আউর খান আইবেক
আউর খান আইবেক (ফার্সি: اورخان آيبك, প্রতিবর্ণীকৃত: ওরখান আইবেক) ছিলেন মামলুক সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের মৃত্যুর পর সুলতানা রাজিয়ার অধীনে বাংলার (লখনৌতির) একজন গভর্নর ছিলেন। তুগরল তুঘান খান কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত এবং তুঘান খান তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগে ১২৩৬ সালে তিনি বাংলা শাসন করেছিলেন। [১]
আউর খান আইবেক | |
---|---|
সার্বভৌম শাসক | সুলতানা রাজিয়া |
লখনৌতির শাসক | |
কাজের মেয়াদ ১২৩৬ | |
পূর্বসূরী | মালিক সাইফুদ্দীন আইবেক |
উত্তরসূরী | তুগরল তুগান খান |
জীবনী
সম্পাদনাসুলতান ইলতুতমিশের শাসনামলে মালিক আলাউদ্দিন জানী নামের এক তুর্কীকে বাংলার (লখনৌতির) শাসনভার দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তাকে অপসারণ করে সাইফুদ্দিন আইবেককে এই পদে নিযুক্ত করা হয়। আউর খান আইবেক ছিলেন সাইফুদ্দিনের সভাসদ। সুলতান ইলতুতমিশের মৃত্যু পরবর্তী অরাজকতার সুযোগ নিয়ে "দুর্দান্ত সাহসী এবং গতিময়তার তুর্কী" হিসাবে বর্ণিত আউর খান ১২৩৬ সালে সাইফুদ্দিনকে হত্যা করে এবং লখনৌতির ইকতা'র ক্ষমতা গ্রহণ করেন।[২]
বিহারের তৎকালীন শাসনকর্তা তুগরল তুগান খান তার ক্ষমতা দখলকে মেনে নিতে পারেনি এবং তিনি এর বিরোধিতা করেন। তাই তিনি আউর খানকে লখনৌতি প্রদেশকে আবার দিল্লী সালতানাতে সমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু আউর খান তা মেনে না নিয়ে নিজের মত শাসন করতে থাকেন। তুগান খান দিল্লীর সুলতানের অনুমতি না নিয়েই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সৈন্য নিয়ে বসনকোট নগরে আগমন করেন। তখন বসনকোট দুর্গ দখল করার উদ্দেশ্যে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধে আউর খান আইবেক পরাজিত ও নিহত হন।[১] ফলশ্রুতিতে তুগরাল বাংলা এবং বিহার উভয় প্রদেশেই সুলতানের গভর্নর হিসাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। [৩]
পূর্বসূরী মালিক সাইফুদ্দীন আইবেক |
বাংলার (লখনৌতির) গভর্নর ১২৩৬ |
উত্তরসূরী তুগরল তুগান খান |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "আউর খান আইবক"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৩।
- ↑ "FarEastKingdoms(Bengle), KingListsFarEast"। www.historyfiles.co.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ Nagendra Kr. Singh (২০০৩)। Encyclopaedia Of Bangladesh (Set Of 30 Vols.)। Anmol Publications PVT. LTD.। পৃষ্ঠা 205–। আইএসবিএন 978-81-261-1390-3। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১।