অ্যান্টার্কটিকা (উপন্যাস)

কিম স্ট্যানলি রবিনসনের লিখিত কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস

অ্যান্টার্কটিকা (ইংরেজি: Antarctica) হল মার্কিন লেখক কিম স্ট্যানলি রবিনসনের লেখা একটি কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। এই উপন্যাসে অ্যান্টার্কটিকার একটি রিসার্চ স্টেশনে বসবাসকারী ও সেই সব স্টেশনে আগত বিভিন্ন ধরনের চরিত্রের সমাবেশ ঘটেছে। রবিনসনের উপন্যাসে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ও পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বের মতো যে বিষয়গুলি সচরাচর দেখা যায়, এই উপন্যাসেও সেগুলি সংযোজিত হয়েছে।[১]

অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকা উপন্যাসের প্রচ্ছদ
লেখককিম স্ট্যানলি রবিনসন
দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
ধরনকল্পবিজ্ঞান
প্রকাশকহার্পারভয়েজার (আগে ভয়জার)
প্রকাশনার তারিখ
১৯৯৭
মিডিয়া ধরনমুদ্রণ (হার্ডব্যাক ও পেপারব্যাক)
পৃষ্ঠাসংখ্যা৪১৪
আইএসবিএন০-০০২-২৫৩৫৯-৩
ওসিএলসি৩৭৮২৮২৪৭

কাহিনি-সারাংশ সম্পাদনা

এই কাহিনির অধিকাংশ অংশেরই কেন্দ্র ম্যাকমার্ডো স্টেশন। এটি অ্যান্টার্কটিকার বৃহত্তম জনবসতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হয়। রবিনসনের উপন্যাসগুলির একটি বৈশিষ্ট্য হল একাধিক প্রধান চরিত্রের সমাবেশ। এই উপন্যাসেও মেরু অঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের জীবনযাত্রা শৈলীর বর্ণনা দেওয়ার জন্য একাধিক মুখ্য চরিত্রের অবতারণা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে আছেন এক্স নামে এক আদর্শবাদী যুবক যিনি ম্যাকবার্ডোয় জেনারেল ফিল্ড অ্যাসিস্টেন্টের কাজ করেন; ভ্যাল নামে এক ক্রমশ বিরক্ত হয়ে ওঠা এক ট্রেক গাইড; এবং ওয়াড নর্টন যিনি ক্যালিফোর্নিয়ান সেনেটর ফিল চেসের হয়ে কাজ করেন (ওয়াড ও ফিল চরিত্র দু’টিকে "সায়েন্স ইন দ্য ক্যাপিটাল" ত্রয়ীতেও দেখা গিয়েছে)। ম্যাকমার্ডো ছাড়া এই কাহিনির অন্যতম প্রেক্ষাপটগুলি হল অ্যামান্ডসেন-স্কট দক্ষিণ মেরু স্টেশন, শেকলটন হিমবাহ, ম্যাকমার্ডো শুষ্ক উপত্যকা ও রবার্টস ম্যাসিফের কাছে একটি দক্ষিণ আমেরিকান ড্রিলিং প্ল্যাটফর্ম।

বিষয়বস্তু সম্পাদনা

অ্যান্টার্কটিকা উপন্যাসে এমন কিছু ধারণা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যেগুলির প্রয়োগ রবিনসন অন্যত্রও করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মার্স ত্রয়ী উপন্যাসে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার মতো বিষয়গুলিকে। এই উপন্যাসে অ্যান্টার্কটিকার গুরুত্ব "বিজ্ঞানের মহাদেশ" হিসেবে, একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদ তার মধ্যে নেই। আরেকটি গুরুত্ব হল ওই রকম একটি প্রান্তিক এলাকায় বসবাসকারী কর্মীদের ভরণপোষণের উৎস। এছাড়া যে বিষয়গুলি এই উপন্যাস ও রবিনসনের অন্য উপন্যাসগুলিতেও দেখা যায় সেগুলি হল পর্বতারোহণ, শারীরিক কসরৎ, বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ও আদর্শবাদ, প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার এবং সমবায়মূলক ও নৈরাজ্যতন্ত্রী সামাজিক ব্যবস্থার পত্তন।[২]

১৯৯৫ সালে রবিনসন ন্যাশানাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের অ্যান্টার্কটিক আর্টিস্টস অ্যান্ড রাইটার্স প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে কিছু কাল অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থান করেন এবং ১৯৯৮ সালে একটি লোকাস পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। এই ঘটনা অ্যান্টার্কটিক উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে রবিনসনের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল।[৩] পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণার পর লিখিত এই উপন্যাসটি সাধারণভাবে যথাযথ। তবে কোনও কোনও সমালোচকের মতে উপন্যাসে অত্যধিক বিস্তারিতভাবে প্রযুক্তিগত ও ঐতিহাসিক তথ্যের সমাবেশ এটির গতি হ্রাস করেছে।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Internet Book List। "Book Information: Antarctica"। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২ 
  2. NetMassimo। "Happy birthday Kim Stanley Robinson!"। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২ 
  3. "1998 Award Winners & Nominees"Worlds Without End। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৮ 
  4. "Antarctica. Kim Stanley Robinson. 1997. London: Harper Collins Publishers. 414 p, hard cover. ISBN 0-00-225359-3. £16.99"। Polar Record34 (188): 73। ২০০৯। ডিওআই:10.1017/S0032247400015151 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা