প্রজাতন্ত্রী টেক্সাস

উত্তর আমেরিকার সার্বভৌম রাষ্ট্র (১৮৩৬-১৮৪৬)
(Republic of Texas থেকে পুনর্নির্দেশিত)
Republic of Texas
প্রজাতন্ত্রী টেক্সাস
República de Tejas
প্রজাতন্ত্রী টেক্সাসের পতাকা
"Lone Star Flag"
(প্রজাতন্ত্রী টেক্সাসের দ্বিতীয় জাতীয় পতাকা)
125pxপ্রজাতন্ত্রী টেক্সাসের সীলমোহর
প্রজাতন্ত্রী টেক্সাসের সীলমোহর
রাষ্ট্র ভাষা
ইংরেজি (কার্যত:)

স্পেনীয়, ফরাসি, জর্মন and আমেরিকার আদিবাসী আঞ্চলিক ভাষাসমূহ

রাজধানী ব্রাজোসের তীরবর্তী ওয়াশিংটন (১৮৩৬)
হ্যারিসবার্গ (১৮৩৬)
গাল্ভেস্টন (১৮৩৬)
ভেলাস্কো (১৮৩৬)
হাউস্টন (১৮৩৭‌১৮৩৯)
অস্টিন (১৮৩৯১৮৪৫)
বৃহত্তম নগরী সান আন্টোনিও ডি বেক্সার
রাষ্ট্রপতিসমূহ ডেভিড গ. বার্নেট, স্যাম হাউস্টন, মিরাবো ব. লামার, আনসন জোন্স
এলাকা ২,৬১,৭৯৭ বর্গমাইল
জনসংখ্যা প্রায় ৭০,০০০ (১৮৪০)
স্বাধীনতা মার্চ ২, ১৮৩৬
সংযুক্তি ডিসেম্বর ২৯, ১৮৪৫ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক
ক্ষমতা হস্তান্তর ফেব্রুয়ারি ১৯, ১৮৪৬ টেক্সাস অঙ্গরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর প্রতি
মুদ্রা প্রজাতন্ত্রী টেক্সাস ডলার ($)
জাতীয় সঙ্গীত অজানা

প্রজাতন্ত্রী টেক্সাস ছিল উত্তর আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর মধ্যবর্তী একটি ক্ষণস্থায়ী দেশ, যা ১৮৩৬ হতে ১৮৪৫ সাল পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। টেক্সাস বিদ্রোহের ফলস্বরূপ মেক্সিকো হতে বিচ্ছিন্ন হওয়া একটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে এর উৎপত্তি, দেশটির অধিভূক্ত সীমানা কেবল বর্তমান মার্কিন অঙ্গরাজ্য টেক্সাসই নয়, বরং বর্তমান সময়ের নতুন মেক্সিকো, ওকলাহোমা, কান্সাস, কলোরাডো, এবং ওয়াইয়োমিং এর অংশবিশেষ নিয়ে বিস্তৃত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সহিত পূর্ব সীমানা এ‌‌ডাম্স-ওনিস চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, এই চুক্তি ১৮১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং স্পেনের মধ্যে সম্পাদিত হয়। মেক্সিকোর সহিত এর দক্ষিণ এবং সর্বপশ্চিমের সীমানা প্রজাতন্ত্রের জীবদ্দশায় সর্বসময়ের জন্য বিতর্কিত ছিল, যখন টেক্সাস সীমানা হিসেবে দাবী করে রিও গ্রাণ্ডেকে এবং মেক্সিকো নুয়েসেস নদীকে সীমানা হিসেবে দাবী করে। এই বিরোধই পরবর্তীতে টেক্সাস সংযুক্তির পর আমেরিকা ও মেক্সিকোর মধ্যে সংঘটিত মার্কিন-মেক্সিকিয় যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়।

ইতিহাস সম্পাদনা

টেমপ্লেট:টেক্সসের ইতিহাস টেক্সাস বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটাবার জন্য দায়ী ঘটনাবলী সম্পর্কে জানতে দেখুন মেক্সিকিয় টেক্সাস

টেক্সাসের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় ১৮৩৫ সালের ৭ই নভেম্বর সান ফেলিপে ডি অস্টিন-এ। এই কাউন্সিল ১৮২৪ এর মেক্সিকিয় সংবিধান এর প্রতি সমর্থন প্রজ্ঞাপন পাস করে, এবং গভর্নর ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দকে নিয়োগ দেয়। এই কাউন্সিল টেক্সাসের স্বাধীনতা ঘোষণায় পিছুপা হয়। আধুনিক টেক্সাসের প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা ইঙ্গ-টেক্সিয় বসতি স্থাপনকারীগণ এবং স্থানীয় টেখানো উভয়ের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয় ২০শে ডিসেম্বর, ১৮৩৫-এ গোলিয়াদ-এ। ১৮৩৬ এর সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয় ব্রাজোসের তীরবর্তী ওয়াশিংটন-এ, যার সভাপতিত্ব করেন রিচার্ড এলিস, এবং টেক্সাসের স্বাধীনতা ঘোষণা বিধিবদ্ধ হয় [২রা মার্চ], ১৮৩৬, যার মাধ্যমে কার্যত প্রজাতন্ত্রী টেক্সাসের অভ্যুদয় ঘটে। এবং টেক্সাসের স্বাধীনতা ঘোষণা বিধিবদ্ধ হয় ২রা মার্চ, ১৮৩৬-এ, যার মাধ্যমে কার্যত প্রজাতন্ত্রী টেক্সাসের অভ্যুদয় ঘটে। চার দিন পর, মেক্সিকিয় জেনারেলের আন্তনিয় লোপেজ ডি সান্তা আন্নার বাহিনীর হাতে ১৮৩ জন টেক্সিয়র পরাজয়ের মধ্য দিয়ে তের দিনের আলামো অবরোধ শেষ হয়। এঁরা একটি ছোটো প্রেষণ পাহাড়া দিচ্ছিলেন যা পরবর্তীতেসান আন্টনিও). স্মরণ করূন আলামো! টেক্সাস বিদ্রোহের সিংহনাদ হয়ে ওঠে। সান খাসিন্তোর লড়াই সংঘটিত হয় ২১ শে এপ্রিল, ১৮৩৬এ, বর্তমান সময়ের হাউস্টন শহরের নিকটে। টেক্সাস জেনারেল স্যাম হাউস্টন-এর ৮০০ টেক্সিয়ানের বাহিনীর হাতে জেনারেল সান্তা আন্নার ১,৬০০ সৈন্যের পুরো বাহিনী হয় নিহত হয় অথবা ধৃত হয়; অন্যদিতে মাত্র ৯ জন টেক্সিয় মারা যান। এই চূড়ান্ত যুদ্ধই মেক্সিকো হতে টেক্সাসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।

১৮৩৬ এর মে মাসে সম্পাদিত ভেলাস্কো চুক্তি অনুযায়ী টেক্সাস রিও গ্রাণ্ডেকে এর দক্ষিণ ও পশ্চিম সীমা হিসেবে দাবী করে। মেক্সিকো এই চুক্তিকে অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করে এবং প্রজাতন্ত্রী টেক্সাসের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দিতে প্রত্যাখ্যান করে, যদিও সকল প্রধান শক্তিই একে স্বীকৃতি দেয়। মেক্সকো দৃঢ়ভাবে টেক্সাসকে এর প্রদেশ বলে প্রচার করে। টেক্সাস মেক্সিকোর নিকট হতে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায় করতে চেষ্টা করে, এমনকি আলাপ আলোচনার টেবিলে নুয়েসেসকে এর ভূখণ্ডের সীমানা হিসেবে মানতে রাজী হয়, কিন্তু কোনো ফল ছাড়াই। ব্রিটিশগণ মধ্যস্থতা করতে চাইলেও মেক্সিকিয় সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে। ১৮৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র রিও গ্রাণ্ডের ওপর টেক্সাসের দাবী মেনে নিতে সম্মত হয় যদি টেক্সাস যুক্তরাষ্ট্রে যোগদান করে। মেক্সিকো যুদ্ধের হুমকি দেয়, যদি সংযুক্তি সংঘটিত হয়।

 
Republic of Texas. The present-day outlines of the U.S. states are superimposed on the boundaries of 1836–1845

