সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার

সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য নোবেল পুরষ্কার
(Nobel Prize in Literature থেকে পুনর্নির্দেশিত)

১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে থেকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (সুইডীয়: Nobelpriset i litteratur) প্রদান করা হয়। ঐ বৎসর থেকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তিকে সাহিত্যের উপর অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। নোবেল পুরস্কারকে সাহিত্যেক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক বা বড় পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর ঘোষণা
বিবরণসাহিত্যে অসামান্য অবদান
দেশসুইডেন
পুরস্কারদাতাসুইডিশ একাডেমি
প্রথম পুরস্কৃত১৯০১
ওয়েবসাইটnobelprize.org

সুয়েডীয় বিজ্ঞানী আলফ্রেদ নোবেল ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইলের মর্মানুসারে সাহিত্য ক্ষেত্রে একটি আদর্শ পথে সবচেয়ে অসামান্য কাজের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়।[১][২]

সুইডিশ একাডেমি সিদ্ধান্ত অনুসারে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। একাডেমী অক্টোবর নির্বাচিত বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।[৩] এটি ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পাঁচ নোবেল পুরস্কার এর এক। অন্য গুলির পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার, রসায়নে নোবেল পুরস্কার, চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার, এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার

পটভূমি সম্পাদনা

 
১৯০১ সালে, সুলি প্রুদোম (১৮৩৯–১৯০৭), একজন ফরাসি কবি এবং প্রাবন্ধিক, সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের প্রথম বিজেতা। "সুলি প্রুদোমের কবিতা চরম হতাশাগ্রস্ত মানুষকে শেখাতে পারে, আনন্দ বা সুখ আসে যন্ত্রণা, আত্মত্যাগ ও ভালবাসার পথ ধরেই।"

২১ অক্টোবর ১৮৩৩ সালে সুইডেনের স্টকহোমে জন্ম নেওয়া আলফ্রেদ নোবেল তার জীবদ্দশায় অনেক গুলো উইল লিখে গিয়েছিলেন। সর্বশেষটা লেখা হয়েছিল তার মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগে ২৭ নভেম্বর ১৮৯৫ সালে প্যারিসে অবস্থিত সুইডিশ-নরওয়ে ক্লাবে।[৪][৫]

তিনি তার সর্বশেষ উইলে উল্লেখ করেন যে তার সকল সম্পদ পুরস্কার আকারে দেয়া হবে যারা পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্যে বৃহত্তর মানবতার স্বার্থে কাজ করবেন।[৬] ২৬ এপ্রিল ১৮৯৭ এর আগ পর্যন্ত সন্দেহ প্রবনতার জন্য নরওয়ে থেকে এই উইল অনুমোদন করা হয় নি,[৭] নোবেলের উইলের সমন্বয়কারী রগনার সোলম্যানরুডলফ লিলজেকুইস্ট নোবেল ফাউন্ডেশন তৈরি করেন। যার কাজ তার সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।[৮]

১৮৯৭ সালে নোবেলের উইল অনুমোদন হবার সাথে সাথেই নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি নামক একটি সংস্থা তৈরি করা হয়। অতি শীঘ্রই নোবেল পুরস্কার দেবার অন্যান্য সংস্থাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তাদের মধ্যে ৭ জুন ক্যারোলিংস্কা ইনিস্টিটিউট, ৯ জুন সুইডিশ একাডেমী এবং ১১ জুন রাজকীয় সুয়েডীয় বিজ্ঞান একাডেমি[৯]

নোবেল ফাউন্ডেশন কীভাবে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় তার একটি নীতিমালায় পৌছায় এবং ১৯০০ সালে নোবেল ফাউন্ডেশন নতুনভাবে একটি বিধি তৈরি করে যা রাজা অস্কার কর্তৃক জারি করা হয়। [৬] ১৯০৫ সালে সুইডেন ও নরওয়ের মধ্যে বন্ধন বিলুপ্ত হয়। তার পর থেকে নরওয়ে নোবেল কমিটি শুধু মাত্র শান্তিতে নোবেল পুরস্কার এবং সুইডেনের প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্য পুরস্কার প্রদানের দায়িত্ব পায়।[৭]

আরোও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "The Nobel Prize in Literature"nobelprize.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৩ 
  2. John Sutherland (অক্টোবর ১৩, ২০০৭)। "Ink and Spit"Guardian Unlimited Books। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৩ 
  3. "The Nobel Prize in Literature"Swedish Academy। ২০০৮-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৩ 
  4. Sohlman, Ragnar (1983). p. 7. The Legacy of Alfred Nobel – The Story Behind the Nobel Prizes
  5. von Euler, U. S. (6 June 1981)."The Nobel Foundation and its Role for Modern Day Science" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জুলাই ২০১১ তারিখে
  6. a b AFP (5 October 2009). "Alfred Nobel's last will and testament". The Local. Retrieved 11 June 2010.
  7. Levinovitz, Agneta Wallin (2001) pp. 13–25.. Nils Ringertz. ed. The Nobel Prize: The First 100 Years
  8. Abrams, Irwin (2001). pp. 7–8. Abrams, Irwin (2001). The Nobel Peace Prize and the Laureates. Watson Publishing International. আইএসবিএন ০-৮৮১৩৫-৩৮৮-৪
  9. Crawford, Elizabeth T. (1984). p. 1. The Beginnings of the Nobel Institution – The Science Prizes, 1901–1915

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা