বুন্টে

(Bunte থেকে পুনর্নির্দেশিত)

বুন্টে হলো একটি জার্মান ভাষার সাময়িকী যা প্রকাশ করে হুবার্ট বার্ডা মিডিয়া[২] ১৯৪৮ সালে এটির প্রথম সংস্করণ দাস ডুফার নামে প্রকাশ করা হয়।[৩] হুবার্ট বুর্ডার অধীনে, বুন্টে একটি জনপ্রিয় আধুনিক সাময়িকীতে পরিণত হয়েছে।[৪][৫] বর্তমানে, সকল জার্মান প্রকাশকদের মাঝে বুন্টে সর্বাধিক বিক্রিত এবং জনপ্রিয় মাধ্যমগুলির একটি।[৬] প্যাট্রিকা রিকেল চলে যাওয়ার পর, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে রবার্ট পোলজার প্রধান সম্পাদক হিসেবে অংশ নেন।[৭]

বুন্টে
১৯৯৯ সালের সংস্করণ প্রচ্ছদ
প্রধান সম্পাদকরবার্ট পোলজার[১]
প্রকাশনা সময়-দূরত্বসাপ্তাহিক
সংবহন৪৬৮,৭১০ (০২/২০১৭)
প্রকাশকহুবার্ট বুর্ডা মিডিয়া
প্রথম প্রকাশ১৯৪৮; ৭৬ বছর আগে (1948)
দেশজার্মানি
ভিত্তিমিউনিখ
ভাষাজার্মান
ওয়েবসাইটbunte.de

ইতিহাস সম্পাদনা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ ফ্রান্জ বুর্ডাকে নতুন একটি সাময়িকীর জন্য নিযুক্ত করে। এই কারণে তিনি ১৯৪৮ সালে "দাস উফার" নামে প্রথম সংস্করণটি প্রকাশ করেন।[৮] অপরদিকে, ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ সম্পাদক দল নিযুক্ত করে। শুরু থেকেই, সাময়িকীটি সমাজের বিভিন্ন ধরনের ঘটনাকে তুলে ধরেছে।[৩] ১৯৫৩ সালে, দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেকের সময়, বিশেষ একটি সংস্করণ প্রকাশ করা হয় যার পরিমাণ ছিল ১০০,০০০ কপি।[৮] ফ্রান্জ বুর্ডা ছবির স্বত্ব কেনার জন্য ঋণ গ্রহণ করেছিলেন (তার পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে)।[৯] ১৯৫৪ সালে, "দাস উফার" নাম পরিবর্তন করে "বুন্টে ইলাস্ট্রির্টে" রাখা হয়।[১০]

১৯৭২সালের জুলাইয়ে, "বুন্টে ইলাস্ট্রির্টে" প্রথম সংক্ষিপ্ত "বুন্টে" নামে আবির্ভূত হয়।[১১] এই পছরের পরের বছর, হুবার্ট বুর্ডা সাময়িকীর পরিবর্তন করতে থাকেন, তিনি ১৯৭৪সালে সম্পাদক হিসেবে "বুন্টে" তে যোগ দেন। ২বছর পর, তিনি বার্নড রুনাল্ডকে সরিয়ে প্রধান সম্পাদক হয়ে যান।[১২]

১৯৮৫ সালে, বুর্ডা-ভারল্যাগ রোফ মেঙ্গেলের কাছ থেকে তার বাবা জোসেফ মেঙ্গেলের হস্তলিখিত কিছু নোট ক্রয় করেন, যেটিতে হাজারো পৃষ্ঠা ছিল। তিনি এটি দশ লক্ষ ডয়েচেস মার্ক দিয়ে ক্রয় করেন।[১৩] এটির জন্য বুন্টেতে অসউইচ ক্যাম্পের কুখ্যাত ডাক্তার সম্পর্কে একাধিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।[১৩][১৪]

১৯৮৬ সালে, ফ্রাঞ্জ বুর্ডার মৃত্যুর পর, দ্যা বুর্ডা গ্রুপটিকে পুনরায় সংগঠিত করা হয়।[১৫] হুবার্ট বুর্ডা প্রধান সম্পাদক থেকে "বু্ন্টে"র প্রকাশক হন।[১৬] তার অবস্থানে আসেন পিটার বয়েনিশ[১৭] যাকে অবশ্য ১৯৮৬ সালের শেষের দিকে পদত্যাগ করতে হয়[১৮][১৯][২০] ১৯৮৬ সালের শেষে, লুথার স্টোবাচকে সাময়িকীর নতুন প্রধান সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়।[১৯] এবং ১৯৮৯ সালে ফ্রাঞ্জ জোসেফ ওয়াগনারকে সহ-সম্পাদক করা হয়।[২১] ১৯৯৪ সালে স্টরোবাচ বুর্ডা-ভারল্যাগ ত্যাগ করলে, ১৯৯৬ সালের শেষ পর্যন্ত ওয়াগনারই প্রধান সম্পাদক ছিলেন।[২২][২৩]

২০১৬ সালে, ১,০০০ সংখ্যার জন্য প্যাট্রিকা রিকেল "বুন্টে" ত্যাগ দেয়।[২৪] তখন থেকে পৃরধান সম্পাদক রবার্ট পোলজারই এই সাময়িকীর মূলে রয়েছন।[২৫] তার দায়িত্বে, সাময়িকীটি মধ্যভিত্ত শ্রেণির সমাজের জন্য আধুনিক ও জনপ্রিয় সাময়িকীতে পরিণত হয়।[২৬][২৭]

বিক্রয় সম্পাদনা

বুন্টে হলো হুবার্ট বুর্ডা মিডিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড।[২৮] অন্যান্য সাময়িকীর মতো, সাম্প্রতিক বছরে এটির প্রচার হ্রাস পেয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে এর বিক্রয়ের পরিমাণ ৩১.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং বর্তমানে এটির বিক্রয়ের পরিমাণ ৪৬৮,৭১০ কপি। এ থেকে আয়ের অংশ ১৯.১ শতাংশ।[২৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Robert Pölzer wird zum 1. Juli neuer Chefredakteur von Bunte"Meedia (German ভাষায়)। ২০১৬-০৪-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  2. "Deutschlands erfolgreichstes People-Magazin" (German ভাষায়)। হুবার্ট বার্ডা মিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  3. "60 Jahre Bunte", Bunte (German ভাষায়), ২০০৮-০৩-২৭ 
  4. Bernward Loheide (২০১৫-০২-০৯), "Der Mann hinter den bunten Blättern", Reutlinger General-Anzeiger (German ভাষায়) 
  5. Ulrike Simon (২০১৬-০৫-১২), "Das Projekt des Verlegers", Horizont (German ভাষায়), পৃষ্ঠা 12 
  6. Jens Schröder (২০১৪-০৯-১৮)। "Deutschlands populärste Medienmarken: Bild und Apotheken Umschau"Meedia (German ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  7. Petra Schwegler (২০১৬-০৪-০৫)। "Robert Pölzer löst Riekel als Bunte-Chef ab"Werben & Verkaufen (German ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  8. "Macht und Pracht der bunten Bilder", Die Zeit (German ভাষায়), ১৯৮২-১১-২৬, সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  9. "Hasardeur Burda", Kress Report (German ভাষায়), পৃষ্ঠা 34, ২০১০-০৯-০৩ 
  10. Peter Köpf (২০০৩-০২-২২), "Der herrliche Franz", Die Tageszeitung (German ভাষায়), পৃষ্ঠা 6 
  11. Gisela Freisinger (২০০৫), Hubert Burda: Der Medienfürst (German ভাষায়), Frankfurt am Main: Campus, পৃষ্ঠা 418, আইএসবিএন 978-3-593-40087-7 
  12. "Widersprüchliche Welten in Balance gehalten", Badische Zeitung (German ভাষায়), ২০১২-১১-০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  13. Hermann G. Abmayr (২০১৫-০১-২১), "Der lange Schatten des KZ-Arztes", Kontext (German ভাষায়), সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  14. Volker Hage (১৯৮৭-০৩-২০), "Plagiat?", Die Zeit (German ভাষায়), সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  15. "Teile und herrsche", WirtschaftsWoche (German ভাষায়), পৃষ্ঠা 80, ১৯৮৭-০১-০৯ 
  16. "Aus dem Schatten", Der Spiegel (German ভাষায়), ১৯৮৬-১২-২৯, সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  17. Gisela Freisinger (২০০৫), Hubert Burda: Der Medienfürst (German ভাষায়), Frankfurt am Main: Campus, পৃষ্ঠা 215, আইএসবিএন 978-3-593-40087-7 
  18. "Personalien", Handelsblatt (German ভাষায়), পৃষ্ঠা 14, ১৯৮৬-০৬-১৯ 
  19. "Personalien", Handelsblatt (German ভাষায়), পৃষ্ঠা 16, ১৯৮৬-১২-০৮ 
  20. Gisela Freisinger (২০০৫), Hubert Burda: Der Medienfürst (German ভাষায়), Frankfurt am Main: Campus, পৃষ্ঠা 220, আইএসবিএন 978-3-593-40087-7 
  21. "Namen und Nachrichten", Handelsblatt (German ভাষায়), পৃষ্ঠা 19, ১৯৮৯-০৬-২১ 
  22. "Strobachs verlassen Burda", Horizont (German ভাষায়), পৃষ্ঠা 81, ১৯৯৪-০৯-৩০ 
  23. Oliver Gehrs (১৯৯৬-০৯-২১), "Das Krachpaket", Die Tageszeitung (German ভাষায়), পৃষ্ঠা 20 
  24. "Nach mehr als 1000 Ausgaben: Bunte ohne Patricia Riekel"Werben & Verkaufen (German ভাষায়)। ২০১৬-০১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  25. "Bunte: Robert Pölzer soll Nachfolger von Patricia Riekel werden"Meedia (German ভাষায়)। ২০১৬-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৩ 
  26. Stephan Sattler। "Ein Leben zwischen Verlag, Kunst und Innovation"Focus Online (German ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  27. Hans-Jürgen Jakobs (২০১২-১১-০৮)। "That's new, Pussycat"Süddeutsche Zeitung (German ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  28. "Marken" (German ভাষায়)। Hubert Burda Media। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৬ 
  29. Informationsgemeinschaft zur Feststellung der Verbreitung von Werbeträgern

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা