আফগানিস্তান সরকার

আফগান তালেবান সরকার যা আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তান ইসলাম আমিরাত নামে পরিচিত হল, তালেবানের নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। এটি একটি আমিরাত, যার রাজনৈতিক ক্ষমতা একজন আমির ও তার উপদেষ্টা শুরা কমিটির হাতে ন্যস্ত থাকে এবং তারা সম্মিলিতভাবে নেতৃত্ব পরিষদ বা সুপ্রিম কাউন্সিল নামে পরিচিত। নেতৃত্ব পরিষদ পরস্পর পরামর্শক্রমে সমস্ত প্রধান নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারপর তা দেশের সিভিল সার্ভিস ও বিচার বিভাগ দ্বারা বাস্তবায়িত হয়। আফগানিস্তান একটি ইসলামি রাষ্ট্র হওয়ায় এর শাসন ব্যবস্থা শরিয়ার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়, যা তালেবান ব্যাপক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নীতির মাধ্যমে কঠোরভাবে প্রয়োগ করে।

আফগানিস্তান নিজের ইতিহাসে বিভিন্নভাবে রাজতন্ত্র, প্রজাতন্ত্রআমিরাত হিসাবে শাসিত হয়েছে। বর্তমান আমিরাত সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ২০২১ সালে পশ্চিমা-সমর্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ বছরের বিদ্রোহে তালেবানের বিজয়ের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আসে।

বর্তমান সরকার এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি এবং এর একটি সুস্পষ্ট সাংবিধানিক ভিত্তি এখনো গড়ে ওঠেনি। তালেবান অদূর ভবিষ্যতে একটি সাংবিধানিক কমিশন গঠনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এটি ১৯৬৪ সালের রাজতন্ত্রের সংবিধানকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ব্যবহার করছে বলে দাবি করে। এটিকে শরিয়া আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার জন্য সংশোধন করা হয়েছে।[][] ক্ষমতায় আসার পর থেকে এটি অর্থনৈতিক সংকট, আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা, পূর্বের সরকার দলীয় সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী মোকাবেলা করছে।

"ইসলামী আমিরাত" এর সাংগঠনিক তালিকা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Taliban plans to form 'commission' in 2022 to draft new constitution"ANI News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১২-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৭ 
  2. "The Lawless Land: How Does the Taliban's Abolishing of Afghan Laws Affect Citizens' Security?"www.jurist.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১২