অগ্গমহাপন্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির

অগ্গমহাপন্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির (২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৭২ - ৩ ডিসেম্বর ১৯৩৯) হলেন একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং ধর্মপ্রচারক যিনি বাংলাদেশে, বিশেষতঃ চট্টগ্রামে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারে ও উপাসনালয় গড়ায় বিশেষ অবদান রেখেছেন।[১]

অগ্গমহাপন্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির
জন্ম২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৭২
মৃত্যু৩ ডিসেম্বর ১৯৩৯
সাতবাড়িয়া, চট্টগ্রাম
পেশাবৌদ্ধ ভিক্ষু
পরিচিতির কারণধর্মপ্রচারক ও শিক্ষাবিদ

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি

সম্পাদনা

ধর্মবংশ মহাস্থবির ১৮৭২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৭২ তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পৈতৃক নিবাস ছিলো চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার বেঙ্গুরা গ্রামে। তার পিতৃদত্ত নাম প্রাণকৃষ্ণ বড়ুয়া।

শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

ধর্মবংশ কলকাতার বউবাজার মিশনারি বিদ্যালয় থকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা লাভের পর আঠারো বছর বয়সে বউবাজারের নবীন বিহারে শ্রামণ্যধর্মে দীক্ষিত হন এবং বৌদ্ধধর্ম ও দর্শনে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ব্রহ্মদেশ গমন করে মৌলমেনস্থ বৈজয়ন্তী বিহারের অধ্যক্ষ সাগরা মহাস্থবিরের নিকট উপসম্পদা গ্রহণ করেন।[১] বার্মায় অধ্যয়নশেষে উচ্চতর শিক্ষার জন্য তিনি শ্রীলঙ্কায় যান এবং ১৯০৪ সাল পর্যন্ত সেখানে অধ্যয়ন করেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

তিনি ১৯০৪ সালে চট্টগ্রামে একটি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ পদে যোগদান করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে পালি শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন এবং পরবর্তিতে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম কলেজে পালি বিভাগ খোলা হলে তাতে প্রথম প্রভাষক নিযুক্ত হয়ে একাধারে ১৬ বছর সেখানে অধ্যাপনা করেন।[১]

তিনি ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি’র সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।[২]

মৃত্যু

সম্পাদনা

তিনি ১৯৩৯ সালের ৩ ডিসেম্বর সাতবাড়িয়া বৌদ্ধবিহারে মৃত্যুবরণ করেন।[১]

সম্মননা

সম্পাদনা

বিহার প্রতিষ্ঠা, মন্দিরে প্রতিষ্ঠা, পালি শিক্ষার প্রসার প্রভৃতি কাজে তার নেতৃত্ব ও দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ বার্মা সরকার ১৯২৭ সালে তাকে ‘‘অগ্গমহাপন্ডিত’’ উপাধিতে ভূষিত করে।[১]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ভিক্ষু সুনীথানন্দ (জানুয়ারি ২০০৩)। "ধর্মবংশ মহাস্থবির, অগ্গমহাপন্ডিত"। সিরাজুল ইসলামবাংলাপিডিয়াঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  2. রেবতপ্রিয় বড়ুয়া (জানুয়ারি ২০০৩)। "বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি"। সিরাজুল ইসলামবাংলাপিডিয়াঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা