আকাশবাণী গুয়াহাটি
আকাশবাণী গুয়াহাটি হল প্রসার ভারতীর অন্তর্গত আকাশবাণীর আসাম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বেতার সম্প্রচারের ক্ষেত্রীয় কেন্দ্র। ১৯২৭ সালের ২৩ জুলাই তারিখ থেকে ভারতবর্ষে বেতার প্রচার সেবার পত্তন করা হয়৷ ইন্ডিয়ান ব্রডকাষ্টিং কোম্পানী নামের একটি ব্যক্তিগত খণ্ডের উদ্যোগে মুম্বাইতে ভারতের প্রথম বেতারকেন্দ্র স্থাপন করা হয় এবং সেই বছরের ২৬ আগস্ট থেকে কলকাতা কেন্দ্রযোগেও সংগঠিত রূপে বেতার প্রচার কর্ম আরম্ভ হয়৷ ভারত স্বাধীনতা লাভ করার এগারো মাস পরে ১৯৪৮ সালের ১ জুলাইতে তখনকার অবিভক্ত আসামের শিলঙে প্রথম বেতার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। শুরুতে অল ইন্ডিয়া রেডিও শিলং-গুয়াহাটি নাম দেওয়া কেন্দ্রটিকে পরে আকাশবাণী গুয়াহাটি হিসাবে নামকরণ করা হয়।
ধরন | সরকারী সংস্থা |
---|---|
দেশ | ভারতীয় |
প্রাপ্যতা | আসাম |
প্রতিষ্ঠিত | ১ জুলাই, ১৯৪৮ ভারত সরকার দ্বারা |
নীতিবাক্য | বহুজন হিতায় বহুজন সুখায়[১] |
প্রধান কার্যালয় | চানমারি, গুয়াহাটি, |
মালিকানা | প্রসার ভারতী |
আরম্ভের তারিখ | ১ জুলাই, ১৯৪৮ |
প্রাক্তন নাম | অল ইন্ডিয়া রেডিও শিলং-গুয়াহাটি কেন্দ্র |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | http://airguwahati.gov.in/ |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৪৮ সালের ১ জুলাইতে অবিভক্ত আসামের রাজধানী শিলঙে অল ইন্ডিয়া রেডিওর শিলং-গুয়াহাটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। তদানীন্তন আসামের মুখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈ শিলঙে বিধানসভা ভবন এবং গুয়াহাটিতে কমিশনারের বাসভবনটি অল ইন্ডিয়া রেডিওর জন্য উন্মুক্ত করে দেন। উজান টারের ব্রহ্মপুত্রের পারের সেই ভবনের থেকেই গুয়াহাটি কেন্দ্রের সম্প্রচার আরম্ভ হয়। অনুষ্ঠান কার্যবাহী আধিকারিক (পরে অল ইন্ডিয়া রেডিওর পরিচালক) ওবেইদুল লতিফ বরুয়া এবং কলকাতা কেন্দ্রের ষ্টাফ আর্টিষ্ট পুরুষোত্তম দাস শিলং-গুয়াহাটি কেন্দ্রের কাজকর্ম আরম্ভ করেন। ১ জুন তারিখে ভূপেন হাজারিকা, ফণী তালুকদার এবং বীরেন্দ্র কুমার মহন্তকে অনুষ্ঠান সহায়ক হিসাবে নিযুক্তি দেওয়া হয়। মেহেরা মাসনিক শিলং-গুয়াহাটি কেন্দ্রের পরিচালিকা হিসাবে নিযুক্তি দেওয়া হয় এবং এই দলটি ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই তারিখ থেকে শিলং-গুয়াহাটি কেন্দ্রের সম্প্রচার আরম্ভ করেন। শিলঙে গোপীনাথ বরদলৈ এবং গুয়াহাটিতে মৌলানা মহম্মদ তৈয়বুল্লাই প্রতিষ্ঠানিক কেন্দ্রদুটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনর পরে পরবর্তী পর্যায়ের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে সত্যপ্রসাদ বরুয়া, সৈয়দ আব্দুল মালিক, রৌশনারা খাতুন, নারায়ণ বেজবরুয়া, রঞ্জন বরা, মৃগেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরীকে নিযুক্তি দেওয়া হয়। শুরুর