আইটিসি সঙ্গীত রিসার্চ একাডেমি

সংস্থা

আইটিসি সঙ্গীত রিসার্চ একাডেমি হল কলকাতা প্রখ্যাত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আইটিসি লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত শিক্ষার খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান [১]এর ভবনটি কলকাতার টালিগঞ্জে অবস্থিত । [২] একটি স্বতন্ত্র ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পেশাদারি সঙ্গীত একাডেমি হিসাবে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়। একাডেমীর সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞেরা হলেন উলহাস কাশালকর, ফাল্গুনী মিত্র, অজয় চক্রবর্তী,ওস্তাদ রশিদ খান, মাশকুর আলী খান, গিরিজা দেবী, শুভ্রা গুহ। চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব সত্যজিৎ রায় ছিলেন অন্যতম ট্রাস্টি। [৩] ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে আয়োজিত 'আইটিসি সঙ্গীত সম্মেলন'-এর মধ্য দিয়ে কলকাতার কর্পোরেট সংস্থা 'আইটিসি লিমিটেড'-এর সঙ্গীতের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হয়। ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীতের অবিচ্ছেদ্য ধারা হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত যখন পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ভুগছিল তখন কলকাতার এই কর্পোরেট হাউস এগিয়ে আসে।

আইটিসি সঙ্গীত রিসার্চ একাডেমি
সংক্ষেপেআইটিসি এসআরএ
গঠিত১৯৭৮
উদ্দেশ্যহিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত শিক্ষা, গবেষণা ও সংরক্ষণ
অবস্থান
স্থানাঙ্ক২২°২৯′২০″ উত্তর ৮৮°২০′৪২″ পূর্ব / ২২.৪৮৮৭৭° উত্তর ৮৮.৩৪৫০৬° পূর্ব / 22.48877; 88.34506
ওয়েবসাইটOfficial site

সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, আইটিসি লিমিটেড-এর দূরদর্শী শীর্ষ কর্তারা সমৃদ্ধ ভারতীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্য প্রচার ও সংরক্ষণে চিন্তা ভাবনা শুরু করেন। তারা সঙ্গীতের গুরুকুল গড়ে তুলতে এবং ঐতিহ্যবাহী গুরু-শিষ্য পরম্পরা-কে পুনরুজ্জীবিত করতে অগ্রণী ভূমিকা নেন।

১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে সংস্থাটি ''আইটিসি সঙ্গীত রিসার্চ একাডেমি'' নামে একটি স্বতন্ত্র পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করে। অতঃপর ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ হতে ভারতীয় সঙ্গীতের কর্পোরেট পৃষ্ঠপোষকতা চালু হয়। আইটিসি লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের আর্থিক সাহায্য ব্যতিরেকে পেশাদারভাবে পরিচালিত হয়।

বার্ষিক উৎসব সম্পাদনা

একাডেমি প্রতি বছর একটি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসব - আইটিসি এসআরএ সঙ্গীত সম্মেলন আয়োজন করে থাকে। তারা আইটিসি এসআরএ মিনি সঙ্গীত সম্মেলনও আয়োজন করে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Unique music festival"The Hindu। ১১ ডিসেম্বর ২০০৯। 
  2. "The Hindu : Feast of Hindustani music"www.hindu.com। ৩ মে ২০০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২২ 
  3. http://www.indianexpress.com/old/ie/daily/19970703/18450513.html [অকার্যকর সংযোগ]