সাতপুরা পর্বতশ্রেণী
সাতপুরা পর্বতশ্রেণী মধ্য ভারতের একটি পর্বতশ্রেণী। এটি পূর্ব গুজরাতে আরব সাগরের তীর থেকে শুরু হয়ে পূর্বদিকে মহারাষ্ট্র ও মধ্য প্রদেশের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে ছত্তিসগড়ে গিয়ে শেষ হয়েছে। পর্বতশ্রেণীটি বিন্ধ্য পর্বতশ্রেণীর দক্ষিণে ও সমান্তরালে বিস্তৃত। এই দুই পর্বতমালা উত্তর ভারতের সৈন্ধব-গাঙ্গেয় সমভূমিকে দাক্ষিণাত্যের মালভূমি থেকে আলাদা করেছে।
সাতপুরা পর্বতশ্রেণী | |
---|---|
![]() পাচমাড়ি উপত্যকা | |
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
শিখর | ধূপগর |
উচ্চতা | ১,৩৫০ মিটার (৪,৪৩০ ফুট) |
স্থানাঙ্ক | ২২°২৭′২″ উত্তর ৭৮°২২′১৪″ পূর্ব / ২২.৪৫০৫৬° উত্তর ৭৮.৩৭০৫৬° পূর্ব |
ভূগোল | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য |
|
নদী | নর্মদা, মহানদী এবং তাপ্তি |
রেঞ্জের স্থানাঙ্ক | ২১°৫৯′ উত্তর ৭৪°৫২′ পূর্ব / ২১.৯৮৩° উত্তর ৭৪.৮৬৭° পূর্ব |
ভূতত্ত্ব | |
পর্বতবিদ্যা | a study |
সাতপুরা ও বিন্ধ্য পর্বতমালার মধ্যবর্তী নিম্নভূমি দিয়ে নর্মদা নদী প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি সাতপুরা পর্বতমালার উত্তর ঢাল থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে এবং পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে পতিত হয়েছে। সাতপুরার পশ্চিমভাগে এর দক্ষিণ ঢাল থেকে তাপ্তি নদী উৎপত্তিলাভ করেছে। অন্যদিকে সাতপুরার পূর্বভাগ গোদাবরী নদীর উৎস। সাতপুরা পূর্বদিকে ছোট নাগপুর মালভূমির পাহাড়গুলির সাথে মিশে গেছে।
অতীতে সাতপুরা পর্বতশ্রেণীটি ঘন অরণ্যে আবৃত ছিল। বর্তমানে এর অধিকাংশই কেটে ফেলা হয়েছে। তবে কিছু কিছু এখনও বর্তমান এবং এগুলিতে ভারতের বড় বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলির আবাস। এদের মধ্যে ভারতীয় বাঘ, গাউর, ঢোলে, ভাল্লুক, চৌশিঙ্গা, কালোহরিণ উল্লেখযোগ্য।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে সাতপুরা পর্বতশ্রেণী সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- satpuda.org
- ias.ac.in
- "Satpura"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। ১৯১১।