আবদুল হালিম মুয়াজ্জম শাহ
আল-মু'তাসিমু বিল্লাহি মুহিব্বুদ্দিন সুলতান আবদুল হালিম মুয়াজ্জম শাহ ইবনে আলমরহুম সুলতান বাদলিশাহ (২৮ নভেম্বর ১৯২৭ – ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭) ছিলেন কেদাহের ২৮তম সুলতান। তিনি ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এবং ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুই দফায় মালয়েশিয়ার ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং (সম্রাট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মালয়েশিয়ার ইতিহাসে তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুইবার সম্রাট ছিলেন।
আবদুল হালিম | |||||
---|---|---|---|---|---|
মালয়েশিয়ার ১৪তম ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং কেদাহর সুলতান | |||||
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং | |||||
রাজত্ব | ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ – ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ | ||||
রাজ্যাভিষেক | ১১ এপ্রিল ২০১২ | ||||
পূর্বসূরি | মিজান জয়নুল আবেদিন | ||||
উত্তরসূরি | পঞ্চম মুহাম্মদ | ||||
রাজত্ব | ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ – ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ | ||||
অভিষেক | ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ | ||||
পূর্বসূরি | ইসমাইল নাসিরউদ্দিন শাহ | ||||
উত্তরসূরি | ইয়াহিয়া পেত্রা | ||||
প্রধানমন্ত্রী | তালিকা দেখুন | ||||
কেদাহর সুলতান | |||||
রাজত্ব | ১৪ জুলাই ১৯৫৮ – ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ||||
অভিষেক | ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ | ||||
পূর্বসূরি | সুলতান বাদলি শাহ | ||||
উত্তরসূরি | সুলতান সালেহউদ্দিন | ||||
মুখ্যমন্ত্রী | তালিকা দেখুন
| ||||
জন্ম | আনাক বুকিত, আলোর সেতার, কেদাহ, ব্রিটিশ মালয় | ২৮ নভেম্বর ১৯২৭||||
মৃত্যু | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইস্তানা আনাক বুকিত, আলোর সেতার, কেদাহ, মালয়েশিয়া | (বয়স ৮৯)||||
সমাধি | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ লঙ্গগর রাজকীয় কবরস্থান, আলোর সেতার, কেদাহ, মালয়েশিয়া | ||||
দাম্পত্য সঙ্গী | তুঙ্কু বাহিয়াহ সুলতানা হামিনাহ হামিদুন | ||||
বংশধর বিস্তারিত | তুঙ্কু পুত্রা ইন্তান সাফিনাজ তুঙ্কু সুরায়া তুঙ্কু সারিনা | ||||
| |||||
পিতা | সুলতান বাদলিশাহ | ||||
মাতা | তুঙ্কু সুফিয়ান বিনতে তুঙ্কু মাহমুদ | ||||
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি) |
Kedah Royal Family |
---|
HRH Sultan Abdul Halim Muadzam Shah, The Sultan
HH Tunku Mahmud Sallehuddin, Tunku Paduka Maharaja Temenggong Angota Desa
HH Tunku Abdul Hamid Thani, Tunku Laksamana |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাতুঙ্কু আবদুল হালিম ছিলেন সুলতান বাদলিশাহর দ্বিতীয় পুত্র। তিনি আলোর মেরাহ ও তিতি গাজাহ মালয় স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। এরপর তিনি সুলতান আবদুল হামিদ কলেজে লেখাপড়া করেছেন। তিনি অক্সফোর্ডের ওয়াডহাম কলেজে পড়াশোনা করেছেন এবং সামাজিক বিজ্ঞান ও জনপ্রশাসনে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। এরপর তিনি কেদাহর প্রশাসনিক দায়িত্বে যোগ দেন। তিনি আলোর স্টারের জেলা অফিসার ছিলেন। পরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দায়িত্বপালন করেছেন।[১]
১৯৪৯ সালের ৬ আগস্ট আবদুল হালিম উত্তরাধিকারই নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালের ১৫ জুলাই বাবার মৃত্যুর পর তিনি কেদাহর সুলতান হন।[২] ১৯৫৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তার অভিষেক হয়।[৩]
প্রথমবার উপসম্রাট নির্বাচন
সম্পাদনা১৯৬৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবদুল হালিম ডেপুটি ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং ছিলেন।
প্রথমবার সম্রাট নির্বাচন
সম্পাদনাতুঙ্কু আবদুল হালিম মালয়েশিয়ার পঞ্চম সম্রাট নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি সম্রাট ছিলেন। তুঙ্কু সৈয়দ পুত্রা ও তুঙ্কু মিজান জয়নুল আবেদিন|মিজান জয়নুল আবেদিনের]] পর তিনি তৃতীয় কনিষ্ঠ সম্রাট।
দ্বিতীয়বার উপসম্রাট নির্বাচন
সম্পাদনা২০০৬ সালের ২ নভেম্বর আবদুল হালিম দ্বিতীয়বার ডেপুটি ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং নির্বাচিত হন। এই পদে নির্বাচিত হওয়া তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি।
দ্বিতীয়বার সম্রাট নির্বাচন
সম্পাদনা২০১১ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয়বার সম্রাট নির্বাচিত হন। ১৩ ডিসেম্বর থেকে তার শাসনকাল শুরু হয়। তিনি মালয়েশিয়ার প্রথম সম্রাট যিনি দুই মেয়াদে দায়িত্বপালন করেছেন।[৪]
দ্বিতীয় দফায় সম্রাট মনোনীত হওয়ার পর কেদাহর সুলতান হিসেবে তার দায়িত্বসমূহ তার ভাই তুঙ্কু আনোয়ার, তুঙ্কু সালাহউদ্দিন, তুঙ্কু আবদুল হামিদ সানি ও মেয়ে তুঙ্কু পুতেরি ইন্তান সাফিনাজকে নিয়ে গঠিত কাউন্সিলকে প্রদান করা হয়।[৫] ২০১২ সাকের ১১ এপ্রিল তার অভিষেক হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্য মালয়ী শাসকদের সাথে ব্রুনাইয়ের যুবরাজ ও যুবরাজ্ঞী উপস্থিত ছিলেন।
পরিবার
সম্পাদনাতুঙ্কু আবদুল হালিম দুইবার বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীরা হলেন:
- তুঙ্কু হামিনাহ বিনতে হামিদুন। ১৯৭৫ সালে তাদের বিয়ে হয়।[৮] আবদুল হালিমের দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি রাজা পেরামাইসুরি আগং ছিলেন। তাদের কোনো সন্তান নেই।
৫০ বছর পূর্তি উৎসব
সম্পাদনা২০০৮ সালের ১৫ জুলাই কেদাহর সুলতান হিসেবে আবদুল হালিমের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব হয়।[৯] এই উপলক্ষে ১৫ জুলাইকে কেদাহতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।[১০]
সামরিক র্যাঙ্ক
সম্পাদনাতুঙ্কু আবদুল হালিম সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল, নৌবাহিনীর এডমিরাল অব দ্য ফ্লিট এবং বিমানবাহিনীর মার্শাল পদের অধিকারী।[১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ibrahim Ismail (1987) Sejarah Kedah Sepintas Lalu p209 Penerbit UUM
- ↑ (3 November 2006) Bernama Online
- ↑ Ibrahim Ismail (1987) Op Cit pp 214–218
- ↑ "Sultan of Kedah to be next Yang di-Pertuan Agong, for second time" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে, The Malaysian Insider, October 14, 2011
- ↑ "Kedah Sultan Reminds Council of Regency To Carry Out Duties With Honesty"। Bernama। ২০১১-১২-১২। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-৩০।
- ↑ ( 26 August 2003) Utusan Malaysia
- ↑ Royal Ark
- ↑ (10 January 2004) Bernama Online
- ↑ (July 14, 2008) Bernama Online
- ↑ (July 6, 2008) Bernama Online
- ↑ "Photographs of Tuanku Abdul Halim, Yang di-Pertuan Agong of Malaysia"। Janus। ২০১৬-১২-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-২৬।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনারাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সুলতান বাদলিশাহ |
কেদাহর সুলতান ১৯৫৮–২০১৭ |
উত্তরসূরী মাহমুদ সালাহউদ্দিন |
পূর্বসূরী ইসমাইল নাসিরউদ্দিন শাহ |
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং ১৯৭০–১৯৭৫ |
উত্তরসূরী ইয়াহিয়া পেত্রা |
পূর্বসূরী মিজান জয়নুল আবেদিন |
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং ২০১১–২০১৬ |
উত্তরসূরী পঞ্চম মুহাম্মদ |