অর্জন সিংহ
অর্জন সিংহ (১৬ এপ্রিল ১৯১৯-১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭) ভারতীয় বিমান বাহিনীর সর্বোচ্চ পদবীধারী ব্যক্তি ছিলেন। অর্জন ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর চিফ অব দ্যা এয়ার স্টাফ (বিমান বাহিনীর প্রধান কর্মকর্তা) ছিলেন। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যকার ১৯৬৫ সালের ভয়াবহ যুদ্ধের সময় তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিয়ে জয়ী করে তোলেন এবং পুরস্কার স্বরূপ ভারত সরকার দ্বারা 'পদ্মবিভূষণ' পদক লাভ করেন।[১] ১৯৬৬ সালে তাকে এয়ার চীফ মার্শাল পদে উন্নীত করা হয় এবং স্বাধীন ভারতে তিনিই সর্বপ্রথম এই পদবীধারী ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হন। ২০০২ সালে তাকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সর্বোচ্চ পদবী 'মার্শাল অব দ্যা এয়ার ফোর্স' দেওয়া হয়, ভারতের সেনাবাহিনীতে ফিল্ড মার্শাল (এ পদবীর সমান) দু'জন (শ্যাম মানেকশ এবং কোদানদেরা মদপ্পা কারিয়াপ্পা) এবং নৌবাহিনীতে আজ অবধি কাউকে পাঁচ-তারকা পদ দেওয়া হয়নি।[২][৩]
মার্শাল অব দ্যা ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স অর্জন সিংহ দক্ষ উড্ডয়ন প্রতীক (ডিএফসি) | |
---|---|
জন্ম | লায়লাপুর, পাঞ্জাব, ভারত (বর্তমান ফয়সালাবাদ, পাকিস্তান) | ১৫ এপ্রিল ১৯১৯
মৃত্যু | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ দিল্লি, ভারত | (বয়স ৯৮)
আনুগত্য | ব্রিটিশ ভারত (১৯৩৮–১৯৪৭) ভারত (১৯৪৭ সাল থেকে) |
সেবা/ | রাজকীয় ভারতীয় বিমান বাহিনী, ভারতীয় বিমান বাহিনী |
কার্যকাল | ১৯৩৮-১৯৭০ ২০০২-২০১৭[ক] |
পদমর্যাদা | মার্শাল অব দ্যা এয়ার ফোর্স (ভারত) |
নেতৃত্বসমূহ | নং ১ স্কোয়াড্রন বিমান বাহিনী স্টেশন আম্বালা পশ্চিম বিমান কমান্ড উপ বিমান বাহিনী প্রধান |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫ |
পুরস্কার | পদ্মবিভূষণ
|
পূর্ব জীবন এবং কমিশন
সম্পাদনা১৯১৯ সালের ১৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন অর্জন বর্তমান পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে যেটি তখন লয়ালপুর নামে পরিচিত ছিলো। অর্জনের বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অনাযুক্তক সেনা ছিলেন। ১৯৩৮ সালে রাজকীয় বিমান বাহিনী কলেজ ক্র্যানওয়েলে প্রবেশ করেন অর্জন এবং এর পরের বছরের ডিসেম্বর মাসে রাজকীয় ভারতীয় বিমান বাহিনীতে কমিশন পান তিনি।[৪][৫][৬][৫][৭]
বিমান বাহিনীতে কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৪৩ সালে তাকে ভারপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার করে নং ১ স্কোয়াড্রনের অধিনায়ক করা হয়। এই ১ নং স্কোয়াড্রনকে তিনি বার্মায় সামরিক অভিযান করেন এবং তাকে এজন্য দক্ষ উড্ডয়ন প্রতীক (ডিসটিংগুইশ্ড ফ্লাইং ক্রস) পদক দেওয়া হয়, অর্জন ১৯৪৫ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রদর্শনী ফ্লাইটের অধিনায়কত্ব করেছিলেন এবং ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট তিনি দিল্লির রেড ফোর্টের ওপর দিয়ে বিমান উড্ডয়ন পরিচালনা করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে।[৮]
নোট
সম্পাদনা- ↑ ভারতের সামরিক বাহিনীতে পাঁচ-তারকা পদবীধারী ব্যক্তিরা মৃত্যুপর্যন্ত চাকরীতে বহাল থাকেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Only Marshal of IAF, hero of 1965, Arjan Singh shaped the force"। The Indian Express। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Marshal of the Air Force Arjan Singh, DFC"। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Arjan Singh, Marshal of the Indian Air Force and key figure in 1965 Pak war, dies at 98"। Hindustan Times। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Article in The Tribune"। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ "Timeline of the life of IAF Marshal Arjan Singh"। The Indian Express। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Air Marshal Arjan Singh dies at 98"। The Statesmen। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Arjan Singh was 'perfect gentleman, most generous': Kin"। The Times of India। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Both of us were part of first flypast over Red Fort on August 15, 1947: Air Marshal Randhir Singh reminisces about Arjan Singh"। The Indian Express। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "President Pranab Mukherjee honours Arjan Singh, others on golden jubilee of 1965 war triumph"। India.com। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Meet Marshal Arjan Singh, Who Made IAF A Nightmare For The Enemies And Guardian Of Our Skies"। Storypick। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Arjan Singh: an epitome of military leadership"। Manorma Online। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।