ভার্জিনিয়ার অধিবাসী স্যাম হাউস্টন, দুইটি ভিন্ন মেয়াদের জন্য প্রজাতন্ত্রী টেক্সাসের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৮৩৬–১৮৩৮ এবং ১৮৪১–১৮৪৪। তিনি ১৮৫৯ হতে ১৮৬১ পর্যন্ত টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপাল (গভর্নর) ছিলেন।

প্রথম প্রজাতন্ত্রী টেক্সাসের সংসদ (কংগ্রেস) ১৮৩৬ সালের অক্টোবরে কলাম্বিয়ায় আহ্বায়িত হয় (বর্তমান পশ্চিম কলাম্বিয়া)। নতুন প্রজাতন্ত্রের সরাষ্ট্র সচিব (মন্ত্রী) হিসেবে দুই মাস দায়িত্ব পালনের পর স্টিফেন ফুলার অস্টিন, যিনি "টেক্সাসের পিতা" হিসেবে খ্যাত, ডিসেম্বর ২৭, ১৮৩৬, সালে মৃত্যুবরণ করেন।

১৮৩৭-এ স্যাম হাউস্টন রাজধানী হাউস্টনে সরিয়ে নেয়ার পূর্বে ১৮৩৬ সালে পাঁচটি জায়গা টেক্সাসের অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয় যার মধ্যে প্রথম ছিল ভেলাস্কো (বর্তমান ফ্রিপোর্ট)। এছড়াও ছিল ব্রাজোসের তীরবর্তী ওয়াশিংটন, হ্যারিসবার্গ, গ্যালভেস্টন, এবং কলাম্বিয়া (বর্তমান পশ্চিম কলাম্বিয়া)। ১৮৩৯ সালে রাজধানী নতুন শহর অস্টিনে সরিয়ে নেয়া হয়।

প্রজাতন্ত্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি দুইটি গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এক পক্ষ ছিল জাতীয়তাবাদী যা মিরাবো ব. লামার এর নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল এবং এদের ইচ্ছে ছিল টেক্সাসের স্বাধীনতা বলবৎ রাখা। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যকার দ্বন্দের ওপরই ভিত্তি করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মিরাবো ব. লামারের নেতৃত্বে জাতিয়তাবাদী দল চাইছিল টেক্সাসের চলমান স্বাধীনতা।

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

  • Campbell, Randolph B. Sam Houston and the American Southwest. New York: Harper-Collins, 1993.
  • Campbell, Randolph B. An Empire for Slavery: The Peculiar Institution in Texas, 1821–1865. Baton Rouge: Louisiana State University Press, 1989.
  • Friend, Llerena B. Sam Houston: The Great Designer. Austin: University of Texas Press, 1954.
  • Gambrell, Herbert P. Mirabeau Bonaparte Lamar: Troubadour and Crusader. Dallas: Southwest Press, 1934.
  • Hardin, Stephen L. Texian Iliad: A Military History of the Texas Revolution, 1835–1836. Austin: University of Texas Press, 1994.
  • Lack, Paul D. The Texas Revolutionary Experience: A Political and Social History, 1835–1836. College Station: Texas A&M University Press, 1992.
  • Lowrie, Samuel H. Culture Conflict in Texas, 1821–1835. New York: Columbia University Press, 1932.
  • Montejano, David. Anglos and Mexicans in the Making of Texas, 1836–1986. Austin: University of Texas Press, 1987.
  • Nance, Joseph Milton. After San Jacinto: The Texas-Mexican Frontier, 1836–1841. Austin: University of Texas Press, 1963.
  • Nance, Joseph Milton. Attack and Counterattack: The Texas-Mexican Frontier, 1842. Austin: University of Texas Press, 1964.
  • Poyo, Gerald E., ed. Tejano Journey, 1770–1850. Austin: University of Texas Press, 1996.
  • Reséndez, Andrés. “National Identity on the Shifting Border: Texas and New Mexico in the Age of Transition, 1821–1846.” Journal of American History 86 (September 1999): 668–688. in JSTOR
  • Weber, David J. The Mexican Frontier, 1821–1846: The American Southwest under Mexico. Albuquerque: University of New Mexico Press, 1982.
  • Winders, Bruce. Crisis in the Southwest: The United States, Mexico, and the Struggle over Texas. Wilmington, DE: Scholarly Resources, 2002.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা