অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম
অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম (জুন ৪,১৮২৯ – জুলাই ৩১, ১৯১২) ব্রিটিশ ভারতের একজন বেসামরিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক সংস্কারক এবং শখের পক্ষীবিদ ও উদ্যানতত্ত্ববিদ। তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন। ভারতের পক্ষীবিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক ইতিহাসে তার অবদানের জন্য তাকে "ভারতীয় পক্ষীবিদ্যার জনক" আখ্যা দেওয়া হয়। অবশ্য এ বিষয়ে তার কর্তৃত্বপূর্ণ স্বভাবের জন্য তিনি যথেষ্ট সমালোচিত এবং তার সমালোচকদের কাছে তিনি "ভারতীয় পক্ষীবিদ্যার পোপ" নামে পরিচিত।[১]
অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৩১ জুলাই ১৯১২ | (বয়স ৮৩)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পক্ষীবিজ্ঞান প্রাকৃতিক ইতিহাস উদ্যানতত্ত্ববিদ রাজনীতিক বেসামরিক কর্মকর্তা |
ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবন
সম্পাদনাহিউমের জন্ম ইংল্যান্ডের কেন্টে[২], ১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দে। তার পিতা জোসেফ হিউম ছিলেন একজন র্যাডিকেল সংসদ সদস্য। তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলেজ ও ইউনিভার্সিটি কলেজ হসপিটালে মেডিসিন ও সার্জারি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৮৪৯ সালে তিনি ভারত গমন করেন এবং বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। বর্তমান উত্তর প্রদেশের (নর্থ-ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স) ইতওয়াতে ছিল তার প্রথম কর্মক্ষেত্র। এছাড়া বেসামরিক কর্মকর্তা হিসেবে ১৮৪৯ থেকে ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত জেলা কর্মকর্তা, ১৮৬৭ থেকে ১৮৭০ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিভাগের প্রধান এবং ১৮৭০ থেকে ১৮৭৯ সাল পর্যন্ত সরকারি সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।[৩]
ভারতে আগমনের মাত্র নয় বছর পর হিউম ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ প্রত্যক্ষ করেন। বিদ্রোহ দমনে তিনি বেশ কয়েকটি সেনা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এবং বিদ্রোহ দমনে তার সাফল্যের জন্য ১৮৬০ সালে তিনি অর্ডার অফ দ্যা বাথ পদকে ভূষিত হন। হিউমের কর্মস্থল ইতওয়া বিদ্রোহের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু মিরাটের বেশ কাছাকাছি হলেও প্রথম দিকে তিনি বেশ নিরাপদেই ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ছয় মাসের জন্য আগ্রা দুর্গে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।[৪] ১৮৫৮ সালে তিনি যখন পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন একজন ভারতীয় কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউই তার অণুগত ছিল না। তিনি অণুগত ভারতীয় সেনাদের নিয়ে ৬৫০ সদস্যবিশিষ্ট একটি আধাসামরিক বাহিনী গঠন করেন এবং তাদের নিয়ে কাজে নামেন। বিদ্রোহ দমনে ব্রিটিশদের অদক্ষতা এবং তাদের ‘ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার নীতি’র ব্যাপক সমালোচনা করেন।[৫]
জেলা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালনকালে শুরুর দিকে তিনি অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার চে্টা করেন। এছাড়া তিনি "লোকমিত্র" নামে স্থানীয় একটি পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেন।
১৮৫৩ সালে তিনি মেরি অ্যান গ্রিন্ডালের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ali, S. (১৯৭৯)। Bird study in India:Its history and its importance. Azad Memorial lecture for 1978। Indian Council for Cultural Relations. New Delhi।
- ↑ ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি মোতাবেক হিউমের জন্ম কেন্টে; কিন্তু এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার [১] মতে হিউমের জন্ম মন্টরোজ, ফর্ফারশায়ারে।
- ↑ Wedderburn (1913):3
- ↑ Wedderburn (1913):11-12
- ↑ Moulton, Edward C. (২০০৪)। "Hume, Allan Octavian (1829–1912)"। Oxford Dictionary of National Biography। Oxford University Press।
- ↑ Moulton, Edward (২০০৩)। J. C. Daniel and G. W. Ugra, সম্পাদকগণ। Petronia: Fifty Years of Post-Independence Ornithology in India। BNHS, Bombay & Oxford University Press, New Delhi। পৃষ্ঠা 295–317।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Bruce, Duncan A. (2000) The Scottish 100: Portraits of History's Most Influential Scots, Carroll & Graf Publishers.
- Buck, E. J. (১৯০৪)। Simla, Past and Present। Calcutta: Thacker & Spink।
- Mearns and Mearns (1988) Biographies for Birdwatchers. Academic Press. আইএসবিএন ০-১২-৪৮৭৪২২-৩
- Mehrotra, S. R. (2005) Towards India's Freedom and Partition, Rupa & Co., New Delhi.
- S. R. Mehrotra, Edward C. Moulton (Eds) (2004) Selected Writings of Allan Octavian Hume: District Administration in North India, Rebellion and Reform, Volume One: 1829-1867. Oxford University Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫৬৫৮৯৬-৫
- Moxham, Roy (2002) The Great Hedge of India. আইএসবিএন ০-৭৫৬৭-৮৭৫৫-৬
- Wedderburn, W. (১৯১৩)। Allan Octavian Hume. C.B. Father of the Indian National Congress। T.F. Unwin. London।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- কর্ম
- List of the birds of India (1879)
- The Nests and Eggs of Indian Birds Volume 1 Volume 2 Volume 3
- Game birds of India, Burmah and Ceylon Volume 1 Volume 2 Volume 3
- Hints on Esoteric Theosophy
- স্ট্রে ফেদার্স (পাখিবিষয়ক জার্নাল)
- অন্যান্য উৎস