আশরাফ আব্বাসি

পাকিস্তানী রাজনীতিবিদ

আশরাফ আব্বাসি (উর্দু: اشرف عباسی‎‎; সিন্ধি: اشرف عباسي) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের প্রথম নারী ডেপুটি স্পিকার।[১] তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও এই দলের নেতা  জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং বেনজীর ভুট্টোর একজন কট্টর সমর্থক ছিলেন। এছাড়াও ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। এরপর তিনি পিপিপিতে যোগদান করেন ও ১৯৭০ সালে তার নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হন।[২][৩]

আশরাফ আব্বাসি
ব্যক্তিগত বিবরণ
মৃত্যু৪ আগস্ট ২০১৪
জাতীয়তাপাকিস্তানি 
পেশারাজনীতিবিদ
জীবিকাডাক্তার

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

আশরাফ আব্বাসি ১৯৪০ সালে ডিজে কলেজ, সিন্ধু থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি দিল্লীতে যান। সেখানে লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু দিল্লী থেকে তাকে করাচিতে চলে যেতে হয়। করাচিতে এসে তিনি ডাউ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন ও এই কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। পেশাগত জীবন হিসেবে তিনি ডাক্তারিকে বেছে নেন। তার একটি নিজস্ব ক্লিনিক ছিলো। ডাক্তারির পাশাপাশি তিনি পাকিস্তানের শিক্ষা বিস্তারে অবদান রাখেন। ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট তারিখে লারকানে তিনি মারা যান। ব্যক্তিগত জীবনে তার ২ জন পুত্র সন্তান আছে, তাদের একজনের নাম সফদার আলি আব্বাসি। তিনি পরবর্তীতে পিপিপি এর সিনেটর হয়েছিলেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

আশরাফ আব্বাসি একজন মেডিকেল ডাক্তারের পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি পশ্চিম পাকিস্তান পরিষদের সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭০ সালে পিপিপির হয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন ও জাতীয় পরিষদের সদস্য হন। তিনিই পাকিস্তানের প্রথম নারী ডেপুটি স্পিকার। তিনি দুইবার ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। প্রথমবার ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি উক্ত দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষাক্ষেত্রেও তার অনেক অবদান আছে। তিনি শহীদ জুলফিকার আলী ভুট্টো ইন্সটিটিট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজির লারকানা ক্যাম্পাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও আল্লামা ইকবাল উন্মুক্ত ইউনিভার্সিটি, ইসলামাবাদ, এর সদস্য ছিলেন। তিনি সংবিধান কমিটির সদস্যও ছিলেন। এছাড়া তিনি সমাজসেবক হিসেবেও বিখ্যাত। দেশের গরীব মহিলাদের সাহায্য করার জন্য ১৯৯৬ সালে মাদার্স ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এই ট্রাস্ট এর অর্থ দিয়ে গরীব মহিলাদের সহায়তা করা হতো। তিনি নিজের জীবনী লিখেছেন যার নাম দিয়েছেন Jaikey Halan Haikliyoon ( সেই নারী, যিনি একা হেঁটেছেন)।

প্রকাশনা  সম্পাদনা

  • Jaikey Halan Haikliyoon ("সেই নারী, যিনি একা হেঁটেছেন")

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Former deputy speaker NA passes away in Larkana"Daily The News.com.pk। ৪ আগস্ট ২০১৪। ৫ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  2. "Begum Ashraf Abbasi passes away"Daily Dawn.com। ৪ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  3. "Transitions: Begum Ashraf Abbasi laid to rest"Daily Tribune.com.pk। ৫ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা