আল-আহাদ (আরবি: جمعية العهد, জামায়াত আল-আহাদ) ১৯৩১ সালে গঠিত একটি রাজনৈতিক সংগঠন। মূলত উসমানীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ইরাকি অফিসাররা এটা গঠন করেন।[১] এদের অধিকাংশই পরবর্তীতে আরব বিদ্রোহের সময় শরীফ হুসাইনের সেনাবাহিনী এবং ফয়সালের সিরিয়ান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শরীফ হুসাইনের পুত্র আবদুল্লাহকে রাজা ও অপর পুত্র প্রিন্স জাইদ তার ডেপুটি – এই কাঠামোর মধ্যে তারা ইরাকের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন। একই সাথে তারা ইরাকসিরিয়ার মধ্যে ইউনিয়নের সমর্থক ছিলেন। পরবর্তীতে তারা ব্রিটেনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্য পায়।

সর্বপ্রথম দামেস্কে এই সংগঠনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ইরাক বিশেষ করে বাগদাদমসুলসহ অন্যান্য আরব অঞ্চলে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠন থেকে আল-লিসান নামক একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হত। এর ইরাকি সদস্যদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইয়াসিন আল-হাশিমি, নুরি আস-সাইদ, জাফর আল-আসকারি এবং মিশরীয় সদস্যদের মধ্যে অন্যতম হলেন জামিল আল-মিদফাই, আজিজ আলি আল-মিসরি

আল-আহাদ তালিম আল-নাকিব নামক সংগঠনের সমর্থনপ্রাপ্ত হয়। এর কাছ থেকে তারা অর্থনৈতিক ও নীতিগত সমর্থন লাভ করে। মুহাম্মদ শরিফ আল-ফারুকি, ব্রিটিশদের সাথে যার সংলাপ আরব বিদ্রোহে ব্রিটিশ সমর্থন যোগাতে সাহায্য করে, তিনি নিজেকে আল-আহাদের সদস্য দাবি করতেন। তবে পরবর্তী গবেষণায় এই দাবির সত্যতা মেলেনি।[২]

১৯২০ সালে ফয়সালের আরব সরকার সিরিয়া থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সংগঠনটি আলেপ্পোদাইর আজ-জারে এর সদরদপ্তর সরিয়ে আনে। ইরাকে একটি আরব সরকার প্রতিষ্ঠা করা এদের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু ফয়সালের পতন সংগঠনটিকে দুর্বল করে তোলে এবং শীঘ্রই এর কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Ghareeb, Edmund A. Historical Dictionary of Iraq, pp. 59-60. Scarecrow Press, 2004, আইএসবিএন ০-৮১০৮-৪৩৩০-৭
  2. A Peace To End All Peace, David Fromkin, Avon Books, New York, 1990