সময়কালে দৈনিক দুটি করে সম্প্রচার হত। সকালের সম্প্রচারটি সকাল সাত টা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ছিল এবং সন্ধ্যের সম্প্রচারটি বিকেল পাঁচ টার থেকে নয়টা পনেরো মিনিট পর্যন্ত চলত। প্রারম্ভিক অবস্থায় দুটি কেন্দ্র একজন করে সহকারী কেন্দ্রপরিচালক দেখাশুনা করতেন এবং একটি এক কিলোওয়াটের মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটারে সম্প্রচার চালানো হত। শিলঙের কেন্দ্র পরিচালক দুটি কেন্দ্রেরই প্রধান আধিকারিক ছিলেন। ১৯৫৩ সালে শিলং-গুয়াহাটি কেন্দ্রের সদর অফিস গুয়াহাটিতে স্থানান্তর করা হয় এবং জালুকবাড়িতে ১০ কিলোওয়াটের ট্রান্সমিটারর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রেরক যন্ত্র (ট্রান্সমিটার) স্থাপন করা হয়৷ ফলে শিলং কেন্দ্রের গুরুত্ব ক্রমে হ্রাস পেয়ে আসে এবং সমস্ত অনুষ্ঠান গুয়াহাটি কেন্দ্রযোগে প্রচার হতে থাকে৷ শিলঙকে কেবল ষ্টুডিও হিসাবে রেখে সেখানে বাণীবদ্ধ করা সমস্ত অনুষ্ঠান গুয়াহাটি পর্যন্ত পাঠাবার ব্যবস্থা করা হয় এবং ঠিক তখন থেকেই অল ইন্ডিয়া রেডিও শিলং-গুয়াহাটি বলার পরিবর্তে আকাশবাণী গুয়াহাটি নাম দেওয়া হয়৷[২] উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সমিটারটি লাগানোর ফলে কামরূপ, নগাঁও এবং চুবুরীয়া জেলাসমূহতেও সংকেত পাঠানোর ব্যবস্থা হয়। ১৯৫৭ সালের মে মাসে কেন্দ্রটি চানমারির বর্তমানের স্থায়ী স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। গুয়াহাটি কেন্দ্রে একটি ১০ কিলোওয়াটের শর্টওয়েভ ট্রানজিষ্টর লাগানোয় সমগ্র আসামেই রেডিও সংকেত সম্প্রচার করা হয়।[৩] বর্তমানে পূর্ণ পর্যায়ে অবতীর্ণ বেতার কেন্দ্রটি সাম্প্রতিকভাবে দুটি এ.এম. এবং একটি এফ.এম. চ্যানেলের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠাসমূহ
সম্পাদনাশুরু থেকে আকাশবাণী গুয়াহাটি কেন্দ্রই বহুসংখ্যক মর্যাদাপূর্ণ এবং মনোগ্রাহী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে আসছে। আসামের শিক্ষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, কৃষি, শিশু, যুব-সমাজ, মহিলা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ইত্যাদি সমস্ত দিককে নিয়ে পরিবেশন করা অনুষ্ঠানসমূহ অসমীয়া জাতীয় আবেগের সঙ্গে জড়িত বলা হয়। সকালে ভক্তিমূলক গান বন্দনায় আরম্ভ হওয়া কার্যক্রমে অমৃতবাণী, বিদ্যার্থীর অনুষ্ঠান, লোক সঙ্গীতের অনুষ্ঠান, গীতিমালিকা, সুগম সঙ্গীতের অনুষ্ঠান, অকণির মেল, কল্পতরু, আইদেউর বুলনি, চিত্রগীত ইত্যাদি ভিন্ন স্বাদের অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত। সম্প্রতি আকাশবাণী গুয়াহাটি তিনটি সম্প্রচারণসূচীতে অনুষ্ঠানসমূহ পরিবেশন করেন।
- ক বিভাগ এবং এফ.এম. বিভাগ
প্রাতঃ সম্প্রচার | সকাল পাঁচটা আঠাশ মিনিট থেকে নটা পয়তাল্লিশ মিনিট পর্যন্ত |
মধ্যাহ্ণ সম্প্রচার | দশটা আটান্ন মিনিট থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত |
অপরাহ্ণ সম্প্রচার | বেলা তিনটে তের মিনিট থেকে রাতে এগারোটা দশ মিনিট পর্যন্ত |
- খ বিভাগ
প্রাতঃ সম্প্রচার | সকাল পাঁচটা আঠাশ মিনিট থেকে নটা পনেরো মিনিট পর্যন্ত |
মধ্যাহ্ণ সম্প্রচার | এগারোটা আঠাশ মিনিট থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত |
অপরাহ্ণ সম্প্রচার | বেলা চারটে আঠাবন্ন মিনিট থেকে রাতে এগারোটা দশ মিনিট পর্যন্ত |
সঙ্গীতানুষ্ঠান
সম্পাদনাআকাশবাণী গুয়াহাটি কেন্দ্র ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন পরম্পরাগত গান নাচের সাথে অসমীয়া এবং হিন্দী চলচ্চিত্রের গানসমূহ প্রচার করে শ্রোতাক মনোরঞ্জনের খোরাক দিয়ে আসছে। সকালর সম্প্রচারের প্রথম অনুষ্ঠানটি হল ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান বন্দনা। বন্দনা অনুষ্ঠানে সমস্ত ধর্মের গান প্রচার করা হয়। ঠিক তেমনভাবে রাতেও অখিল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। গীতিমালিকা অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে আধুনিক অসমীয়া গানসমূহ পরিবেশন করা হয়। কল্পতরু অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের অনুরোধের গানসমূহ বাজানো হয়। চিত্রগীত অনুষ্ঠানে ছায়াছবির গানসমূহ বাজানো হয়। এছাড়াও সুরর করণি, আবার শুনো আহক, এইমাহর গান ইত্যাদি আকাশবাণীর জনপ্রিয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। আকাশবাণী গুয়াহাটি কেন্দ্রই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিভাবান শিল্পীদের গান বাণীবদ্ধ করে রাজ্যটির শ্রোতাদের শুনতে সুবিধা দিয়ে আসছে। রাজ্যটির যুব শিল্পীদের প্রতিভা উন্নতিতে কেন্দ্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আসছে। আসামের প্রথম সারির কণ্ঠশিল্পী যেমন ভূপেন হাজারিকা,খগেন মহন্ত,অর্চনা মহন্ত, বীরেন্দ্রনাথ দত্ত, দিলীপ শর্মা, সুদক্ষিণা শর্মা, দীপালী বরঠাকুর, রামেশ্বর পাঠক, জয়ন্ত হাজারিকা, চারু গোহাই, অপূর্ব বেজবরুয়া,পুলক ব্যানার্জী, অণিমা চৌধুরী, প্রতিমা বরুয়া পান্ডে, ডলী ঘোষ ইত্যাদি আকাশবাণীতে গান পরিবেশন করে জনতার কাছে পৌঁছে যান। সেইসময় এইচ. এম. ভি. কোম্পানী আকাশবাণীতে জনপ্রিয়তা লাভ করা শিল্পীদের রেকর্ড তুলেছিল। বর্তমান সময়েও আকাশবাণী গুয়াহাটি সঙ্গীতের অনুষ্ঠানসমূহ সুকলমে চালিয়ে যাচ্ছে।
নাট্যানুষ্ঠান
সম্পাদনাআকাশবাণী গুয়াহাটির অতি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানসমূহের মধ্যে নাটকের অনুষ্ঠানটি অন্যতম। ১৯৪৮ সালের ৬ জুলাইতে কেন্দ্রটি প্রথম নাটক সত্যপ্রসাদ বরুয়ার ধরালৈ যেদিন নামিব সরগ প্রচার করেন।[৪] এসময় প্রতি সপ্তাহের রবিবারে দুপুরে এবং বুধবারে রাতে আটটায় আকাশবাণী গুয়াহাটি কেন্দ্র নিয়মিতভাবে নাটক পরিবেশন করেন। পরে সোমবার রাতও নাটক প্রচার করা হয়। আকাশবাণী গুয়াহাটির প্রচার করা অন্য কয়েকটি জনপ্রিয় নাটক হল - ভোগজরা, গোবর্ধন চরিত, দেউতা, ঘরে কোনআছে, সুরঙ্গর শেষে, ঘিনাই সাতোলার ইতিবৃত্ত, বাঈগচােব, চিরাজুদ্দৌলা, অথেল’, শিপা ইত্যাদি। বর্তমান এফ.এম. মহাবাহুতে প্রচার হওয়া নাটশালা নামের অনুষ্ঠানটিতে নিত্য একটি নাটক প্রচার করা হয়। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে 'জাল' নাটকটি দ্বারা এই কার্যক্রমের শুরু করা হয়েছে।[৫]
উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান
সম্পাদনাআকাশবাণী গুয়াহাটি কেন্দ্র প্রতি রবিবার সকালে শিশুদের জন্য প্রচার করা অকণির মেল অনুষ্ঠানটি অতি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। শিশুদের মনোরঞ্জন এবং মানসিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য এই অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হয়। এই অনুষ্ঠানে শিডাকা মা আমি শদিযালৈ যামে, অ' তুলতুল অ' বুলবুল ইত্যাদি গান রাজ্যজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়। মহিলাদের জন্য প্রচার করা আইদেউর বুলনি অনুষ্ঠানটি কেন্দ্রটির অন্য এক উৎকৃষ্ট অনুষ্ঠান। মহিলাদের শিক্ষিত সজাগ করতে প্রচার করা এই অনুষ্ঠানটি অতি জনপ্রিয়। তদুপরি কৃষি দর্শন, যুববাণী, নিয়োগ বার্তা, আঞ্চলিক বাতরি, চাষের দিহা, সমিধান, এই মাহর অতিথি ইত্যাদিও কেন্দ্রটির দ্বারা প্রচারিত উল্লেখ্যযোগ্য অনুষ্ঠান।
এফ. এম. মহাবাহু
সম্পাদনাএফ.এম. চ্যানেলের জনপ্রিয়তার দিকে লক্ষ্য রেখে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট থেকে আকাশবাণীর অধীনে ১০ কিলোওয়াট ক্ষমতার এফ.এম. মহাবাহু নামের চ্যানেলের সম্প্রচার আরম্ভ হয়।[৬] আকাশবাণীর ঘোষক-ঘোষিকাদের এর জন্য তিনদিনের অনুশীলন দেওয়া হয়। বর্তমান ১০১.৬ মেগাহার্জে প্রচার হওয়া চ্যানেলটিতে আকাশবাণীর সমস্ত অনুষ্ঠানের সাথে আপোনার বাবে এই গান, বন্দো কি ছন্দেরে, রূপা সজ্জা, আখলর দিহা, অরঙে দরঙে ইত্যাদি বিশেষ অনুষ্ঠানও প্রচারিত হয়। এই চ্যানেলেটিতে এগুলির লাইভ মোবাইল অ্যাপটি উপলব্ধ।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Mission
- ↑ তপন দত্ত (১ জুলাই ২০১৭)। "আকাশবাণী গুয়াহাটি" (অসমীয়া ভাষায়)। জনমভূমি। ১৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Brief History of All India Radio, Guwahati"। ১০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ কমল কুমার ভাগবতী (২৩ এপ্রিল ২০১৭)। "৬৯তম বর্ষত আকাশবাণী গুয়াহাটি"। দৈনিক আসাম। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "আকাশবাণী গুয়াহাটি কেন্দ্রের নব বর্ষর উপহার, এখনরে থেকে দৈনিক শ্রোতাই শুনতে পাওয়া নাটক, VIDEO" (অসমীয়া ভাষায়)। অসমীয়ানুদিন। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯। ২৬ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "আকাশবাণী গুয়াহাটিতে নব-সংযোজন" (অসমীয়া ভাষায়)। ৮ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। দ্য আসাম ট্রিবিউন। ৫ আগস্ট ২০১৯। ৮ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০।