সাইমন কমিশন
সাইমন কমিশন বা ইন্ডিয়ান স্ট্যাটু্যটরি কমিশন রিপোর্ট বা ভারতীয় সাংবিধানিক কমিশন ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সাতজন সদসবৃন্দের দ্বারা গঠিত কমিশন যারা ১৯২৭ সালেতে ভারতের সংবিধানিক পুনর্গঠন অধ্যয়ন করতে এসেছিলেন। ভারতে ভারতীয় সমস্যাবলি অনুসন্ধান করে শাসনতান্ত্রিক সংস্কার সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য এই কমিশন গঠন করা হয়েছিল (১৯২৭)। এই কমিশন ছিল সরকার ও বিরোধীদলীয় আটজন সংসদ সদস্য নিয়ে গঠিত একটি সংসদীয় কমিশন। সভাপতি স্যার জন সাইমনের নামানুসারে এ কমিশন সাইমন কমিশন নামেও পরিচিত। কাজী নজরুল ইসলাম সাইমন কমিশনের রিপোর্ট নামে ব্যাঙ্গাত্মক একটি কবিতা লিখেন। ১৯২৮ সালের ৩০ অক্টোবর, লালা লাজপত রায় সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি পুলিশের লাঠি চার্চে গভীর ভাবে আহত হন। গুরুতরভাবে আহত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘’আমার শরীরে করা ব্রিটিশের প্রহার, ব্রিটিশের ধংসের কারণ হয়ে উঠবে’’। ব্রিটিশের প্রহারে গুরুতরভাবে আহত হওয়ার ফলে ১৯২৮ সালের ১৭ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার যে সংস্কার আইন প্রবর্তন করেছিলেন তা উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়। তারপর একের পর এক আন্দোলনে ভারতীয় রাজনীতি আবর্তিত হয়। অসহযোগ আন্দোলনের তীব্রতা এবং স্বরাজ্য দলের কর্মসূচি ব্রিটিশ সরকারকে যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলেছিল । এই অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের দাবিদাওয়া ও অসন্তোষের মূল কারণগুলি অনুসন্ধানের জন্য একটি কমিশন গঠন করেন। ইংল্যান্ডের উদারনৈতিক নেতা ও প্রখ্যাত সংবিধানবিশেষজ্ঞ ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর জেনারেল স্যার জন সাইমনের নেতৃত্বে এই কমিশন গঠিত হয়েছিল বলে এটি সাইমন কমিশন নামে পরিচিত ।[১] এই কমিশনের সাতজন সদস্যই শ্বেতাঙ্গ এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন । সাইমন কমিশনের বিশিষ্ট সদস্যরা হলেন লর্ড স্ট্র্যাথকোনা, ভাইকাউন্ট বার্নহ্যাম, কর্নেল স্টিফেন ওয়েলিস, লেনফক্স, মেজর এটলি ও এডওয়ার্ড ক্যারোগান। সাইমন কমিশন ভারতে আসেন ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে। তখন ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড আর্উইন (১৯২৬-১৯৩১)। এই কমিশনকে হোয়াইট কমিশন বলা হয়, কারণ এখানে সমস্ত সদস্যরা সাদা চামড়ার মানুষ ছিলেন। কোনো ভারতীয় প্রতিনিধিকে এই কমিশনে সদস্য হিসেবে না নেওয়ায় ভারতীয়রা এটিকে বয়কট করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Andrews, C. F. (২০১৬-১০-০৪)। Routledge Revivals: India and the Simon Report (1930) (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-315-44498-7।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |