আজিজা আহমেদিয়ার

রাজনীতিবিদ

আজিজা আহমেদিয়ার হচ্ছেন একজন আফগান নারী রাজনীতিবিদ এবং নারী অধিকার কর্মী। তিনি আফগান মহিলা সম্পদ কেন্দ্রও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে, তিনি আফগান সরকারের তথ্য, সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন বিদেশি যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক।

জীবনী সম্পাদনা

আজিজা আহমেদিয়ার উত্তর আফগানিস্তানের তাজিকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত কুন্দুজ প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেখানেই বেড়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তিনি উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি আফগানিস্তানের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর কাবুলে পাড়ি জমান। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সাহিত্য বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। [১] মেয়েদের খেলাধুলা শেখানো এবং তাদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করার লক্ষ্যে তিনি নিজ শহর কুন্দুজে ফিরে আসেন। [১] আজিজা আহমাদিয়ার "তার শিক্ষা ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা"র মাধ্যমে তার পরবর্তী জীবনে সাফল্যের অংশ হিসেবে তার বাবার প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির কৃতিত্ব দেন। [১]

১৯৭৫ সালে তিনি আফগানিস্তানের সাংবিধানিক পরিষদ লয়া জিরগায় নতুন জাতীয় সংবিধান রচনায় সাহায্য করার জন্য কুন্দুজের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি সেই পরিষদের মোট ছয়জন নারী প্রতিনিধির মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন। [১]

১৯৭৮ সালে আহমদিয়ারের বাবার উপর আফগানিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদানের জন্য সরকারের উপর মহল থেকে চাপ দেওয়া শুরু হয়। তবে তার বাবা তখন এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে কমিউনিস্ট পার্টি তখন তাকে তার নিজ বাড়িতেই হত্যা করে। রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে তার বাবার খুনের ফলে আজিজা আহমদিয়ার "সব ধরনের দলীয় রাজনীতির ব্যাপারে সন্দিহান" হয়ে উঠেন। আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন চলার সময়, আহমদিয়ার কিছুদিন কাবুলে শিক্ষকতা করেছিলেন। কিন্তু ১৯৮৯ সালে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান এবং পাকিস্তানের পেশোয়ারে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেন। [১]

পেশোয়ারে, তিনি আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির সাথে যুক্ত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি আফগান উইমেন্স রিসোর্স সেন্টার (এডব্লিউআরসি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা শিক্ষকদের পেশাগত শিক্ষাগত সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য কাজ করে। [২][৩] ২০০২ সালে যখন তালেবান সরকারের পতন হয়, এডব্লিউআরসি কাবুলে উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রথম বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) হয়ে ওঠে। [৪]

২০০৫ সালে আহমাদিয়ার তথ্য, সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে বিদেশী যোগাযোগ কর্মকর্তার নতুন পদে নির্বাচিত হন। এই ক্ষমতায় তিনি আফগানিস্তানে নারীদের জন্য নিরাপত্তা কীভাবে একটি সমস্যা তা নিয়েও আলোচনা করেন। [৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

 

  1. "Project for Afghan Women's Leadership: Afghan Women Leaders Speak" (পিডিএফ)Mershon Center for International Security Studies। Ohio State University। নভেম্বর ২০০৫। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  2. "Afghan Women's Conference"Ohio State University। ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ [অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Country Fact Sheet: Afghanistan" (পিডিএফ)IOM International Organization for Migration। অক্টোবর ২০১৪। পৃষ্ঠা 25। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  4. "Afghan Women's Resource Center (AWRC)"GNWP। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  5. Kitch, Sally L. (২০১৪)। Contested Terrain: Reflections With Afghan Women Leaders। University of Illinois। পৃষ্ঠা 25–26। আইএসবিএন 9780252038709