ইএমআই

(ইএমআই রেকর্ডস থেকে পুনর্নির্দেশিত)

দ্যা ইএমআই গ্রুপ (ইলেকট্রিক এ্যান্ড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড) একটি ব্রিটিশ মিউজিক কোম্পানি। এটি রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রিতে রেকর্ডিং লেবেলের ৪র্থ বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ ও পরিবার এবং এটি আর আইএএ -এর সদস্য। ইএমআই গ্রুপে একটি বড় প্রকাশনা হাত আছে যা হলো নিউইয়র্ক ভিত্তিক ইএমআই মিউজিক পাবলিশিং। ১৯৩১ সালের মার্চ মাসে দ্যা ইলেকট্রিক এ্যান্ড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গঠিত হয় কলম্বিয়া গ্রামোফোন কোম্পানি ও গ্রামোফোন কোম্পানির সাথে হিজ মাস্টারস ভয়েজ লেবেলের মাধ্যমে। এই কোম্পানি প্লে ব্যাক যন্ত্রপাতি ও রেকর্ড উৎপাদন করে। এই কোম্পানির গ্রামোফোন তৈরির ৪০ বছরের সফল ইতিহাস সংগে বড় মাপের ইলেকট্রনিক্স। অ্যালান ব্ল্যামলেইন নামের একজন ইঞ্জিনিয়ার ইএমআই কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে স্টেরিও শব্দ ধারণে অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪২ সালে এইচটুএস রাডার এককের পরীক্ষা চালানোর সময় ব্ল্যামলেইন খুন হন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ও তারপরে ইএমআই পরীক্ষাগার রাডারের যন্ত্রের ও গাইডেড মিসাইলের উন্নতি সাধন করে। এই কোম্পানি পরে প্রচারযন্ত্র তৈরিতে জড়িত হয় ও বিবিসি-এর জন্য প্রথম টিভি ট্রান্সমিটার তৈরি করে। এই কোম্পানি প্রচারণার জন্য টিভি ক্যামেরাও তৈরি করে বিভিন্ন ব্রিটিশ টিভি প্রডাকশন কোম্পানি, বিশেষ করে বিবিসি-এর জন্য। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে বিবিসি ও আইটিভির জন্য ইএমআই ২০০১ রঙ্গিন ক্যামেরা তাদের তৈরি সবচেয়ে বিখ্যাত উপাদান ।স্কটল্যান্ডের গ্লেনরোথস ভিত্তিক ইমিহুস ইলেকট্রনিক্স আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার হুঘেস এয়ারক্রাফটের, ৫১% শেয়ার নিয়ে নেয় ও বাকি ৪৯% থাকে ইএমআই-এর। এটা ইন্ট্রিগ্রেটেড সার্কিট তৈরি করত ও ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝিতে খুব অল্প সময়ের জন্য জিমিনি নামে ক্যালকুলেটর তৈরি করত।ব্রিটিশ কমনওয়েথের ভারত, অস্ট্রেলিয়ানিউজিল্যান্ড-এ সহায়ক নানা প্রকল্পের জন্য দ্যা গ্রামোফোন কোম্পানি প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।১৯২০-এর দশক থেকে ১৯২০-এর দশক পর্যন্ত তারা এসব দেশের জনপ্রিয়সঙ্গীত শিল্পের রেকর্ড লেবেলের মালিকানা করত। ইএমআই-এর মনোপলি বাজারে ফেস্টিভ্যাল রেকর্ডের মতো স্থানীয় রেকর্ড লেবেল চ্যালেঞ্জ করে বসে। ১৯৩১ সালে যখন দ্যা গ্রামোফোন কোম্পানি কলম্বিয়া গ্রামোফোন কোম্পানির সাথে মিশে যায় তখন একটি নতুন অ্যাংলো-আমেরিকান গ্রুপ অঙ্গীভূত হয় ইলেকট্রিক এ্যান্ড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে। স্যার জোসেফ লকুউডের ম্যানেজম্যান্টে ১৯৫০-এর দশক শেষ থেকে ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত জনপ্রিয় সঙ্গীতে প্রচুর বাণিজ্যিক সাফল্য পায় এই কোম্পানি। বিভিন্ন দল ও একক শিল্পীরা ইএমআই ও তার সহযোগী কোম্পানি পার্লোফোন,এইচ এম ভি, কলম্বিয়া ও ক্যাপিট্যাল রেকর্ডসের সাথে চুক্তি করে তাদেরকে সেসময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সবার পরিচিত রেকর্ড কোম্পানিতে পরিণত করে।ক্লিফ রিচার্ড, দ্যা শ্যাডোস,দ্য বিটল্‌স, পিংক ফ্লয়েড, দ্যা বিচ বয়েজ ও ফ্রাঙ্ক সিনেত্রার মতো শিল্পীরা তাদের সাথে চুক্তি করে সেসময়। ১৯৬৭ সালে ইএমআই এইচ এম ভি-কে একটি ক্ল্যাসিক মিউজিক রেকর্ডসে পরিণত করে ও এইচ এম ভি-এর পপ শিল্পীদের কলম্বিয়া রেকর্ডসে প্রতিস্থাপন করে। ১৯৬৯ সালে ইএমআই নতুন একটি সহযোগী রেকর্ড লেবেল হারভেস্ট রেকর্ডস গড়ে তোলে নতুন ধারার প্রোগ্রেসিভ রক ধারার ব্যান্ডদের জন্য, যেমন পিংক ফ্লয়েড যাদের উত্থান কলম্বিয়া রেকর্ডসে। পপ স্টার রবি উইলিয়ামস ৬টি অ্যালবামের জন্য ২০০২ সালে একটি চুক্তি করে ইএমআই-এর সাথে যেখানে তাকে ১৫৭ মিলিয়ন ডলার (৮০ মিলিয়ন পাউন্ড) দিতে হয় এবং যা ছিল ব্রিটিশ মিউজিকের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা ও মিউজিক ইতিহাসে ২য় সবচেয়ে বড় চুক্তি।২০০৭ সালের ২রা এপ্রিল ইএমআই ঘোষণা করে যে তারা অ্যালবাম ডিআরএম ফ্রি ফরমেটে বাজারে ছাড়বে। এই ফরমেটের গান ও ভিডিওগুলো একটু নিম্ন মানের হবে , আর দামও কম হবে। ২০০৬ সালের মে মাসে ইএমআই ওয়ার্নার মিউজিক গ্রুপকে কিনে নিতে চায়, যদিও তারা সফল হয়নি শেষ পর্যন্ত। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইএমআই গ্রুপ জানায় যে তাদের প্রি-ট্যাক্স লস মার্চ ২০০৯-এ শেষ হওয়া বছরে ১.৭৫ বিলিয়ন পাউন্ড।

