আল আশরাফিয়া মসজিদ ও মাদ্রাসা
আল-আশরাফিয়া মসজিদ ও মাদ্রাসা বা আশরাফিয়া মসজিদ (আরবি: جامع ومدرسة الأشرفية) একটি ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ও মসজিদ যা ইয়েমেনের তাইজ শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাবর পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত।[১] এটি রসুলিদ রাজবংশের সুলতান আশরাফ ইসমাইল বিন আব্বাস কর্তৃক ১২৭৫ সালে নির্মিত হয় এবং ১৩৮২ সালে চালু হয়। প্রার্থনা হল ছাড়াও মসজিদটি একটি মাদ্রাসা এবং বেশ কয়েকটি রসুলিদ সুলতানের মাজারের সাথে সংযুক্ত। এটি তাইজ শহরের দুটি অন্যতম সুন্দর মসজিদের মধ্যে একটি এবং ইয়েমেনের ইসলামী ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়।[২]
আল-আশরাফিয়া মসজিদ ও মাদ্রাসা جامع ومدرسة الأشرفية | |
---|---|
![]() প্রবেশপথ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অঞ্চল | পশ্চিম এশিয়া |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | ![]() |
স্থানাঙ্ক | ১৩°৩৪′০৮″ উত্তর ৪৪°০০′৩২″ পূর্ব / ১৩.৫৬৮৮৯° উত্তর ৪৪.০০৮৮৯° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ, মাদ্রাসা |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামি |
সম্পূর্ণ হয় | ১২৭৫ ২০০৪-২০১৫ (পুনঃপ্রতিষ্ঠা) |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ৯ |
মিনার | ২ |
উপাদানসমূহ | পাথর, জিপসাম, প্লাস্টার |
বর্ণনা
সম্পাদনাপ্রাঙ্গণের উত্তর অংশে নামাজের ঘরটি অবস্থিত। এই মসজিদের মূল অংশটি একটি আয়তাকার ক্ষেত্র দখল করে আছে যার দৈর্ঘ্য পূর্ব থেকে পশ্চিমে ২৫.৪০ মিটার এবং প্রস্থ উত্তর থেকে দক্ষিণে ৭.৬৫ মিটার। নামাজের ঘরের কেন্দ্রীয় অংশটি রঙিন মোটিফ দিয়ে সজ্জিত একটি উঁচু গম্বুজ দ্বারা আবৃত। এছাড়া দুটি হলঘর রয়েছে যার প্রত্যেকটি চারটি ছোট গম্বুজ দ্বারা আবৃত।[৩]
মাদ্রাসা
সম্পাদনাআশরাফিয়ার মাদ্রাসাটি পাথর ও প্লাস্টার দিয়ে নির্মিত এবং এটি শাফিঈ ইসলামী শিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। স্কুলটিতে একটি গ্রন্থাগার আছে যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের প্রচুর বই রয়েছে। এর চারটি প্রবেশপথ রয়েছে এবং মূল প্রবেশপথের উপরে একটি শিলালিপি লেখা আছে।
সংরক্ষণ অবস্থা
সম্পাদনাভূকম্পীয় নড়াচড়া, ভূতাত্ত্বিক অস্থিরতা ও ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি পড়া এসব বিভিন্ন কারণে মসজিদটি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই দেয়াল একীকরণ এবং প্রাচীরচিত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংরক্ষণ প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।[৪]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
আশরাফিয়া মসজিদের গম্বুজসমূহ
-
আশরাফিয়া মসজিদের তিনটি গম্বুজ
-
আশরাফিয়া মসজিদের মিনার
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "جامع الأشرفية"। yemen-nic.info। ২০১৯-১২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৪।
- ↑ "مسجد الأشرفية في اليمن.. لوحة فنية أبدعها "العصر الرسولي""। القدس العربي (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৭-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৫।
- ↑ الاتحاد, صحيفة (২০১১-০৩-২০)। "«الاقتصاد»: إلزام الوكالات باستبدال السيارات المعيبة بعد تكرار الأعطال"। صحيفة الاتحاد (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৫।
- ↑ "Restoration of the Al-Ashrafiya Mosque in Taizz"। জুলাই ২৯, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।