পাকিস্তান (উর্দু: پاکِستان), সরকারিভাবে ইসলামি প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান (উর্দু: اِسلامی جمہوریہ پاکِستان), দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ২১,২৭,৪২,৬৩১-র অধিক জনসংখ্যা নিয়ে এটি জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম রাষ্ট্র এবং আয়তনের দিক থেকে ৩৩তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। পাকিস্তানের দক্ষিণে আরব সাগর এবং ওমান উপসাগরীয় উপকূলে ১০৪৬ কিলোমিটার (৬৫০ মাইল) উপকূল রয়েছে এবং এটি পূর্ব দিকে ভারতের দিকে, আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমে, ইরান দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং উত্তর-পূর্ব দিকে চীন সীমান্তে অবস্থিত। এটি উত্তর-পশ্চিমে আফগানিস্তানের ওয়াখান করিডোরের দ্বারা তাজিকিস্তান থেকে সংকীর্ণভাবে বিভক্ত এবং ওমানের সাথে সমুদ্রের সীমান্ত ভাগ করে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
অসহযোগ আন্দোলন ১৯৭১ সালের মার্চে পাকিস্তানের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ কর্তৃক পরিচালিত একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন। ১ মার্চে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণার পর জনগণের স্বতস্ফুর্ত আন্দোলন শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ২ মার্চে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়ে ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলমান থাকে। মোট ২৫ দিন স্থায়ী হয় এই আন্দোলন। আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা। এই সময়কালে ক্রমশ পূর্ব পাকিস্তানের বেসামরিক প্রশাসনের উপর থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রায় অচল হয়ে পড়ে। আন্দোলনের একপর্যায়ে সেনানিবাসের বাইরে পুরো পূর্ব পাকিস্তান কার্যত শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে চলছিল। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 2
লাহোর দুর্গ (উর্দু/পাঞ্জাবি: شاہی قلعہ) (স্থানীয়ভাবে শাহী কিল্লা বলে পরিচিত) পাকিস্তানের পাঞ্জাবের লাহোরে অবস্থিত একটি দুর্গ। এই দুর্গ ইকবাল পার্কেলাহোরের দেয়ালঘেরা শহরের উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত। এই পার্ক পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় নগর পার্কের অন্যতম। ট্রাপোজয়েড আকৃতির স্থানটি ২০ হেক্টর এলাকা নিয়ে গঠিত। এটিতে ২১ টি উল্লেখযোগ্য স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে যার মধ্যে কয়েকটি সম্রাট আকবরের যুগে রয়েছে। ১৭ শ শতাব্দীতে লাহোর দুর্গটি প্রায় পুরোপুরি পুনর্নির্মাণের জন্য উল্লেখযোগ্য, যখন মুঘল সাম্রাজ্য তার জাঁকজমক ও ঐশ্বর্যের চূড়ান্ত উচ্চতায় ছিল।
দুর্গের উৎস প্রাচীনকাল হলেও বর্তমান স্থাপনা মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে নির্মিত হয়েছে। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাটদের সময়ে দুর্গের বৃদ্ধি ঘটেছে। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর শিখ ও ব্রিটিশ শাসকরাও দুর্গের বৃদ্ধি ঘটান। এর দুইটি ফটক রয়েছে। এর মধ্যে একটি সম্রাট আওরঙ্গজেব নির্মাণ করেছেন। এটি আলমগিরি ফটক বলে পরিচিত এবং তা বাদশাহী মসজিদমুখী। অন্যটি আকবরের সময় নির্মিত হয় এবং এটি মাসিতি বা মসজিদি ফটক নামে পরিচিত। এটি দেয়ালঘেরা শহরের মাসিতি এলাকামুখী। বর্তমানে আলমগিরি ফটকটি প্রধান প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং মাসিতি ফটকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে। দুর্গে মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন রয়েছে। দুর্গের কিছু বিখ্যাত স্থানের মধ্যে রয়েছে শিশ মহল, আলমগিরি ফটক, নওলাখা প্যাভেলিয়ন ও মোতি মসজিদ। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
মুনির মালিক (উর্দু: منيرملک; ১০ জুলাই ১৯৩৪ – ৩০ নভেম্বর ২০১২) ছিলেন একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার, যিনি ১৯৫৯ – ১৯৬২ সালের মধ্যে পাকিস্তানের হয়ে ৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। তিনি ডানহাতি দ্রুতগতির বোলার ছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ৫টি উইকেট নেয়া-সহ টেস্ট ক্যারিয়ারে গড়ে ৩৯.৭৭ করে তিনি মোট ৯টি উইকেট নেন। প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে গড়ে ২১.৭৫ করে তিনি মোট ১৯৭টি উইকেট নেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 5
অপারেশন পাইথন১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় অপারেশন ট্রাইডেন্টের পর পশ্চিম পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচীতেভারতীয় নৌবাহিনী পরিচালিত একটি নৌ-হামলার ছদ্মনাম। করাচী বন্দরে অপারেশন ট্রাইডেন্টের প্রথম হামলার পর প্রচুর ভারতীয় নৌ-জাহাজের উপস্থিতি দেখে অন্য আরেকটি হামলা পরিকল্পনার কথা আশঙ্কা করে পাকিস্তান তাদের উপকূলবর্তী এলাকায় আকাশপথে নজরদারি জোরদার করে এবং বাণিজ্য জাহাজের সাথে যুদ্ধ জাহাজ মিশিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭১ সালের ৮/৯ ডিসেম্বর ভারত অপারেশন পাইথন পরিচালনা করে। তারা একটি মিসাইল বোট এবং দুইটি ফ্রিগেট নিয়ে করাচী উপকূলের অদূরে নোঙর করা জাহাজগুলোকে আক্রমণ করে। ভারতের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও পাকিস্তানি ফ্লিট ট্যাংকার পিএনএস ঢাকা মেরামতের অযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কিমারি তেল সংরক্ষণাগার ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও এই হামলায় করাচীতে নোঙর করা দুইটি বিদেশি জাহাজও ডুবে গিয়েছিল। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 6
এ কে এম মিরাজ উদ্দিন (জন্ম: ১১ মার্চ ১৯৪৮ - অন্তর্ধান: ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ক্রীড়াবিদ, রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৬৩ হতে ১৯৭০ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া আসরসমূহে মল্লক্রীড়ার হার্ডলস, পোল ভল্ট ও দীর্ঘ লম্ফ খেলায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত সাফল্য অর্জন করেন এবং এসব খেলায় জাতীয় রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব সময়ের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ গণ্য করা হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধরত অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পরেছিলেন এবং পরবর্তীতে নিখোঁজ হয়েছিলেন। মানিকগঞ্জ জেলার স্টেডিয়ামটি তার ও অপর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তপন চৌধুরীর সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 7
বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশে) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে পূর্ব বাংলায় মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাকে তদানীন্তন পাকিস্তান অধিরাজ্যের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ রোপিত হয়েছিল বহু আগে; অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী।
১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারতভাগ হয়ে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও ভারত অধিরাজ্য নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। পাকিস্তানের ছিল দুইটি অংশ: পূর্ব বাংলা (১৯৫৫ সালে পুনর্নামাঙ্কিত পূর্ব পাকিস্তান) ও পশ্চিম পাকিস্তান। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের (প্রায় ১২৪৩ মাইল) অধিক দূরত্বের ব্যবধানে অবস্থিত পাকিস্তানের দুটি অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেকগুলো মৌলিক পার্থক্য বিরাজমান ছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান অধিরাজ্য সরকারপূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলাকেইসলামীকরণ তথা আরবিকরণের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে আরবি হরফে বাংলা লিখন অথবা সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা আরবি করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। আবার, সমগ্র পাকিস্তানের সকল ভাষা লাতিন হরফে লেখার মাধ্যমে বাংলার রোমানীকরণের প্রস্তাবও করা হয়। এসকল ঘটনার প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কার্যত পূর্ব বাংলার বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যায্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ মাতৃভাষা বাংলার সম-মর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল, সমাবেশ ইত্যাদি বেআইনি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
প্রবেশদ্বারটি উইকিপ্রকল্প পাকিস্তান কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়মিত হালনাগাদকৃত। প্রকল্পে যোগ দিন, উইকিপিডিয়ায় পাকিস্তান সংক্রান্ত নিবন্ধ লিখুন, সমৃদ্ধ করুন।
আপনি যা করতে পারেন
পাকিস্তান বিষয়ক নতুন নিবন্ধ তৈরি অথবা অন্য উইকিপ্রকল্প হতে অনুবাদ করতে পারেন।
বর্তমান নিবন্ধ অথবা পাকিস্তান বিষয়ক বিভিন্ন (নিম্নের) টেমপ্লেট হতে লাল লিঙ্ক থাকা বিষয় নিয়ে নতুন নিবন্ধ রচনা করতে পারেন।
বিদ্যমান নিবন্ধসমূহ তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ, সম্প্রসারণ, রচনাশৈলীর উন্নয়ন ও তথ্যছক না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
নিবন্ধগুলিতে উইকিমিডিয়া কমন্স হতে দরকারী ও প্রাসঙ্গিক মুক্ত চিত্র যুক্ত করতে পারেন।
পাকিস্তান সংক্রান্ত নিবন্ধসমূহে বিষয়শ্রেণী না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
নিবন্ধসমূহে তথ্যসূত্রের ঘাটতি থাকলে, পর্যাপ্ত সূত্র যোগ করতে পারেন।
পাকিস্তান সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহের শেষে {{প্রবেশদ্বার দণ্ড|পাকিস্তান}} যুক্ত করতে পারেন।
আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশন, ১৯৫৭ হলো পূর্ব পাকিস্তান সরকার প্রদেশে শিক্ষার সার্বিক সংস্কার সুপারিশের জন্য গঠিত একটি শিক্ষা কমিশন। ১৯৫৭ সালের জানুয়ারি মাসে আতাউর রহমান খানকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে একটি শিক্ষা কমিশন তৈরি করা হয়। এই কমিশন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ করে কিছু সংস্কারের সুপারিশ করে। এই কমিশন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে অত্যধিক গুরুত্বারোপ করে। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অবৈতনিক এবং সাথে সাথে বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দেন। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
সাহেবজাদা সৈয়দ ইস্কান্দার আলি মির্জাCIE, OBEEnglish IPA: ɪskɑndæɾ əɪiː mi(ə)ɹzə ( উর্দু: اسکندر مرزا; ১৩ নভেম্বর ১৮৯৯ – ১৩ নভেম্বর ১৯৬৯) ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ এবং পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্বপালন করেন। এর পূর্বে ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের শেষ গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল পদে অবসর নেন।
ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুকাল অবস্থান করার পর ইস্কান্দার মির্জা ইন্ডিয়ান পলিটিকাল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের জয়েন্ট সেক্রেটারি হন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান তাকে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। বাংলা ভাষা আন্দোলনের পর পূর্ব পাকিস্তানে অস্থিরতা দেখা দিলে খাজা নাজিমুদ্দিন তাকে প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত করেন। ১৯৫৫ সালে মালিক গোলাম মুহাম্মদের পর তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে সংবিধান প্রণয়নের পর তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। তার রাষ্ট্রপতিত্বকালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। ১৯৫৮ সালে তিনি সংবিধান স্থগিত করে সামরিক আইন জারি করেন। সেনাপ্রধানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর প্রভাব তার সময়ে শুরু হয়। সামরিক আইন জারির বিশ দিন পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আইয়ুব খান তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেন। ইস্কান্দার মির্জা লন্ডনে নির্বাসিত হন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 2
ইমরান আহমদ খান নিয়াজি (উর্দু: عمران احمد خان نیازی ; জন্ম: ৫ অক্টোবর ১৯৫২) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ ও সাবেক ক্রিকেটার। তিনি ২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৯৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই দলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৮০-এর দশক থেকে ১৯৯০-এর দশকের শুরুর ভাগ পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন।
লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ইমরান খান কেবল কলেজ, অক্সফোর্ড থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯২ সাল পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত সবিরামভাবে অধিনায়কত্ব করে যান। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় লাভ করে, যা এই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের একমাত্র বিজয়। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ইমরান খানের নাম আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করে তিনি ১৯৯৬ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-পাকিস্তান (পিটিআই) গঠন করে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি ২০০২ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় সংসদে আসন লাভ করেন এবং ২০০৭ সাল পর্যন্ত মিয়াঁওয়ালি থেকে বিরোধী দলীয় সদস্য ছিলেন। পিটিআই ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে এবং ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনগণের ভোটে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে পিটিআই জাতীয় সংসদে বৃহত্তম দল হয়ে ওঠে এবং স্বাধীন দলগুলোর সাথে জোট সরকার গঠন করে ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট খান পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নবাবজাদা লিয়াকত আলি খান (২ অক্টোবর ১৮৯৬ – ১৬ অক্টোবর ১৯৫১) ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত মুসলিম রাজনীতিবিদ এবং পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতা হিসেবে তিনি রাজনীতিতে উঠে আসেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত বিভাগ ও পাকিস্তান সৃষ্টিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। পাকিস্তানের তিনি মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ্র ডানহাত হিসেবে পরিচিত। তিনি কায়েদ-এ-মিল্লাত, শহীদ-এ-মিল্লাত উপাধিতে ভূষিত হন। লিয়াকত আলি খান আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৩০-এর দশকে তিনি ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে উঠে আসেন। তিনি মুহাম্মদ আলি জিন্নাহকে ভারতে ফিরে আসতে আগ্রহী করে তোলেন ; এরই ফলশ্রুতিতেই এক পর্যায়ে পাকিস্তান আন্দোলন শুরু হয়। চল্লিশের দশকে লাহোর প্রস্তাব পাশ হবার পরে লিয়াকত আলি খান পাকিস্তান আন্দোলন এগিয়ে নিতে জিন্নাহকে সাহায্য করেন। পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশবাসীর পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেন ; বিশেষ ক'রে ভারত পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের বিষয় কাশ্মীর সমস্যাকে তিনি জাতিসংঘে উত্থাপন করেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 5
১৯৭১ সালে জুলফিকার আলী ভুট্টো
জুলফিকার আলী ভুট্টো (৫ জানুয়ারি ১৯২৮-৪ এপ্রিল ১৯৭৯) পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫৮ সালে তিনি মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ১৯৬৩ সালে। আইয়ুব খানের মন্ত্রিসভা ত্যাগ করে ১৯৬৭ সালে নিজে আলাদা দল গঠন করেন যার নাম দেয়া হয় পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি (পিপিপি)। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তার দল পশ্চিম পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সত্ত্বেও তাদের উপর ক্ষমতা অর্পণে ভুট্টো আপত্তি তুলেন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর ভুট্টো ইয়াহিয়া খানের স্থলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭৩ সালে দেশের সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই জেনারেল জিয়াউল হক দ্বারা সংঘটিত এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত হন। এক ব্যক্তিকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭৯ সালে সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে।
হামিদ মীর (উর্দু: حامد مير) (জন্ম: জুলাই ২৩, ১৯৬৬) একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক, কলাম লেখক এবং লেখক। তিনি সাংবাদিক পরিবারে লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন, মীর প্রথম থেকেই পাকিস্তানি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বর্তমানে জিও নিউজের রাজনৈতিক বিষয়ক টকশো ক্যাপিটাল টক উপস্থাপনা করছেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উর্দু এবং ইংরেজি উভয়ই সংবাদপত্রের জন্য কলাম লিখে থাকেন।
ফাতেমা জিন্নাহ (উর্দু: فاطمہ جناح; ৩০ জুলাই ১৮৯৩ – ৯ জুলাই ১৯৬৭) ছিলেন একজন পাকিস্তানি দন্তচিকিৎসক, জীবনীলেখক, রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি তার বড় ভাই মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর সহকর্মী ও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের তিনি একজন কঠোর সমালোচক ছিলেন। দ্বিজাতি তত্ত্বের পক্ষে তিনি কথা বলেছিলেন এবং নিখিল ভারত মুসলিম লীগের একজন নেতৃস্থানীয় সদস্য হয়ে উঠেন। পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর ফাতেমা জিন্নাহ পাকিস্তান ওমেনস এসোসিয়েশন গঠন করেন। নবগঠিত রাষ্ট্রে অভিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য এই সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর মৃত্যুর পর তিনি তার নিজস্ব কাজ চালিয়ে যান তবে ১৯৬৫ সালের আগ পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। এসময় তিনি সামরিক শাসন আইয়ুব খানের বিপক্ষে নির্বাচনে অংশ নেন।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ফাতেমা জিন্নাহ ১৯৬৭ সালের ৯ জুলাই করাচিতে মৃত্যুবরণ করেন। পাকিস্তানে সর্বাধিক সম্মানিত নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। নাগরিক অধিকার, পাকিস্তান আন্দোলন ও তার ভাইয়ের সহকর্মী হিসেবে তাকে সম্মান করা হয়। এছাড়া তাকে মাদারে মিল্লাত (জাতির মা) ও খাতুনে পাকিস্তান (পাকিস্তানের নারী) বলেও সম্বোধন করা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান ও স্থান তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 8
মিয়া মুহম্মদ নওয়াজ শরীফ (উর্দু: میاں محمد نواز شریف ) (জন্ম: ডিসেম্বর ২৫, ১৯৪৯) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ। তিনি তিন বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। প্রথমবার তিনি নভেম্বর ১, ১৯৯০ হতে জুলাই ১৮, ১৯৯৩ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। দ্বিতীয় বার তিনি ফেব্রুয়ারি ১৭, ১৯৯৭ হতে অক্টোবর ১২, ১৯৯৯ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তৃতীয় বার দ্বায়িত্ব পালন করেন ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ এর সদস্য। আন্তর্জাতিক ভাবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ১৯৯৮ সালে ভারতের পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার জবাবে পাকিস্তানের পালটা পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষার আদেশ করার পরে। , এবং ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এর হাতে নাটকীয়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 9
মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ (উর্দু: محمد علی جناح, গুজরাটি: મુહમ્મદ અલી જિન્નાહ) (/ɑːˈliː/; Arabic pronunciation, জন্মনাম মুহাম্মদ আলি জিন্নাহভাই; ২৫ ডিসেম্বর ১৮৭৬ – ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮) ছিলেন একজন গুজরাটি বংশদ্ভুত আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯১৩ সাল থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা পর্যন্ত জিন্নাহ নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হন এবং আমৃত্যু এই পদে বহাল থাকেন। পাকিস্তানে তাকে কায়েদে আজম (মহান নেতা) ও বাবায়ে কওম (জাতির পিতা) হিসেবে সম্মান করা হয়।
জিন্নাহ করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। লন্ডনেরলিঙ্কনস ইন থেকে তিনি ব্যরিস্টার হন। বিশ শতকের প্রথম দুই দশকে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেন। এসময় তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ১৯১৬ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে লখনৌ চুক্তির সময় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এসময় জিন্নাহ মুসলিম লীগেরও সদস্য ছিলেন। হোম রুল আন্দোলন সংগঠনে জিন্নাহ অন্যতম প্রধান নেতা হয়ে উঠেন। মুসলিমদের রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য তিনি চৌদ্দ দফা সাংবিধানিক সংস্কার পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন। কংগ্রেস মহাত্মা গান্ধীরসত্যাগ্রহে অংশ নিলে ১৯২০ সালে তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। রাজনৈতিক দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
১৮০০ এর দশকের শেষের দিক থেকে হায়দরাবাদের একটি অত্যন্ত বিরল ছবি। নেরুন কোট (সিন্ধি: نيرُون ڪوٽ) নামে পরিচিত সিন্ধুর তীরবর্তী একটি মৌর্য মাছ ধরা গ্রামের ধ্বংসাবশেষের উপরে ১৭৬৮ সালে মিয়ান গোলাম শাহ কালহোর এই শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পূর্বে সিন্ধের রাজধানী, এটি হায়দরাবাদ জেলার সদর দফতর হিসাবে কাজ করেছিল।