আলাপ:উসমান ইবন আফফান

সাম্প্রতিক মন্তব্য: সাজিদ শরীফ কর্তৃক ৪ মাস আগে "নিবন্ধের শিরোনাম" অনুচ্ছেদে

ঐতিহাসিক সত্য বনাম মতামত সম্পাদনা

এই নিবন্ধের সূচনাংশে লেখা হয়েছে, "সুন্নী মুসলিমদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে তিনি (উসমান রা:) চারজন খুলাফায়ে রাশিদুনের একজন। ৬৪৪ থেকে ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত খিলাফতে অধিষ্ঠিত ছিলেন। শিয়া মতাবলম্বীদের মতানুসারে আলীই ছিলেন প্রথম বৈধ খলীফা।" - আপাত দৃষ্টিতে এই বর্ণনা নিদোর্ষ মনে হতে পারে, কিন্তু এখানে মারাত্মক বৈশ্লেষণিক সমস্যা নিহিত।
(ক) প্রথমত এ কথা অনস্বীকার্য যে উসমান (রা:) ইসলামের ৩য় খলিফা ছিলেন। একই ভাবে এ কথা অনস্বীকার্য যে আলী (রা:) ইসলামের ৪র্থ খলিফা ছিলেন। এই তথ্য দুটি ঐতিহাসিক সত্য এবং কোনো মতামত নয়। একই ভাবে আবু বক্বর (রা) থেকে আলী (রা:) পর্যন্ত ৪জনকে নিয়ে খুলাফায়ে রাশিদুন—এ বিষয়টিও সর্বজন স্বীকৃত। ঐতিহাসিক তথ্যকে কারো মতামত হিসাবে বর্ণনা করা নিদোর্ষ নয়, তা আদৌ সমীচীন হবে না।
(খ) সুন্নী এবং শিয়া বিভেদ ও বিরোধাত্মক দৃষ্টিভঙ্গীর সৃষ্টি হয়েছে খুলাফায়ে রাশিদুনের অনেক পরে। ঘটনাত্তোর মত তথা দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে একটি ঐতিহাসিক সত্যকে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে কিন্তু বর্ণনা করা সমীচীন হবে না। বর্ণনা হবে মত-নিরপেক্ষ;- ঐতিহাসিক সত্য কারো মতামতসাপেক্ষ হতে পারে না। বিশেষ করে ঘটনাত্তোর মতামত একটি ঐতিহাসিক সত্যের বর্ণনায় ব্যবহৃত হতে পারে না। বর্ণনা কখনই ঘটনার ইন্টারপ্রিটেশান হবে না।
(গ) যে বিষয়টি উত্থাপন করা হলো তা কিছুটা সূক্ষ্ণ হলেও প্রাসঙ্গিক এবং অনুপেক্ষণীয়। প্রতিপাদ্য বিষয়টি হলো "বর্ণনা" ও "বিশ্লেষণের" পার্থক্য। যে সকল বিষয়ে উইকিপিডিয়ানদের সতর্ক থাকতে হবে তার মধ্যে একটি হলো বর্ণনার নৈর্ব্যক্তিকতা, যদিও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে মতামত গ্রাহ্য হতে পারে। বর্ণনার ক্ষেত্রে কারো মত (কোনো ঐতিহাসিক বা বিশ্লেষক) তখনই ঋণ করা যাবে যা নিয়ে মতদ্বৈধতা নেই, এমনকী মতদ্বৈধতার অবকাশ নেই। —Faizul Latif Chowdhury (আলাপ) ০২:৫৮, ২৯ মে ২০১৪ (ইউটিসি)উত্তর দিন

নিবন্ধের শিরোনাম সম্পাদনা

খুলাফায়ে রাশেদীন হিসেবে আবু বকর এবং আলী নিবন্ধের মতো এই নিবন্ধের শিরোনাম উসমান করার প্রস্তাব দিচ্ছি। সাজিদ   ১৮:৫৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন

"উসমান ইবন আফফান" পাতায় ফেরত যান।