অভিমান সিংহ বস্ন্যাত

নেপালী রাজনীতিবিদ

অভিমান সিংহ বস্ন্যাত (নেপালি: अभिमान सिंह बस्न्यात) একীভূত নেপালের প্রথম সেনাপ্রধান বা কমান্ডার-ইন-চিফ ছিলেন।[] দ্বিতীয়বারের মতো কীর্তিপুর অধিগ্রহণের প্রচেষ্টা চালানোর প্রাক্কালে জেনারেল কালু পান্ডের মৃত্যুর পরে অভিমান সিংহ বস্ন্যাত একীভূত নেপালের প্রথম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

অভিমান সিংহ বস্ন্যাত
মূলকাজী অভিমান সিংহ বস্ন্যাতের প্রতিকৃতি
নেপালের প্রধান কাজী
কাজের মেয়াদ
১৭৭২ – ১৭৯৪
উত্তরসূরীকীর্তিমান সিংহ বস্ন্যাত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দ (১৮০১ বি.স.)
গোর্খা, নেপাল অধিরাজ্য
মৃত্যু১৮০০ খ্রিস্টাব্দ (১৮৫৭ বি.স.)
আত্মীয়স্বজননাহর সিংহ বস্ন্যাত (ভাই)
কেহর সিংহ বস্ন্যাত (ভাই)
ধোকল সিংহ বস্ন্যাত (ভাই)
কীর্তিমান সিংহ বস্ন্যাত (ভাইপো)
ভক্তবর সিংহ বস্ন্যাত (ভাইপো)
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য   নেপাল
পদজেনারেল
যুদ্ধচীন-নেপাল যুদ্ধ

তিনি নেপালের একীভূতকরণের সময় মকওয়ানপুর আক্রমণে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি চৈতরিয়া শ্রী কৃষ্ণ শাহের অধীনে অনুগত সেনাপতি হিসাবে চীন-নেপাল যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন।[] ১৭৮৮ থেকে ১৭৯২ খ্রিষ্টাব্দে নেপাল দ্বারা তিব্বতে আক্রমণ অভিযানের মধ্য দিয়ে নেপাল ও তিব্বতী সেনার মধ্যে এই যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল যা মূলত তিব্বতে পাঠানো নেপালের নিম্নমানের ধাতুনির্মিত মুদ্রা থেকে বাণিজ্যিক বিবাদ থেকে শুরু হয়েছিল। প্রথমদিকে নেপালিরা সাফল্য লাভ করলেও চিং রাজবংশ আসরে নামলে নেপালিরা তাদের অধিকৃত জমি থেকে বিতাড়িত হয় এবং একটি শান্তি চুক্তি স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছিল। ওই সময় তিনি তানাহুন রাজ্যকে একীভূত নেপালে নেতৃত্ব ও অধিভুক্ত করেছিলেন।

১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা রানা বাহাদুর শাহ নেপালি বাহাদুর শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সরকার তথা প্রশাসন ভেঙে দিয়েছিল। অভিমান সিংহ বস্ন্যাতের উত্তরসূরি অন্যান্য চার কাজীর মধ্যে কীর্তিমান সিংহ বস্ন্যাত প্রধান বা (মূল) কাজী নিযুক্ত হন। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে (১৮৫৭ বিক্রম সংবৎ) তাকে কিরাতঁ অঞ্চলসমূহ নিয়ে গঠিত অঞ্চলটি অধিগ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল। কিরাতঁ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিলো পল্লো কিরাতঁ (লিম্বুয়ান), বল্লো কিরাতঁ এবং মাঝ কিরাতঁ (খম্বুয়ান), তারপর কালা বাঁজার বলা হয়। এতটুকু বয়সে এই অঞ্চলে প্রেরণ করাটা তার প্রতি একটি বড়রকম অবিচার ছিল, তাছাড়া তিনি তখন মুলকাজী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। অভিমান সিংহ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ছাপ্পান্ন বছর বয়সে মারা যান। সম্ভবত ম্যালেরিয়া জ্বর থেকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জীবন এবং পরিবার

সম্পাদনা

অভিমান সিংহ বস্ন্যাত ১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে অভিজাত বস্ন্যাত সেনাপতি বডাবীর শিবরাম সিংহ বস্ন্যাতের পরিবারের তৃতীয় পুত্র হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শিবরাম সিংহ নেপালকে একীভূতকরণের সময় সাঁগা চৌকের যুদ্ধে ১৮০৩ বিক্রম সংবৎ অর্থাৎ ১৭৪৭ খ্রিস্টাব্দে মারা গিয়েছিলেন। তিনি ছেত্রি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। শিবরাম সিংহের পিতা (অভিমান সিংহের পিতামহ) ছিলেন শ্রীপলি বস্ন্যাত বংশীয় এবং তার মা সুরপ্রভা ছিলেন অভিজাত ব্যক্তি বগলে থাপার কন্যা।

অভিমান সিংহের আরো তিনজন সহোদর ছিল। তান বড় দুই ভাই হলেন কাজী নাহর সিংহ বস্ন্যাত এবং কাজী কেহর সিংহ বস্ন্যাত। তার কনিষ্ঠ ভাই ছিল কাজী ধোকল সিংহ বস্ন্যাত, যিনি কুমুনের গভর্নর হয়েছিলেন এবং তৎকালে বর্তমান নারায়ণহিতি প্রাসাদের প্রথম মালিক ছিলেন।

চিত্রশালা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Regmi Research Series" Author:Mahesh Chandra Regmi
  2. "Archived copy"। ২০১৬-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২৮