আওরঙ্গজেবের সমাধিসৌধ

ভারতের ভবন

আওরঙ্গজেবের সমাধিসৌধ, ভারতের মহারাষ্ট্রের খুলদাবাদে অবস্থিত। আওরঙ্গজেব ছয়জন মহান মুঘল সম্রাটের মধ্যে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন।[২] শেখ জইনুদ্দিনের দরগার একটি অচিহ্নিত কবরে[৩] আওরঙ্গজেবকে সমাহিত করা হয়।

আওরঙ্গজেবের সমাধিসৌধ
আওরঙ্গজেবের সমাধি
মানচিত্র
সাধারণ তথ্য
ধরনসমাধিসৌধ
স্থাপত্য রীতিমুঘলl
অবস্থানখুলদাবাদ, ভারত[১]
নির্মাণকাজের আরম্ভ৪ মার্চ, ১৭০৭
নির্মাণকাজের সমাপ্তি১৭০৭
খোলা হয়েছে১৭০৭
নকশা এবং নির্মাণ
স্থপতিআজম শাহ্‌, বাহাদুর শাহ্‌ ১

পটভূমি সম্পাদনা

আওরঙ্গজেব (১৬১৮-১৭০৭) ছিলেন ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট। ১৭০৭ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতক ধরে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ স্থান জুড়ে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। আওরঙ্গজেবের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে তার "আধ্যাত্মিক গুরু" শেখ জইনুদ্ধিনের দরগাহের নিকট দাফন করা হয়। তাঁর প্রপিতামহ সম্রাট আকবর ৫০ বছর দিল্লী শাসন করেছিলেন।[১]

বর্ণনা সম্পাদনা

আওরঙ্গজেব ১৭০৭ সালে আহমেদনগরে মৃত্যুবরণ করেন। তার পুত্র আজম শাহ্‌ এবং কন্যা জিনাত-উন-নিসার আগমনের পরে তার শরীর খুলাদাবাদে নিয়ে আসা হয়। সেখানে লাল পাথরে তৈরি সমাধির উপরে তিন গজ দীর্ঘের একটি উঁচু সমতল স্থান রয়েছে। তার মাঝ বরাবর কয়েকট আঙ্গুলের আকারের একটি গর্ত রয়েছে। সমাধিটি মাটি স্বারা আবৃত, যেখানে তৃণ লতা বেড়ে উঠেছে। তাকে সমাধিস্থ করার পরে তাকে মৃত্যু পরবর্তী খুলদ-মাকান (অনস্তকালে যার আবাস) উপাধি দেয়া হয়।।[৪]

বলা হয়ে থাকে যে, আওরঙ্গজেব তার জীবনের শেষ দিনগুলোতে টুপি সেলাই করে অর্থ উপার্জন করেন এবং সেই অর্থ থেকে নিজের সমাধির জন্য মূল্য পরিশোধ করেন। এতে খরচ হয় মাত্র ১৪ রুপী ১২ আনা। আওরঙ্গজেবের তার সমাধিস্থলকে জাঁকজমক পূর্ণ করার বিরোধী ছিলেন এবং তার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সমাধিস্থলকে খুবই সাধারণ ভাবে তৈরি করা হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৬ 
  2. "Aurangzeb" Encyclopædia Britannica. Retrieved 21 March 2015.
  3. Mikaberidze, Alexander (২০১১)। Conflict and Conquest in the Islamic World: A Historical Encyclopedia। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 149আইএসবিএন 1598843362 
  4. "World Heritage Sites - Ellora Caves - Khuldabad"Archaeological Survey of India। ৬ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা