়ান্ত করা হয় এবং সীমান্ত প্রাচীর ও বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। আগস্ট ২০১৪ সালে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরটির জন্য একটি বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। নভেম্বর ২০১৪ সালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভি কে সিং বলেন, বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণ সম্পর্কিত বিষয়গুলি সমাধান করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি-২০১৫ সালে ভারতের পরিবেশ ও বন মন্ত্রালয় ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) কর্তৃক প্রস্তাবিত বিমানবন্দরে বন্যার সম্ভাব্যতার কারণে অরুণাচল প্রদেশের হোলুনগিতে একটি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
পরিকাঠাম
সম্পাদনাবিমানবন্দরের ২,৩০০ মিটার (৭,৫৪৬ ফুট) দীর্ঘ রানওয়েতে ছোট বিমান ওঠানামা করতে সক্ষম। রানওয়েটি পূর্ব থেকে পশ্চিম অভিমুখে নির্মাণ করা হয়েছে। একটি ১৬০×১১৫ মিটার আয়তনের অ্যাপ্রন রানওয়ের সাথে সংযুক্ত করা হবে দুটি দীর্ঘ ট্যাক্সিওয়ার দ্বারা। অ্যাপ্রনটিতে একই সময়ে দুটির বেশি এটিআর ৭২ উড়োজাহাজ অবস্থান করতে পারে। বিমানবন্দরে ডিভিওর এবং উচ্চ তীব্রতা রানওয়ে আলো (হাই ইন্টেন্সিভ রানওয়ে প্রজেক্ট বা এইচআইআরএল)-এর মত ন্যাভিগেশন সুবিধা রয়েছে।[১]
বিমান সংস্থা ও গন্তব্য
সম্পাদনাবিমান সংস্থা | গন্তব্যস্থল |
---|---|
ইন্ডিগো | কলকাতা, মুম্বই (উভয়ই ২০২২ সালের ২৮শে নভেম্বর থেকে শুরু হবে)[৫] |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Judgement and Order" (পিডিএফ)। Gauhati High Court। ১২ মার্চ ২০১৪। ২২ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Govt considering setting up of 3 greenfield airports in NE"। The Hindu Businessline। ১৩ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Entire village required for greenfield airport in Arunachal Pradesh"। Project Monitor। ২৩ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "PMO resolves tussle between AAI, Arunachal government"। The Hindu। ২৯ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৮।
- ↑ Joshi, Gaurav (১০ নভেম্বর ২০২২)। "IndiGo Announces Flights To Northeast India's Newest Airport"। Simple Flying (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২২।