প্রাণীদের মধ্যে অপ্রজননগত যৌন আচরণ

(Non-reproductive sexual behavior in animals থেকে পুনর্নির্দেশিত)

প্রাণীদের মধ্যে অপ্রজনশীল যৌন আচরণ (Non-reproductive sexual behavior) বলতে সেই সব যৌনক্রিয়া বোঝানো হয় যেগুলোতে প্রাণীরা অংশগ্রহণ করে এবং তা থেকে প্রজনন হয় না। যদিও সন্তান উৎপাদনকেই প্রাণীদের যৌন আচরণ প্রাথমিক ব্যাখ্যা হিসেবে ধরা হত, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাণীর যৌন আচরণের বিকল্প ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানা যায়।[১] প্রাণীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ (social interaction), কর্তৃত্ব প্রকাশে (demonstration of dominance), আক্রমণাত্মক ভাবের প্রশমন (aggression relief), গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্যাদির বিনিময়, এবং যৌন উদ্দিপনার জন্য যৌন ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। পর্যবেক্ষণে আসা অপ্রজনগত যৌন আচরণের মধ্যে রয়েছে সঙ্গমবিহীন একজন আরেকজনের উপরে ওঠা (ভেদন ছাড়াই, বা নারীদের দ্বারা), মুখমৈথুন, জননাঙ্গে উদ্দীপনা, পায়ুগত উদ্দীপনা, আন্তপ্রজাতি সঙ্গম, এবং অন্তরঙ্গতার ক্রিয়া।[২] এছাড়াও প্রাণীদের মধ্যে সমকামী আচরণ,[৩][৪] মৃত প্রাণীদের সাথে যৌনতা[৫] এবং শাবকদের সাথে যৌনতাও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।[৬]

সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এবং বন্ধন সম্পাদনা

একই প্রজাতির অন্য সদস্যের সাথে বন্ধন তৈরী এবং সম্পর্ক উনয়নে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়, এজাতীয় প্রজাতির মধ্যে সিংহ বহুল পরিচিত। সিংহরা যে সামাজিক দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে, সে দলকে প্রাইড বা গর্ব বলা হয়। প্রতিটা প্রাইফে ২ থেকে ১৮ জন নারী সদস্য এবং ১-৭ জন পুরুষ সদস্য থাকে। প্রতিটা প্রাইডে থাকা নারী সদস্যরা, সেই প্রাইডেই জন্মগ্রহণ করে থাকে। প্রাইডের পুরুষ সদস্যরা অন্য প্রাইড থেকে আসতে পারে। The males enter the pride from other prides. The success of reproduction for each individual lion is dependent on the number of male lions found in their social group. Male lions create coalitions and search for prides to take over. Successful coalitions have usually created a strong bond with each other and will take over prides. Once winning in a competition, all current males in the pride will be kicked out and left to find another pride. While in search for another pride these males will often engage in sexual behavior with each other; creating a strong bond in this new coalition created.[৭][৮]

বনোবোর জীবনে যোগাযোগ স্থাপনের মুল ভিত্তিই হলো যৌনক্রিয়া করা। নারী বনোবো প্রভাবশালী বনোবোর সঙ্গে বন্ধন তৈরি করার জন্য যৌন কার্যকলাপে নিয়োজিত হয়, এমনটা পর্যবেক্ষিত হয়েছে। পুরুষের সাথে এই বন্ধন তৈরি করে তারা একে অপরের সাথে খাবার ভাগ করে নেয় এবং কোনোরুপ প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় না।[১] গ্রুপের সকল সদস্যই সম্ভাব্য যৌন সঙ্গী, পুরুষরা অন্যান্য পুরুষের সাথে যৌন কার্যকলাপে অংশ নেয়, একইভাবে অন্যান্য মহিলা বনোবোরা নারী বনোবোর সাথে যৌনক্রিয়ায় অংশ নেয়। এভাবে নারীদের সমলিঙ্গে যৌনক্রিয়ায় তাদের মধ্যে একটা শক্তিশালী বন্ধন গড়ে উঠে; যার ফলে কোনো পুরুষ বনোবো যদি একটি মহিলা বনোবোকে হয়রানি করার চেষ্টা করে, তবে অন্যান্য নারী বনোবোরা একত্রিত হয়ে সেই পুরুষ বনোবোকে প্রতিহত করে।[৯]

আগ্রাসন সম্পাদনা

প্রাণী জগতে, বিভিন্ন প্রজাতি পারস্পরিক সমস্যা সমাধানে যৌন ক্রিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এর মধ্যে বনবো সবচেয়ে প্রখ্যাত, নিজেদের মধ্যকার সহিংসতাকে এড়ানোর জন্য তারা যৌন প্রক্রিয়াকে অন্যতম পথ হিসেবে অবলম্বন করে।[৩] যৌনতা বনবোর সামাজিক ও নিয়মিত জীবনের অংশ। বনবোর মধ্যকার যৌন ক্রিয়া অনেক বেশি সংগঠিত হয়। তথাপি তাদের প্রজননের হার শিম্পাঞ্জির কাছাকাছি।[১]

প্রাইমেটদের মধ্যে একটি গবেষণা হয়েছে, গবেষণার মুল লক্ষ্য ছিল এটা পর্যবেক্ষণ করা, প্রাইমেটদের মধ্যে সংঘর্ষ, সহিংসতা হওয়ার পর তার সমাধান তারা কীভাবে করে। গবেষকদের মতে, প্রাইমেটরা নিজেদের মধ্যে মারামারির পর, একে অপরের মুখে চুম্বন করে, এবং আলিঙ্গনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার ঝগড়া বিবাদের মীমাংসা ঘটায়।[১]

আগ্রাসন এড়ানোর জন্য নারী বনবোর মধ্যেও যৌন সাহচর্য পরিলক্ষিত হয়। তারা যখন ক্ষুধার্ত হয়, তখন তারা পুরুষ বনবোর সম্মুখে উপস্থিত হয় এবং পুরুষ বনবোকে আগ্রাসী ভূমিকায় লিপ্ত হবার সুযোগ না দিয়ে নারী বনবো তার সাথে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। নারী বনবোর তড়িৎ যৌনক্রিয়ার পর, পুরুষ বনবো আর কোনোরুপ সহিংসতা নারী বনবোর প্রতি দেখায় না। তখন নারী বনবো পুরুষ বনবোর খাবারের অংশ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।[৩]

সাম্ভাব্য কারণ সম্পাদনা

প্রাণীদের সচেতনতা নির্ণয় করা কঠিন। এপর্যন্ত আমাদের জানা গবেষণাগারে পর্যবেক্ষিত হওয়া আচরণগুলো এব্যাপারে খুব ভাল সাক্ষ্যপ্রমাণ দেয় যে প্রাণীদের মধ্যে একটি সহজাত প্রবৃত্তি ও একটি পুরস্কার ব্যবস্থা (রিওয়ার্ড সিস্টেম) কাজ করে। গবেষণাগারের প্রাণীদের আচরণ থেকে একধরনের মানসিক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা যায়, যেখানে প্রাণীর সহজাত প্রবৃত্তি বলে, যদি এটি কোন বিশেষ কার্য করে তাহলে এটি যা চায় তা পাবে।[১০] যেমন, একটি গবেষণাগারের ইঁদুর লেভারে ঠেলা দেবে কারণ এটি জানে যে এর ফলে দেয়ালের ছিদ্র থেকে খাবার আসবে। এর জন্য সচেতনার প্রয়োজন হয় না, কিন্তু মনে হচ্ছে যে এটি একটি পুরস্কার ব্যবস্থায় কাজ করে। গবেষণাগারের ইঁদুরটি শিখেছিল যে খাবারের জন্য এই কাজটি করা জরুরি।

মস্তিষ্ক নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে প্রাণীদের জীবনে সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।[১১] এটি প্রতিষ্ঠিত যে সকল স্তন্যপায়ীদের মধ্যকার লিম্বিক নিউরাল মেকানিজমই একইরকম যা প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। মস্তিষ্কের পুরস্কার ব্যবস্থা নিয়ে ও এটি কীভাবে সকল স্তন্যপায়ীদের মধ্যে আছে তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। প্রচুর গবেষণার পর গবেষকগণ এই উপসংহার টানেন যে অন্যান্য প্রাণীদের পুরস্কার ব্যবস্থা ও মানুষের পুরস্কার ব্যবস্থার মধ্যকার মিল অনেক বেশি। এই কেন্দ্রীয় সন্তুষ্ঠির প্রতিক্রিয়ার কৌশল পশু ও মানুষ সকলের জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।[১১]

কেস স্টাডি সম্পাদনা

একটি কেস স্টাডিতে সাম্ভাব্য নারী সঙ্গমগত রাগমোচনের সাক্ষ্যপ্রমাণ পাবার উদ্দেশ্যে নারী জাপানিজ ম্যাকাককে নিয়ে গবেষণা করা হয়। এই গবেষণাটিতে দেখা যায় রাগমোচনের হার জাপানিজ ম্যাকাকদের বয়স বা তাদের মর্যাদার উপর নির্ভর করে না। গবেষকগণ পর্যবেক্ষণ করে যে শ্রোণী ধাক্কা (পেলভিক থ্রাস্ট) এর সংখ্যা ও সময়কাল যত বেশি হবে, সঙ্গমের কালও তত বেশি দীর্ঘ হবে। ২৪০টি জাপানিক ম্যাকাককে নিয়ে গবেষণা করা হয় যাদের মধ্যে ৮০ জনের মধ্যে রাগমোচন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।[১২]

পুরস্কার ব্যবস্থা সম্পাদনা

বিবর্তনগত নীতি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে পুরস্কার ব্যবস্থা হচ্ছে এই আচরণের পেছনে থাকা সাম্ভাব্য কৌশল। প্রাণীদের মস্তিষ্কে এই পুরস্কার ব্যবস্থা কাজ করায় তারা তাদের আকাঙ্ক্ষার দ্বারা বিভিন্নভাবে কোন কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয় এবং সন্তুষ্টি বা সুখের দ্বারা এটি আরও শক্তিশালী হয়।[১০] প্রাণীরা এই প্রত্যক্ষ কৌশলের মাধ্যমেই খাদ্যে নিরাপত্তার প্রতিষ্ঠা করে, বসবাসের ব্যবস্থা করে, সামাজিক যোগাযোর রক্ষা করে ও যৌনক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। যদি তারা এইসব প্রয়োজনীয় কার্যসমূহ পালন করার চেষ্টা না করে তবে তারা বাঁচতে পারবে না।[১৩]

সকল মেরুদণ্ডী প্রাণীরই শারীরিক গঠনে সাদৃশ্য রয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই কঙ্কালতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, সংবহনতন্ত্র, পৌষ্টিকতন্ত্র ও অন্তক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র রয়েছে। মানুষের মত অন্য প্রাণীদেরও একটি সংবেদন ব্যবস্থা বা ইন্দ্রিয় (সেন্সরি সিস্টেম) রয়েছে। এটি আমাদের স্পর্শ থেকে স্বাদ পর্যন্ত পাঁচটি মৌলিক অনুভূতির জন্য দায়ী। বেশিরভাগ শারীরবৃত্তিক এবং জৈবরসায়ন প্রতিক্রিয়া যা প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায় তা মানুষের মধ্যেও ঠাকে। স্নায়ুশারীরবিদগণ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের নিউরোন ও সাইনাপ্সের কার্যক্রমে ও গঠনে কোন মৌলিক পার্থক্য খুঁজে পান নি।[১০]

কেস স্টাডি সম্পাদনা

পজিট্রন এমিশন টমোগ্রাফি (PET) এবং ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং (MRI) ব্যবহার করে করা সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো এই সাক্ষ্যপ্রমাণ দিচ্ছে যে, আবেগের সাথে সম্পর্কিত রাসায়নিক পরিবর্তনগুলো মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে সদৃশ। গিনিপিগ ও মানুষ এর তুলনা নিয়ে একটি গবেষণা থেকে এটা বের করা হয় যে সন্তানদের সাথে বিচ্ছেদের ফলে গিনিপিগ ও মানুষের মস্তিষ্কের ঠিক একই স্থানে হতাশার চিহ্ন পাওয়া যায়। প্লিজার স্টিমুলিতে পর্যবেক্ষণ করে ওপিয়েট রিসেপ্টরও পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই পদ্ধতিতে মানুষ ও ইঁদুর উভয়ের রিসেপ্টর একটি নির্দিষ্ট ড্রাগের প্রভাবে বন্ধ হয়ে যায়। রিসেপ্টর বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ ও ইঁদুর উভয়কেই যখন তৃপ্তিকর খাদ্য প্রদান করা হয়, কেউই সেই খাদ্য গ্রহণে আগ্রহ দেখায় আগ্রহ দেখায় না।[১৪]

আচরণের ধরন সম্পাদনা

পায়ু যৌনতা সম্পাদনা

পায়ুতে শিশ্ন অনুপ্রবেশন (সমকামী ও বিষমকামী উভয় যুগলে দেখা যায়) বেশ কিছু প্রাইমেট প্রজাতিতে দেখা যায়। গরিলা, ওরাংওটাং এবং ম্যাকাও গণের বেশ (স্টুম্পটাইল, রেসাসজাপানী ম্যাকাউ) কিছু সদস্যতে পায়ুতে যৌনাচারণ দেখা যায় বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।[১৫][১৬][১৭][১৮] স্কুইরেল বানর এবং স্পাইডার বানরেও এই জাতীয় যৌনতা দেখা যায়।[১৭][১৯] মরিস (১৯৭০) সালে একটি বিপরীতলিঙ্গ ওরাংওটাং যুগলের বর্ণনা দেন, যাদের যৌনতার পুরোটা জুড়েই ছিল পায়ু যৌন ক্রিয়া।[২০]

পুরুষ সমকামী ওরাংওটাংয়ে অঙ্গুলীকরণও (পায়ুতে আঙ্গুল প্রবেশন) দেখা যায়[২১] এবং ব্রুস বাগেমিহল জানান, পুরুষ শিম্পাঞ্জীরা তাদের জীবদ্দশায় অন্তত একবারের জন্য হলেও এইধরনের সমকামিতা মুলক আচরণ প্রদর্শন করে।[৯]

স্বয়ংক্রীয় যৌন উত্তেজনা ও স্বমেহন সম্পাদনা

 
ভারভেট বানর

দেখা যায় অনেক প্রাণীই, সে পুরুষই হোক, আর নারীই হোক, সঙ্গীর উপস্থিতি থাকুক বা না থাকুক, এরা স্বমেহনে লিপ্ত হয়।[২২][২৩] যেমন এটি বিড়াল,[২৪] কুকুর,[২৫][২৬] পুরুষ হরিণ,[২৭][২৮][২৯] গণ্ডার,[৩০] পুরুষ বুনো শুকর[৩১] ও পুরুষ বানরের[৩২][৩৩] মধ্যে এটি দেকা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনিসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎস্যা বিদ্যালয়ের একটি রিভিউতে বলা হয়:[৩৪]

অশ্বপালন শিল্পে এই আচরণটি স্বমেহন হিসেবেই পরিচিত... এই আচরণে ঘোড়াদের মধ্যে স্বাভাবিক ঋজুতা এবং পুরুষাঙ্গের নড়নচড়ন দেখা যায়। পুরুষ ইকুইড (ঘোড়া, গাধা ও জেব্রা) এই আচরণ বর্ণনামূলক ফিল্ড স্টাডি থেকে শুরু করে গৃহপালিত ঘোড়াদের নিয়ে আলোচনায় স্বাভাবিক ও পৌনপুনিক আচরণ হিসেবেই ধরা হয়।[৩৫] যদি এই স্বমেহনে বাঁধা দেয়া হয় বা শাস্তিপ্রদান করা হয়, যেমন যেখানে পুরুষাঙ্গের সাথে এর নিচের যে অংশের ঘর্ষণের মাধ্যমে স্বমেহন সম্পন্ন হয় সেখানে কোন কিছু প্রবেশ করিয়ে ঘর্ষণকে বাঁধাগ্রস্ত করা হলে স্বমেহনের সম্ভাবনা রহিত করা হয় (যা বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক অশ্ব ব্যবস্থাপকই করে থাকেন)। এটি করা হলে পরবর্তীতে তা আরও অধিক স্বমেহনের কারণ হয় এবং স্বাভাবিক পশুপালন আচরণের ব্যাঘাত ঘটায়।[৩৬]

খোজাকরণও স্বমেহনকে রদ করতে পারে না। দেখা গেছে খোজাকৃত ঘোড়া বা গেল্ডিংদের মাঝেও স্বমেহন দেখা যায়।[৩৭] পুরুষ ও মাদী উভয় ঘোড়ার মধ্যেই বয়োসন্ধির পূর্বে ও পরে স্বমেহন একটি সাধারণ ঘটনা।

যৌনবিশেষজ্ঞ হেভলক ইলিস তার ১৯২৭ সালের যৌনতার মনস্তত্ত্ব বিষয়ক গবেষণায় ষাঁড়, ছাগল, ভেড়া, উট, হাতিকে অটোইরোটিসিজম বা আত্ম যৌন উত্তেজনার চর্চা করতে দেখা গেছে, যার ফলে ঘোড়ার সাথে এই তালিকায় আরও কিছু প্রাণী যুক্ত হয়:

ছাগলদের সম্পর্কে অভিজ্ঞ এক ভদ্রলোক আমাকে জানান যে, ছাগলেরা কখনও কখনও তাদের পুরুষাঙ্গকে তাদের মুখে নেয় এবং এর মাধ্যমে তাদের সত্যিকারের রাগমোচন প্রাপ্তি হয়। এবং এর মাধ্যমে তারা স্বমুখমৈথুন (অটোফেলাশিও) এর চর্চা করে। ফেরেট ক্ষেত্রে, যদি কোন নারী ফেরেট যৌন উত্তেজনার সময় কোন পুরুষ ফেরেটকে পাশে না পায় তবে সে অসুস্থ হয়ে যায়। সেই সময় যদি তাকে কোন মসৃণ পাথর দেয়া হয় তাহলে সেটাকে সে তার ঘরে (হাচ) নিয়ে যায় এবং সেটিকে ব্যবহার করে এটি স্বমেহন করে। আর এর মাধ্যমে সেই স্ত্রী-ফেরেট তার সেই ঋতুর জন্য স্বাভাবিক স্বাস্থ্যে ফিরে আসে। কিন্তু পরের ঋতুতে যদি ফেরেটটিকে একই পাথর দেয়া হয় তবে সে পূর্বের মত এটিতে সন্তুষ্ট হয় না।... ব্লুমেনবাচ একটি ভাল্লুককে অন্য ভাল্লুকদের যৌনতা দেখে স্বমেহন করতে দেখেছেন। প্লস ও বারটেল হায়নাদের মধ্যে একে অপরের জননাঙ্গ চোষণের মাধ্যমে পারস্পরিক স্বমেহন করতে দেখেছেন।

ব্রুস বাগেমিল তার ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত গ্রন্থ বায়োলজিকাল এক্সারবেন্স গ্রন্থে লিখেছেন:

আত্ম যৌন উত্তেজনা প্রাণীজগতে নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে বিস্তৃত পরিসরে দেখা যায়। এক্ষেত্রে এর জন্য বৈচিত্র্যময় সৃষ্টিশীল পদ্ধতি লক্ষ্য করা যায়: যেমন হাত বা সামনের পা এর দ্বারা (প্রাইমেট, সিংহ) যৌন উদ্দীপনা, পায়ের দ্বারা (রক্তচোষা বাদুড়, প্রাইমেট) যৌন উদ্দীপনা, ফ্লিপার বা পাখনা এর মাধ্যমে (সিন্ধুঘোটক) যৌন উদ্দীপনা, লেজের দ্বারা (সাভানা বেবুন) যৌন উদ্দীপনা, আবার কখনও বা স্তনবৃন্তে যৌন উদ্দীপনা (রেসাস ম্যাকাক, বনবো)। স্বমুখমৈথুন বা পুরুষের নিজের পুরুষাঙ্গকে নিজের দ্বারা চোষণ, লেহন বা নাক দিয়ে ঘর্ষণ এর ব্যাপারটা সাধারণ শিম্পাঞ্জি, সাভানা বনবো, ভারভেট বানর, স্কুইরেল বানর, থিনহর্ন ভেড়া, ভারাল, এওভডাড, ডোয়ার্ফ ক্যাভিস এর মধ্যে দেখা যায়। পুরুষাঙ্গকে পেটের বিরুদ্ধে বা এর নিজের শিথের বিরুদ্ধে ঘর্ষণ বা মৃদু আঘাতের মাধ্যমে যৌন উদ্দীপনা সাদা লেজ হরিণ, মিউল হরিণ, জেব্রা ও টাখির মধ্যে দেখা যায়। স্বতস্ফূর্ত বীর্জপাত দেখা যায় পাহাড়ের ভেড়া, ওয়ার্টহগ ও স্পটেড হায়নার মধ্যে। এছাড়া কোন নিষ্প্রাণ বস্তুর দ্বারা জননাঙ্গে যৌন উদ্দীপনা দেখা যায় অনেক প্রাইমেট ও সিটাসিনদের মধ্যে।[৩৮]

অনেক পাখি আছে যারা ঘাস, পাতা বা মাটির দলার সাহায্যে স্বমেহন করে। আবার কিছু কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন প্রাইমেট এবং ডলফিন যৌন উদ্দীপনার জন্য মাটি বা অন্য পৃষ্ঠের উপর তাদের জননাঙ্গ ঘর্ষণ করে। [৩৮]

স্ত্রী স্তন্যপায়ীদের মধ্যে আত্ম যৌন উত্তেজনা, বিষমকামী সঙ্গম ও সমকামী সঙ্গমের (বিশেষ করে প্রাইমেটদের মধ্যে) সাথে প্রায়ই ভগাঙ্কুরের (ক্লিটোরিস) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উদ্দীপনা জড়িত থাকে।... এই প্রত্যঙ্গটি সকল স্ত্রী স্তন্যপায়ী প্রাণী ও স্তন্যপায়ী ছাড়া অন্যান্য স্ত্রী প্রাণীর মধ্যেও উপস্থিত থাকে।[৩৮]

এবং:

বনমানুষ ও বানর স্বমেহনের জন্য বিভিন্ন ধরনের বস্তু ব্যবহার করে, এবং এমনকি এরা স্বেচ্ছায় যৌন উদ্দীপনা জন্য বিভিন্ন আকারের বস্তু তৈরিও করে যা প্রায়ই উচ্চমাত্রায় সৃষ্টিশীল হয়ে থাকে।[৩৮]

জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডেভিড লিন্ডেন মন্তব্য করেন:

... বোধ হয় প্রাণীদের স্বমেহনের সবচেয়ে সৃষ্টিশীল পদ্ধতিটি পুরুষ বটলনোজ ডলফিনের মধ্যে দেখা যায়। এরা জীবন্ত ও নড়াচড়া করছে এমন একটি ঈল মাছকে তার পুরুষাঙ্গের চারদিকে ঘর্ষণ করার মাধ্যমে স্বমেহন করে।[৩৯]

মাদি হাতিদের মধ্যে কেবল বন্দীদশাতেই সমকামী যৌন আচরণ দেখা গেছে যেখানে তারা তাদের শুর ব্যবহার করে একে অপরের সাথে স্বমেহনে লিপ্ত হয়।[৪০]

আন্তঃপ্রজাতিতে যৌনতা সম্পাদনা

 
A dog mates with a coyote to produce a dog-coyote hybrid.

কিছু প্রাণী সুযোগ পেলেই অন্য প্রজাতির জীবের সাথে যৌনক্রিয়া করে থাকে। এই বিষয়টা কার্যত পরিলক্ষিত হয় গৃহপালিত ও বন্দীদশায় থাকা প্রাণীদের মধ্যে। খুব সম্ভবত বন্দী দশায় থাকায় প্রাণীদের আগ্রাসন হ্রাস পাওয়ার দরুণ ও তাদের যৌন ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিই এই ধরনের কার্যে তাদের অনুপ্রাণিত করে।[৪১] তা সত্বেও বন্য পরিবেশে কিছু প্রাণীকে অন্য প্রজাতির প্রাণীর সাথে যৌনক্রিয়া ঘটাতে দেখা যায়।[৪২] তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা গিয়েছে ভিন্ন প্রজাতি হলেও একই গণের অধিভূক্ত প্রাণীরাই তুলনামুলক বেশি যৌন ক্রিয়া করে থাকে।[৪৩] আলফ্রেড কিনসে; আফ্রিকার নারী হরিণ উটপাখির সাথে, পুরুষ কুকুর মুরগীর সাথে, পুরুষ বানর সাপের সাথে এবং নারী শিম্পাঞ্জির সাথে বিড়ালের যৌন ক্রিয়ার ঘটনা নথিবদ্ধ করেছে।[৪৪]

A 2008 review of the literature found 44 species pairs that had been observed attempting interspecies mating, and 46 species pairs that had completed interspecies matings, not counting cases that had resulted in hybridization. বেশিরভাগই পরীক্ষাগারে গবেষণার জন্য কৃত্রিমভাবে করা হয়েছিল; তবে field observations ও দেখা গিয়েছিল।[৪৩] It may result in fitness loss because of the waste of time, energy, and nutrients.[৪৩]

Male sea otters have been observed forcibly copulating with seals,[৪৫][৪৬] and male seals have been observed forcibly copulating with penguins.[৪৭] Inter-species sexual behavior has also been observed in sea lions.[৪৮] Male grasshoppers of the species Tetrix ceperoi often mount other species of either sex and even flies, but are normally repelled by the larger females.[৪৩] Males of the spider mite species Panonychus citri copulate with female Panonychus mori mites almost as often as with their own species, even though it does not result in reproduction.[৪৩]

জাপানীজ ম্যাকাউকে সিকা হরিণের সাথে প্রজনন করতে দেখা গিয়েছে।[৪৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Waal, F (১৯৯৫)। "Bonobo sex and society"। Scientific American272 (3): 82–8। ডিওআই:10.1038/scientificamerican0395-82পিএমআইডি 7871411বিবকোড:1995SciAm.272c..82W 
  2. Balcombe, J. (২০০৬)। Pleasurable Kingdom: Animals and the Nature of Feeling Good। Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 109, 115। 
  3. Dubuc, C; Alan F. Dixson (২০১২)। "Primate Sexuality: Comparative Studies of the Prosimians, Monkeys, Apes, and Humans"। International Journal of Primatology34: 216–218। ডিওআই:10.1007/s10764-012-9648-6 
  4. Bailey, W; Zuk, M. (২০০৯)। "Same-sex sexual behavior and evolution"। Trends in Ecology & Evolution24 (8): 439–460। ডিওআই:10.1016/j.tree.2009.03.014পিএমআইডি 19539396সাইট সিয়ারX 10.1.1.461.6046  
  5. de Mattos Brito, L. B., Joventino, I. R., Ribeiro, S. C., & Cascon, P. (২০১২)। "Necrophiliac behavior in the "cururu" toad, Rhinella jimi Steuvax, 2002, (Anura, Bufonidae) from Northeastern Brazil" (পিডিএফ)North-Western Journal of Zoology8 (2): 365। 
  6. Dukas, R (২০১০)। "Causes and consequences of male–male courtship in fruit flies"। Animal Behaviour80 (5): 913–919। ডিওআই:10.1016/j.anbehav.2010.08.017 
  7. Pusey, Anne E (২০১৩)। "The Evolution of Sex-Biased Dispersal in Lions"। Behaviour101 (4): 275–310। জেস্টোর 4534604 
  8. Cooperation, I; Anne E. Pusey (২০১৩)। "Competition": 636–642। 
  9. Bagemihl, B (১৯৯৯)। Biological exuberance: Animal homosexuality and natural diversity। New York: Profile Books Limited। আইএসবিএন 978-0-312-19239-6 
  10. Griffin, D (১৯৮১)। Question of animal awareness: Evolutionary continuity of mental experience। New York: William Kaufmann Inc। 
  11. Balcombe, J (২০০৬)। Pleasurable kingdom:animals and the nature of feeling good। New York: Macmillan। 
  12. Troisi, A; M. Carosi (১৯৯৮)। "Female orgasm rate increases with male dominance in Japanese macaques"। Animal Behaviour56 (5): 1261–1266। ডিওআই:10.1006/anbe.1998.0898পিএমআইডি 9819343 
  13. Hedricks, A (১৯৮৯)। "The evolution of sexual dimorphism in animals: Hypotheses and tests" (পিডিএফ)Trends in Ecology & Evolution4 (5): 136–138। ডিওআই:10.1016/0169-5347(89)90212-7পিএমআইডি 21227335 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  14. Berridge, K; M. Kringelbach (২০০৮)। "Affective neuroscience of pleasure: reward in humans and animals"Psychopharmacology199 (3): 457–80। ডিওআই:10.1007/s00213-008-1099-6পিএমআইডি 18311558পিএমসি 3004012  
  15. Solanki GS; Zothansiama (২০১২)। "Male homosexual behavior among different age groups in captive stump-tailed macaque (Macaca arctoides): socio-sexual or sexually motivated?"। International Multidisciplinary Research Journal2 (2): 22–27। আইএসএসএন 2231-6302 
  16. Erwin J.; Maple T (১৯৭৬)। "Ambisexual behavior with male-male anal penetration in male rhesus monkeys"Archives of Sexual Behavior5 (1): 9–14। ডিওআই:10.1007/bf01542236পিএমআইডি 816329 
  17. Werner, Dennis (জানুয়ারি ১, ২০০১)। "Chapter 13: The evolution of male homosexuality and its implications for human psychological and cultural variations"। Sommer, Volker; Vasey, Paul। Homosexual Behaviour in Animals। Cambridge University press। পৃষ্ঠা 316–346। আইএসবিএন 9780521864466 
  18. Gordon, TP; Bernstein, IS (১৯৭৩)। "Seasonal variation in sexual behavior of all-male rhesus troops"। American Journal of Physical Anthropology38 (2): 221–226। ডিওআই:10.1002/ajpa.1330380214পিএমআইডি 4632071 
  19. Busia, L; Denice, AR; Aureli, F; Schaffner, CM (মে ২০১৮)। "Homosexual behavior between male spider monkeys (Ateles geoffroyi)"। Archives of Sexual Behavior47 (4): 857–861। ডিওআই:10.1007/s10508-018-1177-8পিএমআইডি 29536259 
  20. Morris, Desmond (জানুয়ারি ১, ১৯৭০)। "The response of animals to a restricted environment"। Morris, Desmond। Patterns of Reproductive Behavior। McGraw-Hill। পৃষ্ঠা 490–511। আইএসবিএন 978-0224617956 
  21. Fox, Elizabeth A. (২০০১)। "Homosexual Behavior in Wild Sumatran Orangutans (Pongo pygmaeus abelii)"। American Journal of Primatology55 (3): 177–181। ডিওআই:10.1002/ajp.1051পিএমআইডি 11746281 
  22. Watson, P. F. (১৯৭৮)। Artificial breeding of non-domestic animals: (the proceedings of a symposium held at the Zoological Society of London on 7 and 8 September 1977)। Academic Press for the Zoological Society of London। আইএসবিএন 978-0-12-613343-1। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  23. Balcombe, Jonathan P. (২০১১)। The Exultant Ark: A Pictorial Tour of Animal Pleasure। University of California Press। পৃষ্ঠা 89–। আইএসবিএন 978-0-520-26024-5 
  24. Schwartz, S (১৯৯৯)। "Use of cyproheptadine to control urine spraying and masturbation in a cat"। Journal of the American Veterinary Medical Association214 (3): 369–71। 
  25. Journal of the American Veterinary Medical Association। American Veterinary Medical Association.। ১৯৩১। 
  26. Müller, Georg Alfred (১৮৯৭)। Diseases of the dog and their treatment। W.H. Hoskins। পৃষ্ঠা 183–। 
  27. Marchinton, R. Larry; Moore, W. Gerald (১৯৭১)। "Auto-Erotic Behavior in Male White-Tailed Deer"Journal of Mammalogy52 (3): 616–617। জেস্টোর 1378600ডিওআই:10.2307/1378600 
  28. Leonard Lee Rue III (২০০৪)। The Deer of North America। Globe Pequot Press। আইএসবিএন 978-1-59228-465-8। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  29. Leonard Lee Rue, III (২০০১)। The Deer Hunter's Illustrated Dictionary: Full Explanations of More Than 600 Terms and Phrases Used by Deer Hunters Past and Present। Globe Pequot Press। আইএসবিএন 978-1-58574-349-0 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  30. R. Eric Miller; Murray E. Fowler (৩১ জুলাই ২০১৪)। Fowler's Zoo and Wild Animal Medicine। Elsevier Health Sciences। আইএসবিএন 978-1-4557-7399-2 
  31. Shipley, Clifford F (১৯৯৯)। "Breeding soundness examination of the boar"Journal of Swine Health and Production7 (3): 117–120। 
  32. A. F. Dixson (২৬ জানুয়ারি ২০১২)। Primate Sexuality: Comparative Studies of the Prosimians, Monkeys, Apes, and Humans। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-954464-6 
  33. Jean-Baptiste Leca; Michael A. Huffman; Paul L. Vasey (১৯ জানুয়ারি ২০১২)। The Monkeys of Stormy Mountain: 60 Years of Primatological Research on the Japanese Macaques of Arashiyama। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-76185-7। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  34. McDonnell, S. M.। "Specific Normal Behaviors of Domestic Horses That Are Misunderstood as Abnormal"। Equine Behavior Laboratory, University of Pennsylvania School of Veterinary Medicine। ১৭ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১০ 
  35. McDonnell, S.M.; Henry, M.; Bristol, F. (১৯৯১)। "Spontaneous erection and masturbation in equids" (পিডিএফ)J Reprod Fertil Suppl44: 664–665। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৮ 
  36. McDonnell, S. M.; A. L., AL (২০০৫)। Squires, E., সম্পাদক। "Aversive conditioning of periodic spontaneous erection adversely affects sexual behavior and semen in stallions" (পিডিএফ)Animal Reproduction Science89 (1–4): 77–92। ডিওআই:10.1016/j.anireprosci.2005.06.016পিএমআইডি 16112531। ৩১ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৮Periodic spontaneous erection and penile movements known as masturbation (SEAM) occur normally at approximately 90 min intervals in awake equids. ... The effects of aversive conditioning] are consistent with suppressed sexual arousal and reduced breeding efficiency. Semen volume and total number of sperm per ejaculate were significantly less 
  37. McDonnell, S. M.; Diehl, N. K.; Garcia, M. C.; Kenney, R. M. (১৯৮৯)। "Gonadotropin Releasing Hormone (GnRH) Affects Precopulatory Behavior in Testosterone-Treated Geldings" (পিডিএফ)Physiology & Behavior45 (1): 145–148। ডিওআই:10.1016/0031-9384(89)90177-7পিএমআইডি 2657816। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৮ 
  38. Bagemihl, pp. 71, 209–210
  39. Linden, David J. (২০১১)। Pleasure: How Our Brains Make Junk Food, Exercise, Marijuana, Generosity, and Gambling Feel So Good। পৃষ্ঠা 98। আইএসবিএন 978-1-85168-824-1 
  40. Bagemihl, B. (১৯৯৯)। Biological Exuberance: Animal Homosexuality and Natural Diversity। St. Martin's Press। পৃষ্ঠা 427–30। আইএসবিএন 978-1-4668-0927-7 
  41. DelBarco‐Trillo, J., Gulewicz, K., Segal, A., McPhee, M. E., & Johnston, R. E. (২০০৯)। "Can captivity lead to inter‐species mating in two Mesocricetus hamster species?"। Journal of Zoology278 (4): 308–312। ডিওআই:10.1111/j.1469-7998.2009.00577.x 
  42. Miletski, Hani (২০০২)। Understanding Bestiality and Zoophilia। Bethesda, Maryland: East-West Publishing। পৃষ্ঠা 51। 
  43. Gröning, J., & Hochkirch, A. (২০০৮)। "Reproductive interference between animal species" (পিডিএফ)The Quarterly Review of Biology83 (3): 257–282। ডিওআই:10.1086/590510সাইট সিয়ারX 10.1.1.522.2234 । ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৮ 
  44. Kinsey, Alfred (১৯৫৩)। Sexual Behavior in the Human Female। W.B. Saunders Company। পৃষ্ঠা 503 
  45. Harris, Heather S.; ও অন্যান্য (২০১০)। "Lesions and behavior associated with forced copulation of juvenile Pacific harbor seals (Phoca vitulina richardsi) by southern sea otters (Enhydra lutris nereis)"। Aquatic Mammals36 (4): 331–341। ডিওআই:10.1578/am.36.4.2010.331 
  46. Mulvaney, Kieran (১১ মার্চ ২০১১)। "The Other Side of Otters"Discovery News। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৮ 
  47. Alford, Justine (১৭ নভেম্বর ২০১৪)। "Seals Caught Having Sex With Penguins"IFLScience 
  48. Miller, Edward H., Alberto Ponce de León, and Robert L. Delong. "Violent interspecific sexual behavior by male sea lions (Otariidae): evolutionary and phylogenetic implications." Marine mammal science 12.3 (1996): 468-476.
  49. Pelé, Marie; Bonnefoy, Alexandre; Shimada, Masaki; Sueur, Cédric (১০ জানুয়ারি ২০১৭)। "Interspecies sexual behaviour between a male Japanese macaque and female sika deer"। Primates58 (2): 275–278। ডিওআই:10.1007/s10329-016-0593-4পিএমআইডি 28074343