আবদুল জব্বার খান
বিচারপতি আবদুল জব্বার খান (১ জানুয়ারি ১৯০২ – ২৩ এপ্রিল ১৯৮৪) ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ষষ্ঠ স্পিকার।[১] ফজলুল কাদের চৌধুরীর পর তিনি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আবদুল জব্বার খান | |
---|---|
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার | |
কাজের মেয়াদ ১২ জুন ১৯৬৫ – ২৫ মার্চ ১৯৬৯ | |
ডেপুটি | ফজল ইলাহী চৌধুরী |
পূর্বসূরী | ফজলুল কাদের চৌধুরী |
উত্তরসূরী | জুলফিকার আলি ভুট্টো |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ জানুয়ারি ১৯০২ বরিশাল, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২৩ এপ্রিল ১৯৮৪ ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ৮২)
রাজনৈতিক দল | মুসলিম লীগ (১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে) কনভেনশন মুসলিম লীগ (১৯৬২–১৯৬৯) |
সন্তান | |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
জন্ম ও শিক্ষাজীবনসম্পাদনা
আবদুল জব্বার খান ১৯০২ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত অবিভক্ত বাংলার বরিশাল জেলার বাহেরচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি বরিশাল জিলা স্কুল থেকে ১৯১৯ সালে প্রবেশিকা এবং বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯২১ সালে আই.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি যথাক্রমে ১৯২৪ ও ১৯২৫ সালে আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে বি.এ. ও এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯২৭ সালে বি.এল. ডিগ্রি অর্জন করেন।[২]
কর্মজীবনসম্পাদনা
১৯২৯ সালে আবদুল জব্বার খান সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বিচারবিভাগে যোগ দেন। এসময় তিনি সাব জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ ও জেলা জজ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। এরপর ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকা উচ্চ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।[২]
রাজনৈতিক জীবনসম্পাদনা
আবদুল জব্বার খান ১৯৬২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগে যোগদান করেন। এর দুই বছর পর ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) এর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে বরিশাল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং একই বছরের ১০ জুন তাকে স্পিকার নির্বাচিত করা হয়।[২]
জনকল্যাণমূলক কাজসম্পাদনা
কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গঠন করেছেন।[২]
মৃত্যুসম্পাদনা
আবদুল জব্বার খান ১৯৮৪ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।[২]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ফজলুল কাদের চৌধুরী |
জাতীয় পরিষদের স্পিকার ১৯৬৫–১৯৬৯ |
উত্তরসূরী জুলফিকার আলি ভুট্টো |