বুট পলিশ

হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র
(Boot Polish (film) থেকে পুনর্নির্দেশিত)

বুট পলিশ হল প্রকাশ অরোরা পরিচালিত ১৯৫৪ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র। এটি প্রযোজনা করেছেন রাজ কাপুর। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন নরেন্দ্র রূপানি, কুমারী নাজ, রতন কুমার ও ডেভিড। চলচ্চিত্রটি ১৯৫৫ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং নাজ শিশুশিল্পী হিসেবে বিশেষ উল্লেখ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া চলচ্চিত্র ২য় ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।[১]

বুট পলিশ
চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকপ্রকাশ অরোরা
প্রযোজকরাজ কাপুর
রচয়িতাভানু প্রতাপ
শ্রেষ্ঠাংশে
  • কুমারী নাজ
  • নরেন্দ্র রূপানি
  • রতন কুমার
  • ডেভিড
সুরকারশঙ্কর জয়কিষণ
চিত্রগ্রাহকতারা দত্ত
সম্পাদকজি. জি. মায়কর
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকআর. কে. ফিল্মস
মুক্তি
  • ১৯৫৪ (1954)
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

কাহিনি সংক্ষেপ সম্পাদনা

বেলু ও ভোলা তাদের মায়ের মৃত্যুর পর তাদের খালা কমলার কাছে আশ্রয় পায়। কমলা তাদের ভিক্ষা করতে বাধ্য করে এবং রাতে উপার্জিত সকল অর্থ নিয়ে নেয়। প্রায়ই সে তাদেরকে নিষ্ঠুরভাবে মারধর করে।

কমলার প্রতিবেশী মুচি জন চাচা তাদেরকে ভিক্ষা করার পরিবর্তে কাজ করার শিক্ষা দেয়। তারা দুজনেই কমলাকে তাদের ভিক্ষা থেকে উপার্জিত অর্থ কম দিয়ে সঞ্চয় করতে থাকে, যাতে তারা জুতা পালিশ করার বাক্স কিনতে পারে এবং জুতা পরিষ্কারের কাজ করতে পারে। তারা দুজন একটি জুতা পালিশ করার বাক্স কিনে এবং তাদের নিজেদের ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু যখন কমলা সেটা জানতে পারে সে তাদের মারধর করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

ইতোমধ্যে জন জানতে পারে বেলুর একটি নতুন ফ্রক দরকার এবং ভোলার নতুন শার্ট দরকার কারণ তাদের বর্তমান কাপড়গুলো ছিড়ে গেছে। বেলু এবং ভোলাকে সাহায্য করার জন্য জন চাচা অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা শুরু করে এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এই সময়ে বর্ষাকাল শুরু হলে লোকজন জুতা পালিশ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে বেলু ও ভোলা না খেয়ে থাকতে শুরু করে। ভোলা কখনো ভিক্ষা করবে না এই ব্রতের জন্য বৃষ্টির রাতে তাদের দিকে ছুড়ে দেয়া মুদ্রা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু বেলু ক্ষুধার জ্বালায় সে মুদ্রা নিলে ভোলা তাকে থাপ্পড় মারে। এতে সে মুদ্রাটি ছুড়ে ফেলে দেয়।

পুলিশ তাদের নিতে এলে বেলু একটি ট্রেনে পালিয়ে যায়, কিন্তু ভোলা ধরা পড়ে। ট্রেনে এক ধনাঢ্য পরিবার বেলুকে দত্তক নেয়। কিন্তু সে তার ভাইয়ের জন্য মন খারাপ করে।

ভোলা জেলা থেকে বেরিয়ে বেলুকে খুঁজতে শুরু করে, কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পায় না। এতিমখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণে সে কোন কাজ পায়না এবং ক্ষুধার জ্বালায় সে পুনরায় ভিক্ষা শুরু করে। একদিন রেল স্টেশনে ভিক্ষা করার সময় সে বেলু ও তাকে দত্তক নেওয়া পরিবারকে ট্রেনে চড়তে দেখে। ভোলা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে চাইলে বেলু তাকে তাদের সাথে থাকতে বলে। স্টেশনে তাদের বিদায় জানাতে আসা জন চাচা তাদের পিছনে ছুটতে গিয়ে আঘাত পায়। ভোলা দৌড় থামায়, এবং বেলু ও ভোলা পুনরায় একত্রিত হয়।

সেই ধনাঢ্য পরিবার ভোলাকেও দত্তক নেয়। তারা সুখে-শান্তিতে বাস করতে থাকে।

কুশীলব সম্পাদনা

  • কুমারী নাজ - বেলু
  • নরেন্দ্র রূপানি - ছোট বালক
  • রতন কুমার - ভোলা ভান্ডারি
  • ডেভিড - জন
  • চান্দ বুর্কে - কমলা দেবী
  • বীরা
  • ভুপেন্দ্র কাপুর
  • শৈলেন্দ্র
  • মোহনবলি
  • নিসার
  • ভুডো আডবানি - পেড্রো
  • প্রভু অরোরা
  • রাজ কাপুর - স্বয়ং

পুরস্কার সম্পাদনা

পুরস্কার বিভাগ মনোনীত ফলাফল
কান চলচ্চিত্র উৎসব[২] শিশুশিল্পী হিসেবে বিশেষ উল্লেখ পুরস্কার কুমারী নাজ বিজয়ী
২য় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র রাজ কাপুর বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা ডেভিড
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক তারা দত্ত

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Filmfare Flashback: Every movie that won the Filmfare Best Film Award from 1953 to 2017"ফিল্মফেয়ার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২০ 
  2. "Festival de Cannes: Boot Polish"কান। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা