আগ্নেয়গিরিজাত শিলা
আগ্নেয়গিরিজাত শিলা বা ব্যাসল্ট (Basalt) (ইউএস: /bəˈsɔːlt,
আগ্নেয় শিলা | |
মিশ্রণ | |
---|---|
Mafic: plagioclase, amphibole, and pyroxene, sometimes feldspathoids, and/or olivine. |
তুলনামূলকভাবে কম সিলিকা সামগ্রীর (৪৫% এবং ৫২% এর মধ্যে) কারণে গলিত ব্যাসল্ট লাভায় কম সান্দ্রতা রয়েছে, ফলে শীতকালে ঘনীভূত হত্তয়ার পূর্বে দ্রুত প্রবাহিত লাভা প্রবাহগুলি দুর্দান্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।[৯] প্রবাহমান ব্যাসল্টগুলি এমন অনেক প্রবাহের ঘন ক্রম যা কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তার লাভ করে এবং সমস্ত আগ্নেয়গিরির গঠনের মধ্যে সর্বাধিক পরিমাণে গঠন করতে পারে।[১০]
আগ্নেয়গিরিজাত শিলার ম্যাগমা পৃথিবীর পৃষ্ঠে উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় পাওয়া যায়।[১১] এভাবে আগ্নেয়গিরিজাত শিলার রসায়ন পৃথিবীর অভ্যন্তরের গভীর অবস্থার সূত্র সরবরাহ করে।[১২]
এই আগ্নেয়শিলা কে উৎপত্তি অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা -- নিঃসারী আগ্নেয় শিলা ও উদবেধী আগ্নেয় শিলা।
• ভূত্বক: প্রধানত এই আগ্নেয় শিলায় মহাসাগরীয় ভূত্বক গঠিত। ব্যাসল্ট শিলা গঠিত অঞ্চল সাধারণত চেপ্টাকৃতি হয়। • গঠনকারী খনিজ: ব্যাসল্ট গঠনকারী প্রধান খনিজ গুলি হল কোয়ার্টজ , ফেল্ডসপার, অলিভিন ও পাইরক্সিন। • প্রকৃতি : এই শিলা খুব ভারী ও শক্ত হয়। ক্ষয় প্রতিরোধী এই শিলা গাঢ় ধূসর থেকে কালো রংয়ের হয়। • বৈশিষ্ট্য: ব্যাসল্ট শিলা উলম্ব দারণ ও ফাটলের সংখ্যা খুব বেশি। এই শিলার প্রবেশ্যতা যথেষ্ট বেশি। খুব দ্রুত জমাট বেঁধে গঠিত হওয়ায় এর দানা গুলো বেশ সূক্ষ্ম হয়। ব্যাসল্ট এর দানার ব্যাস 1 মিলিমিটার এর কম। • ব্যবহার: রেললাইনে ব্যাসল্ট শিলা ব্যবহার করা হয়। এই শিলা দিয়ে বিভিন্ন ঘর সাজানোর জিনিসও বানানো হয়ে থাকে। • রূপান্তরিত রূপ: ব্যাসাল্ট এর রূপান্তরিত রূপ হল অ্যাম্ফিবোলাইট ।
ব্যাসল্ট সাধারণত পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরের গুরুমন্ডল-এ পাওয়া যায়।যে অঞ্চলটা সাধারণত 'ব্যাসল্ট অঞ্চল' নামেই পরিচিত।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ American Heritage Dictionary
- ↑ Merriam-Webster Dictionary
- ↑ Collins English Dictionary
- ↑ "Oxford Living Dictionaries"। ১৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "Basalt"। USGS Volcano Hazards program – Glossary। USGS। ৮ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৮।
- ↑ Levin, Harold L. (২০১০)। The earth through time (9th সংস্করণ)। Hoboken, N.J.: J. Wiley। পৃষ্ঠা 58–60। আইএসবিএন 9780470387740।
- ↑ "Basalt"। Geology: rocks and minerals। The University of Auckland। ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৮।
- ↑ ওয়াকার ১৯৯৩, পৃ. ৩–৩৮।
- ↑ ফিলপটস ও এগু ২০০৯, পৃ. ২৩–৬।
- ↑ ফিলপটস ও এগু ২০০৯, পৃ. ৫২–৯।
- ↑ ফিলপটস ও এগু ২০০৯, পৃ. ১৬–৭।
- ↑ ফিলপটস ও এগু ২০০৯, পৃ. ৩৫৬–৩৬১।
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- ওয়াকার, জি.পি.এল. (১৯৯৩)। "Basaltic-volcano systems"। প্রিচার্ড, এইচ.এম.; Alabaster, T.; Harris, N.B.W.; Neary, C.R.। Magmatic Processes and Plate Tectonics। Geological Society Special Publication 76 (ইংরেজি ভাষায়)। জিওলজিকাল সোসাইটি। আইএসবিএন 090331794X। ওএল 9763516M। ওসিএলসি 849963278।
- ফিলপটস, অ্যান্টনি আর; এগু, জে জে. (২০০৯)। Principles of igneous and metamorphic petrology (ইংরেজি ভাষায়) (২য় সংস্করণ)। কেমব্রিজ: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 9780521880060। ওএল 22543112M। ওসিএলসি 1166984726।
- Alexander Ablesimov, N. E.; Zemtsov, A. N. (২০১০)। Релаксационные эффекты в неравновесных конденсированных системах. Базальты: от извержения до волокна [Relaxation effects in nonequilibrium condensed systems. Basalts from eruption to fiber] (Russian ভাষায়)। Moscow।
- Francis, Peter; Oppenheimer, Clive (২০০৩)। Volcanoes (2nd সংস্করণ)। Oxford: Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-925469-9।
- Gill, Robin (২০১০)। Igneous rocks and processes : a practical guide। Chichester, West Sussex, UK: Wiley-Blackwell। আইএসবিএন 978-1-4443-3065-6।
- Hall, Anthony (১৯৯৬)। Igneous petrology। Harlow: Longman Scientific & Technical। আইএসবিএন 9780582230804।
- Siegesmund, Siegfried; Snethlage, Rolf, সম্পাদকগণ (২০১৩)। Stone in architecture properties, durability (3rd সংস্করণ)। Springer Science & Business Media। আইএসবিএন 978-3662100707।
- Young, Davis A. (২০০৩)। Mind over magma : the story of igneous petrology। Princeton, N.J.: Princeton University Press। আইএসবিএন 978-0-691-10279-5।