আকাশীতরার কথারে ১৪ নভেম্বর ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অসমীয়া ভাষার চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির কাহিনি-চিত্রনাট্য লিখেছেন মঞ্জু বোরা। চিত্রা কমিউনিকেশনের ব্যানারে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়। তরালী শর্মা এই চলচ্চিত্রে কিমতে ভকতি করিব গানটি গেয়ে ২০০৩ সালে শ্রেষ্ঠ মহিলা নেপথ্য গায়িকার রাষ্ট্রীয় পুরস্কার লাভ করেন।[]

আকাশীতরার কথারে
প্রযোজকসংগীতা তামুলী
রচয়িতামঞ্জু বোরা
চিত্রনাট্যকারমঞ্জু বোরা
কাহিনিকারমঞ্জু বোরা
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারতরালী শর্মা
চিত্রগ্রাহকরাজু মিশ্র
সম্পাদকএ শ্রীকর প্ৰসাদ
মুক্তি১৪ নভেম্বর ২০০৩
দেশভারত
ভাষাঅসমীয়া

কাহিনি

সম্পাদনা

উচ্চশিক্ষা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণী আকাশীতরার জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। স্বাধীনচেতা মনোভাবের আকাশীতরার বিয়ের পর তার স্বাধীনতায় বাধা আসে। স্বামী রাঘব চৌধূরীর স্বেচ্ছাচারিতা ও অবাঞ্ছিত আচরণের কারণে আকাশীতরার মর্যাদা প্রতিমুহূর্তে বিনষ্ট হয়। ব্যক্তিত্বের স্বাধীনতার এমন অবাঞ্ছিত মূল্যায়ন আকাশীতরাকে ধীরে ধীরে হতাশ করতে করে, এবং সে ধীরে ধীরে বিবাহিত জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।[]

অভিনয় শিল্পী

সম্পাদনা

কলা-কুশলী

সম্পাদনা
  • শব্দগ্রহণ: যতীন শর্মা
  • কলা নির্দেশনা: ফটিক বড়ুয়া

পুরস্কার

সম্পাদনা
  • সেন্সর বোর্ড থেকে 'এ' সনদপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি আঞ্চলিক ভিত্তিক শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য কমল পুরস্কার লাভ করে। ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত ৫১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে মঞ্জু বোরা ও প্রযোজক সঙ্গীতা তামুলিকে রজত কমল ও ২০০০ টাকা পুরস্কৃত করা হয়। চলচ্চিত্রের প্রসঙ্গে বলা হয়: "একজন নারীর তার ঐতিহ্যের সন্ধান করা এবং তার পরিচয় নষ্ট হওয়ার কারণ উভয় পাশাপাশি উপস্থাপনের জন্য, ২০০৩ সালের অসমীয়া শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে আকাশীতরার কথারেকে পুরস্কৃত করা হল।"[]
  • তরালী শর্মা এই চলচ্চিত্রে গান গেয়ে ২০০৩ সালে শ্রেষ্ঠ মহিলা নেপথ্য গায়িকার রাষ্ট্রীয় পুরস্কার লাভ করেন।[]
  • চলচ্চিত্রটি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক পুরস্কার পায়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. দাস, অরুণলোচন (১২৯৭)। ১০০ অসমীয়া চলচ্চিত্ৰৰ কাহিনি আৰু গীত। গুরহাটী: শিশু-শশী প্ৰকাশন। পৃষ্ঠা ৪৭৮–৪৮০। 
  2. "51st Natioanl FIlm Awards, 2004" (পিডিএফ)। চলচ্চিত্র উৎসব অধিদপ্তর। ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২০ 

টেমপ্লেট:শ্রেষ্ঠ অসমীয়া ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)