ইএমআই গ্রুপ লিমিটেড
ধরনবেসরকারী কোম্পানি
শিল্পমিউজিক শিল্প
পূর্বসূরীAssociated British Picture Corporation উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৩১
বিলুপ্তিকাল২০১২ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সদরদপ্তর
লন্ডন
,
যুক্তরাজ্য
প্রধান ব্যক্তি
রজার ফাক্সন,চীফ এ্যাক্সিকিউটিভ , ইএমআই গ্রুপ
কর্মীসংখ্যা
৫৫০০ জন (জানুয়ারি, ২০০৮)
মাতৃ-প্রতিষ্ঠানটেররা ফিরমা ক্যাপিট্যাল পার্টনারস
ওয়েবসাইটEMI Music EMI Music Publishing
লন্ডনে ইএমআই ভবন

ইএমআই লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ছিল কিন্তু আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল এবং $৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের সম্মুখীন হয়েছিল, যার ফলে ফেব্রুয়ারী ২০১১ সালে সিটিগ্রুপ এটিকে অধিগ্রহণ করে।[][]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "EMI faces uncertain fate after Citigroup takeover"। Mypaper। Singapore। Agence France-Presse। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১। পৃষ্ঠা A17। 
  2. "Citigroup buys EMI"। iPodNN। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ২৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা