আল্‌জাস (ফরাসি: Alsace, আ-ধ্ব-ব: ফরাসি : [alzas] (শুনুন))[ক] উত্তর-পূর্ব ফ্রান্সে, জার্মানির সাথে সীমান্তে অবস্থিত ফ্রান্সের প্রদেশ (রেজিওঁ)। এটি ও-রাঁ এবং বা-রাঁ---এই দুইটি দেপার্ত্যমঁ নিয়ে গঠিত। আল্‌জাসে টেক্সটাইল শিল্প, রাসায়নিক দ্রব্যের শিল্প এবং একটি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি বিদ্যমান। এখানে খাদ্যশস্য, তামাক ও আঙ্গুর উৎপাদিত হয়। আল্‌জাসীয় সংস্কৃতি জার্মান এবং ফরাসি প্রভাবের মিশ্রণ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়৷[৩]

আল্‌জাস
ফ্রান্সের অঞ্চল
আল্‌জাসের পতাকা
পতাকা
আল্‌জাসের অফিসিয়াল লোগো
লোগো
দেশ ফ্রান্স
দপ্তরস্ত্রাসবুর
বিভাগ
সরকার
 • প্রেসিডেন্টPhilippe Richert (২০১০–) (UMP)
আয়তন
 • মোট৮,২৮০ বর্গকিমি (৩,২০০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০৬)[১]
 • মোট১৮,১৫,৪৮৮
 • জনঘনত্ব২২০/বর্গকিমি (৫৭০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলসিইটি (ইউটিসি+১)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)সিইডিটি (ইউটিসি+২)
জিডিপি/নামমাত্র€ ৪৮ বিলিয়ন (২০০৭)[২]
জিডিপি মাথাপিছু€ 26,500 (২০০৭)[২]
এনইউটিএস অঞ্চলFR4
ওয়েবসাইটregion-alsace.eu

রাজা শার্লমাইনের সাম্রাজ্য ৮১৭ সালে এবং ৮৪৩ সালে ভাগ হয়ে গেলে আল্‌জাস লোথারিঙিয়ার অংশে পরিণত হয়। ৯২৫ সালে আল্‌জাস জার্মান ডিউকরাজ্য স্‌ভাবিয়া তথা আলেমানিয়ার অংশে পরিণত হয় এবং সেখান থেকে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের অংশীভূত হয়ে যায়। এটি পরবর্তী প্রায় ৮০০ বছর পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত এটি জার্মানদের অধীনে থাকে। এই সময়ে এই অঞ্চলে শক্তিশালী জমিদারি প্রথা চালু হয়; অস্ট্রিয়ার হাবসবুর্গ রাজবংশ মূলত এই জমিদারিগুলি নিয়ন্ত্রণ করতেন। মধ্যযুগের শেষ পর্যায়ে কিছু সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী নগরের আবির্ভাব ঘটে, যার মধ্যে স্ত্রাসবুর এবং কলমার অন্যতম। শহর দুইটি স্বাধীন শহর তথা ক্ষুদ্র প্রজাতন্ত্রের মর্যাদাও লাভ করে। ত্রিশ বছরের যুদ্ধশেষে ১৬৪৮ সালের ভেস্টফালেন-এর শান্তিচুক্তি অনুসারে আল্‌জাস ফ্রান্সের অধীনে আসে। ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব শুরু হবার আগ পর্যন্ত আলজাস ফরাসি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ফরাসি বিপ্লবের পর এটি বা-রাঁ এবং ও-রাঁ নামের দুইটি দেপার্ত্যমঁতে ভাগ হয়ে যায়। ১৮৭০-১৮৭১ সালে ফ্রাংকো-প্রুশীয় যুদ্ধের পর এই দেপার্ত্যমঁগুলি এবং লোরেনের কিছু অংশ জার্মান সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়।

১৯১৯ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে ভার্সাই চুক্তি অনুসারে আল্‌জাস ও লোরেন অঞ্চল দুইটি ফ্রান্সকে ফেরত দেওয়া হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ সালে এক যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে এলাকাটি আবার জার্মানির দখলে আসে, কিন্তু ১৯৪৫ সালে জার্মানির পরাজয়ের পর এটি আবার ফ্রান্সের কাছে চলে যায়।

ফরাসি ভাষা আল্‌জাস অঞ্চলের প্রধান ভাষা। আলজাসীয় ভাষা নামের একটি জার্মান উপভাষাও এখানে প্রচলিত, তবে এর ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে। অঞ্চলটিতে ফরাসি ও জার্মান সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটেছে।[৪] তবে দুই বিশ্বযুদ্ধের সময়ই অঞ্চলটির জনগণ মূলত ফ্রান্সকেই সমর্থন করেছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Insee – Résultats du recensement de la population – 2006 – Alsace" ((ফরাসি) ভাষায়)। Recensement.insee.fr। ৮ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১০ 
  2. "GDP per inhabitant in 2006 ranged from 25% of the EU27 average in Nord-Est in Romania to 336% in Inner London" (পিডিএফ)। Eurostat। 
  3. Leichtfried, Laura (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "Alsace: culturally not quite French, not quite German"British Council। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১ 
  4. ব্রিটিশ কাউন্সিল https://www.britishcouncil.org/voices-magazine/alsace-culturally-not-quite-french-not-quite-german  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)


উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি